বেক্সিমকোর মালিকদের সম্পৃক্ত ৯১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিও স্থগিতাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

পুঁজিবাজারের দরবেশ হিসেবে পরিচিত সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৭৬ ব্যক্তির ১১৭ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব স্থগিতের আদেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে এসব বিও হিসাবের পোর্টফোলিও স্টেটমেন্টসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৭৬ ব্যক্তির মোট ১১৭ বিও হিসাবের সবগুলোতেই বেক্সিমকোর মালিকেরা জড়িত। শেয়ারের দাম কারসাজিতে বেক্সিমকোর জড়িত থাকার অভিযোগে এসব বিও অ্যাকাউন্টের কয়েকজন মালিককে জরিমানাও করা হয়েছে।’

সূত্র জানায়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব তথ্য চেয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ—সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে। এ ছাড়াও বিএফআইইউর নির্দেশনা অনুযায়ী এসব হিসাব স্থগিতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিজ অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএফআইইউয়ের ২৩ অক্টোবরের চাহিদা অনুযায়ী উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো বিও হিসাব থাকলে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২৩ (১) (গ) ধারা মোতাবেক ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্ণিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিও হিসাবের কেওয়াইসি, পোর্টফলিও স্টেটমেন্ট তথ্যাদি সংগ্রহ করে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ই-মেইল স্ক্যান কপি এবং মূল কপি প্রেরণ করার জন্য সিডিবিএল এবং ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই ও সিএসই) নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বিও অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও টাকা থাকে। এর মাধ্যমে তারা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন। আর পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট গ্রাহকের আগ্রহ ও তাদের বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিস্তারিত থাকে।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে বেক্সিমকো টাকার অভাবে ভুগছে। কর্মীদের বকেয়া বেতন দিতে পারছে না।

কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খুলতে না পারায় গত আগস্ট থেকে কারখানাগুলো বন্ধ আছে। বর্তমানে বেক্সিমকোর ২৪ প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এদিকে বেক্সিমকোর ৬০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন নাকচ করেছে জনতা ব্যাংক।

এর আগে গত আগস্টের শেষের দিকে বিএসইসি সালমান এফ রহমানের বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। বিএফআইইউ সব ব্যাংককে তার মালিকানাধীন যে কোনো অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত