সহকারী জজ হওয়া আইনে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। প্রতিবছর ১০০ জন সহকারী জজ নেওয়া হয়। আর তাই বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএস) প্রস্তুতি নিতে হবে সতর্কতার সঙ্গে, মনোযোগের সঙ্গে। এ প্রস্তুতি কেমন হতে পারে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ১৬তম বিজেএসে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত রাগিব মোস্তফা নাঈম। তাঁর পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
শাহ বিলিয়া জুলফিকার
পরীক্ষা পদ্ধতি যেমন
এ পরীক্ষাটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা। উল্লেখ্য, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর মূল মেধাতালিকার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটিই হচ্ছে লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারার অনুমতিপত্র বা টিকেট। তাই সর্বপ্রথম এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর আসে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা। এ দুটি পরীক্ষার নম্বরের যোগফলের মাধ্যমে মেধাক্রম নির্ধারিত হয়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা প্রস্তুতি
যদি একজন শিক্ষার্থী বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে পড়েন এবং বেয়ার অ্যাক্টের সঙ্গে ভালো মানের একটা গাইডবই সঙ্গে রাখেন তাহলে তার প্রিলিতে পাস করা সহজ হবে। কিন্তু পরীক্ষার হলে নিজের একুরেসি বুঝে বুদ্ধি করে দাগাতে হবে। তাই প্রিলির প্রস্তুতিও নিতে হবে টেকনিক্যালি এবং প্রিলি পরীক্ষাও দিতে হবে টেকনিক্যালি। প্রিলি পরীক্ষায় পাস নিশ্চিত করতে অনেকগুলো অ্যাপ্রোচে সাজানো যায়। যেমন একটি কৌশল হলো একজন ক্যান্ডিডেট তাঁর স্বাভাবিক প্রস্তুতির পাশাপাশি সাংবিধানিক আইন এবং বিশেষ আইনগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেবে। এখান থেকে প্রিলিতে প্রায় ১৮-২০ নম্বর থাকে। তবে অনেকে স্বাভাবিক প্রস্তুতির পাশাপাশি জেনারেল অংশে বেশি জোর দেয়।
লিখিত পরীক্ষা
আইন অংশ: জুডিশিয়ারি পরীক্ষার মানেই লিখিত পরীক্ষা। ৬০০ নম্বর আইন অংশ এবং ৪০০ নম্বর জেনারেল অংশ। সব মিলিয়ে ১০০০ নম্বরের জন্য একটানা ১০ দিনে ১০টা পরীক্ষা দিতে হয়। নিজের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটা পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংবিধানিক আইন, পারিবারিক আইন এবং বিশেষ আইন—এই তিনটি অংশে ৩০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। এই তিন অংশে ভালো মার্কস তোলার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। তাই এই অংশের প্রস্তুতি খুব জোরালোভাবে নিতে হবে। সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন অংশে NAT Act, SAT Act এবং The Transfer of Property Act’র ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
দেওয়ানি আইন নিয়ে অনেকের মধ্যেই অহেতুক ভয়ের উদ্রেক দেখা যায়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্ডার ভালোভাবে পড়া থাকলেই কনফিডেন্স বাড়ানো যায়। CrPC’র সব সেকশন পড়তে হয় না, সেটা সবারই জানে। তবে যে সেকশনগুলো পড়তেই হবে, সেগুলো একটু সাজিয়ে পড়তে হবে। একটা ফৌজদারি মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো স্টেজ রয়েছে, সব কটি স্টেজ একটা কাগজে স্পষ্ট অক্ষরে লিখে ফেলতে হবে। তারপর প্রতিটি স্টেজের সঙ্গে কোন কোন সেকশন কানেকটেড, সেটার নোট নিতে হবে।
জেনারেল অংশ
অনেকেই দেখা যায় ৪-৫ বার ভাইভা দেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত সফলতা পান না। এর মূল কারণ লিখিত পরীক্ষার মার্কস। জেনারেল অংশে ৪০০ নম্বর থাকে। এই অংশে যাঁরা নিয়মিত প্র্যাকটিস করবেন, তাঁদের লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বেশি থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং সম্পাদকীয় অংশ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে দৃষ্টান্তমূলক নম্বরও তোলা সম্ভব।
জেনারেল বড় ফ্যাক্টর
আমরা সবাই জানি, বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন প্রথম ১০০ জন। কিন্তু প্রথম ২০০-৩০০ পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় আইন অংশে খুব কাছাকাছি নম্বর পান। অর্থাৎ আইন অংশে তাঁরা সবাই তুখোড়। তাই ৬০০ মার্কসের আইন অংশে নম্বরের পার্থক্য খুব বেশি থাকে না। এ ক্ষেত্রে জেনারেল অংশের ৪০০ মার্কসের মধ্যে যাঁদের মার্কস বেশি থাকে, তাঁরাই ১০০০ মার্কসের লিখিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পান। প্রথম ১০০-তে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
জেনারেলে দুর্বলতা কাটাতে করণীয়
আমি সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন গণিত চর্চা করতাম। বিজ্ঞান সপ্তাহে ন্যূনতম ২ দিন পড়তাম। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দৈনিক পত্রিকা পড়তাম। অবশ্য আমার বাবা পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছিল। ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা সাহিত্য আনন্দ নিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম। ইংরেজি সাহিত্য বুঝে পড়লে মুখস্থ এবং মনে রাখার যন্ত্রণা থেকে মস্তিষ্ককে মুক্তি দেওয়া যায়। সাধারণ বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে গ্রামার অংশে বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
বুক সিলেকশন
একটা ভালো প্রস্তুতিতে বুক সিলেকশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে বইগুলো পড়ার টেবিলে থাকতেই হবে, সেগুলো প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ সাবজেকটিভ বুক। প্রতিটি সাবজেকটের জন্য দুয়েকটি বই সিলেক্ট করে বারবার পড়তে হবে। এর বাইরেও কিছু মাস্ট রিড বুক আছে। যেমন: বিচারপতি মুহাম্মদ হামিদুল হক স্যারের লেখা বিচারপ্রক্রিয়া: দেওয়ানি ও ফৌজদারি (Trial of Civil Suits and Criminal Cases), জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট এবং দুর্নীতি আইন-সংক্রান্ত বিষয়ে লেখা বিচারপতি আখতারুজ্জামান স্যারের বই, বিচারপতি মো. আজিজুল হক স্যারের তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের করণীয়সহ অনেক বই রয়েছে।
কোচিং করা কতটুকু প্রাসঙ্গিক
কোচিং করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। তবে নিজের অবস্থান বোঝার জন্য কোনো একটি প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হতে পারেন। নিজের পড়াটাই মূলত আসল। তবে এখন পুরো জার্নিতে চেষ্টা করবেন কোনো দক্ষ মেন্টরের ইন-টাচে থাকতে। দক্ষ মেন্টর বলতে ভালো পড়ায় এমন মেন্টর নয়; বরং যে মেন্টর আপনার সিকুয়েশন বুঝে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবেন। আমি পুরো প্রস্তুতিতে চারজন মেন্টরের পর্যবেক্ষণে ছিলাম। যাঁদের থেকে আমি শুধু যুদ্ধ কৌশলই শিখিনি, যুদ্ধে ধৈর্য ধারণ করার অসীম শক্তিও সঞ্চয় করেছি।
ভাইভা প্রসঙ্গে
ভাইভার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অবসর সময়ে মোবাইল ফোন, ইউটিউব বা গুগলে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোর তথ্যচিত্র দেখতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ব্রিটিশ শাসনামল, ছয় দফা, দ্বিজাতিতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আমাকে ভাইভা পরীক্ষায় বেন কিংসলে অভিনীত গান্ধী সিনেমা ও ক্রিস্টোফার লি অভিনীত জিন্নাহ সিনেমা থেকে প্রশ্ন করেছিলেন। আর পড়ার ফাঁকে ফাঁকে নিজের সঙ্গে নিজের কথা বলার অভ্যাস করতে পারেন। আয়নার সামনে বসে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করা এবং নিজে উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়। নিজের স্বপ্ন এবং নিজেকে সব সময় বিশ্বাস করতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি যেমন
এ পরীক্ষাটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা। উল্লেখ্য, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর মূল মেধাতালিকার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটিই হচ্ছে লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারার অনুমতিপত্র বা টিকেট। তাই সর্বপ্রথম এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর আসে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা। এ দুটি পরীক্ষার নম্বরের যোগফলের মাধ্যমে মেধাক্রম নির্ধারিত হয়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা প্রস্তুতি
যদি একজন শিক্ষার্থী বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে পড়েন এবং বেয়ার অ্যাক্টের সঙ্গে ভালো মানের একটা গাইডবই সঙ্গে রাখেন তাহলে তার প্রিলিতে পাস করা সহজ হবে। কিন্তু পরীক্ষার হলে নিজের একুরেসি বুঝে বুদ্ধি করে দাগাতে হবে। তাই প্রিলির প্রস্তুতিও নিতে হবে টেকনিক্যালি এবং প্রিলি পরীক্ষাও দিতে হবে টেকনিক্যালি। প্রিলি পরীক্ষায় পাস নিশ্চিত করতে অনেকগুলো অ্যাপ্রোচে সাজানো যায়। যেমন একটি কৌশল হলো একজন ক্যান্ডিডেট তাঁর স্বাভাবিক প্রস্তুতির পাশাপাশি সাংবিধানিক আইন এবং বিশেষ আইনগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেবে। এখান থেকে প্রিলিতে প্রায় ১৮-২০ নম্বর থাকে। তবে অনেকে স্বাভাবিক প্রস্তুতির পাশাপাশি জেনারেল অংশে বেশি জোর দেয়।
লিখিত পরীক্ষা
আইন অংশ: জুডিশিয়ারি পরীক্ষার মানেই লিখিত পরীক্ষা। ৬০০ নম্বর আইন অংশ এবং ৪০০ নম্বর জেনারেল অংশ। সব মিলিয়ে ১০০০ নম্বরের জন্য একটানা ১০ দিনে ১০টা পরীক্ষা দিতে হয়। নিজের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটা পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংবিধানিক আইন, পারিবারিক আইন এবং বিশেষ আইন—এই তিনটি অংশে ৩০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। এই তিন অংশে ভালো মার্কস তোলার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। তাই এই অংশের প্রস্তুতি খুব জোরালোভাবে নিতে হবে। সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন অংশে NAT Act, SAT Act এবং The Transfer of Property Act’র ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
দেওয়ানি আইন নিয়ে অনেকের মধ্যেই অহেতুক ভয়ের উদ্রেক দেখা যায়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্ডার ভালোভাবে পড়া থাকলেই কনফিডেন্স বাড়ানো যায়। CrPC’র সব সেকশন পড়তে হয় না, সেটা সবারই জানে। তবে যে সেকশনগুলো পড়তেই হবে, সেগুলো একটু সাজিয়ে পড়তে হবে। একটা ফৌজদারি মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো স্টেজ রয়েছে, সব কটি স্টেজ একটা কাগজে স্পষ্ট অক্ষরে লিখে ফেলতে হবে। তারপর প্রতিটি স্টেজের সঙ্গে কোন কোন সেকশন কানেকটেড, সেটার নোট নিতে হবে।
জেনারেল অংশ
অনেকেই দেখা যায় ৪-৫ বার ভাইভা দেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত সফলতা পান না। এর মূল কারণ লিখিত পরীক্ষার মার্কস। জেনারেল অংশে ৪০০ নম্বর থাকে। এই অংশে যাঁরা নিয়মিত প্র্যাকটিস করবেন, তাঁদের লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বেশি থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং সম্পাদকীয় অংশ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে দৃষ্টান্তমূলক নম্বরও তোলা সম্ভব।
জেনারেল বড় ফ্যাক্টর
আমরা সবাই জানি, বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন প্রথম ১০০ জন। কিন্তু প্রথম ২০০-৩০০ পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় আইন অংশে খুব কাছাকাছি নম্বর পান। অর্থাৎ আইন অংশে তাঁরা সবাই তুখোড়। তাই ৬০০ মার্কসের আইন অংশে নম্বরের পার্থক্য খুব বেশি থাকে না। এ ক্ষেত্রে জেনারেল অংশের ৪০০ মার্কসের মধ্যে যাঁদের মার্কস বেশি থাকে, তাঁরাই ১০০০ মার্কসের লিখিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পান। প্রথম ১০০-তে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
জেনারেলে দুর্বলতা কাটাতে করণীয়
আমি সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন গণিত চর্চা করতাম। বিজ্ঞান সপ্তাহে ন্যূনতম ২ দিন পড়তাম। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দৈনিক পত্রিকা পড়তাম। অবশ্য আমার বাবা পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছিল। ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা সাহিত্য আনন্দ নিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম। ইংরেজি সাহিত্য বুঝে পড়লে মুখস্থ এবং মনে রাখার যন্ত্রণা থেকে মস্তিষ্ককে মুক্তি দেওয়া যায়। সাধারণ বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে গ্রামার অংশে বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
বুক সিলেকশন
একটা ভালো প্রস্তুতিতে বুক সিলেকশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে বইগুলো পড়ার টেবিলে থাকতেই হবে, সেগুলো প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ সাবজেকটিভ বুক। প্রতিটি সাবজেকটের জন্য দুয়েকটি বই সিলেক্ট করে বারবার পড়তে হবে। এর বাইরেও কিছু মাস্ট রিড বুক আছে। যেমন: বিচারপতি মুহাম্মদ হামিদুল হক স্যারের লেখা বিচারপ্রক্রিয়া: দেওয়ানি ও ফৌজদারি (Trial of Civil Suits and Criminal Cases), জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট এবং দুর্নীতি আইন-সংক্রান্ত বিষয়ে লেখা বিচারপতি আখতারুজ্জামান স্যারের বই, বিচারপতি মো. আজিজুল হক স্যারের তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের করণীয়সহ অনেক বই রয়েছে।
কোচিং করা কতটুকু প্রাসঙ্গিক
কোচিং করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। তবে নিজের অবস্থান বোঝার জন্য কোনো একটি প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হতে পারেন। নিজের পড়াটাই মূলত আসল। তবে এখন পুরো জার্নিতে চেষ্টা করবেন কোনো দক্ষ মেন্টরের ইন-টাচে থাকতে। দক্ষ মেন্টর বলতে ভালো পড়ায় এমন মেন্টর নয়; বরং যে মেন্টর আপনার সিকুয়েশন বুঝে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবেন। আমি পুরো প্রস্তুতিতে চারজন মেন্টরের পর্যবেক্ষণে ছিলাম। যাঁদের থেকে আমি শুধু যুদ্ধ কৌশলই শিখিনি, যুদ্ধে ধৈর্য ধারণ করার অসীম শক্তিও সঞ্চয় করেছি।
ভাইভা প্রসঙ্গে
ভাইভার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অবসর সময়ে মোবাইল ফোন, ইউটিউব বা গুগলে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোর তথ্যচিত্র দেখতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ব্রিটিশ শাসনামল, ছয় দফা, দ্বিজাতিতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আমাকে ভাইভা পরীক্ষায় বেন কিংসলে অভিনীত গান্ধী সিনেমা ও ক্রিস্টোফার লি অভিনীত জিন্নাহ সিনেমা থেকে প্রশ্ন করেছিলেন। আর পড়ার ফাঁকে ফাঁকে নিজের সঙ্গে নিজের কথা বলার অভ্যাস করতে পারেন। আয়নার সামনে বসে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করা এবং নিজে উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়। নিজের স্বপ্ন এবং নিজেকে সব সময় বিশ্বাস করতে হবে।
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। এই বিসিএসে শূন্য পদ ৩ হাজার ৪৮৭টি। ২৯ ডিসেম্বর (২০২৪) সকাল ১০টায় আবেদন শুরু হয়ে চলবে ৩১ জানুয়ারি (২০২৫) বেলা ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় আগামী মে মাস। এ সময়ে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিলে প্রিলিমিনারিতে সফল হওয়া সম্ভব।
৫ ঘণ্টা আগেসফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
৭ দিন আগেসাইমন সিনেক বিখ্যাত মোটিভেশনাল বক্তা, লেখক ও নেতৃত্ব বিশেষজ্ঞ। যিনি তাঁর বিখ্যাত বই ‘স্টার্ট উইথ হোয়াই’-এর জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত টেড টক ‘হাউ গ্রেট লিডারস ইন্সপায়ার অ্যাকশন’ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা টেড টকগুলোর একটি। এ লেখায় তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি বক্তৃতার সংকলন তুলে ধরা হলো।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪ছাত্রজীবনে টাকা আয় করার অন্যতম মাধ্যম হলো টিউশন। অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যাঁরা ভালো পড়াতে পারেন, কিন্তু নানা কারণে টিউশনি খুঁজে পান না। টিউশনি পাওয়ার কার্যকর উপায়গুলো...
২৮ নভেম্বর ২০২৪