নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের রহস্যজনক মৃত্যুর পর এবার চলে গেলেন তাঁর মা রোকেয়া আক্তার খাতুন (৭০)। গতকাল শনিবার রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ রোববার সকালে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব।
শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘দুরন্ত বিপ্লব আমার মায়ের প্রথম সন্তান। তাঁকে হারিয়ে মা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। পাশাপাশি আমরা মৃত্যুর সঠিক তদন্তের জন্য দুই মাস ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম, কিন্তু কোনো সহায়তা পাচ্ছিলাম না। এই বিষয়টা নিয়েও মা অনেক কষ্ট পেতেন। গতকাল আমরা “জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব” শিরোনামে একটি সংকলন প্রকাশ ও হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করি। সেখানে মা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি অসুস্থতা বোধ করেন। পরে তাঁকে বাসায় আনা হলে রাত ১টার দিকে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শাশ্বতী আরও বলেন, শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন মসজিদে জানাজা শেষে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ছেলে দুরন্ত বিপ্লবের পাশে শায়িত হবেন মা রোকেয়া আক্তার খাতুন।
এর আগে গত নভেম্বরে মর্নিং সান-৫ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লব (৫১) নিহত হন। তবে পরিবারের সন্দেহ, খুন হয়েছেন দুরন্ত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে দুরন্ত বিপ্লবের নৌকাডুবিতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদও জানিয়েছেন, দুরন্ত বিপ্লব নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছেন।
যদিও দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ। তিনি দুরন্ত বিপ্লবের ময়নাতদন্ত শেষে বলেন, ‘বিপ্লবকে মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মাথার পেছনে প্লেইন কোনো সারফেস দিয়ে আঘাত করার আলামত পেয়েছি আমরা।’
গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, দুরন্ত বিপ্লব গত ৭ নভেম্বর বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে কেরানীগঞ্জের বড় বাকতার নিজের খামার থেকে বের হয়ে কদমতলীর সড়কে ওঠেন। নূর ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে তিনি সাদা পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় পায়ে হেঁটে কোনাখোলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যান। নূর ফিলিং স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এ দৃশ্য ধরা পড়েছে। এরপর তিনি ৪টা ৫৫ মিনিটে কোনাখোলা থেকে বিলাল নামে এক চালকের অটোরিকশায় উঠে বসেন। বিলাল তাঁর পূর্বপরিচিত। অটোরিকশাটি নিয়ে তিনি ৫টা ১৭ মিনিটে জিঞ্জিরা ফেরিঘাটে যান। ফেরিঘাটে নেমে তিনি হেঁটে বটতলা ঘাটের দিকে আসেন। বটতলা ঘাট থেকে তিনি শামসু মাঝি (৬৫) নামে একজনের নৌকায় ওঠেন।
নৌকাটিতে আরও চারজন যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি বটতলা ঘাট থেকে সোয়ারীঘাট সোজা বুড়িগঙ্গা নদীর দুই-তৃতীয়াংশ আসার পর ঠিক মাগরিবের আজানের আগে ৫টা ২৯ মিনিটে মর্নিং সান-৫ নামের লঞ্চটি নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। নৌকাটি তখন উল্টে যায়। পরে নজরুল, বিলাল ও আলেক নামে কয়েকজন মাঝি মিলে উদ্ধারকাজ চালান। তাঁরা চারজন যাত্রী ও শামসু মাঝিকে নদী থেকে তুলতে সক্ষম হন। তবে আরেকজন যাত্রীকে তাঁরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
গত ১২ নভেম্বর বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর পশ্চিম প্রান্ত থেকে কচুরিপানায় জড়িয়ে থাকা অবস্থায় বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মধ্যরাতে নিহতের পরিবার ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের রহস্যজনক মৃত্যুর পর এবার চলে গেলেন তাঁর মা রোকেয়া আক্তার খাতুন (৭০)। গতকাল শনিবার রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ রোববার সকালে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব।
শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘দুরন্ত বিপ্লব আমার মায়ের প্রথম সন্তান। তাঁকে হারিয়ে মা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। পাশাপাশি আমরা মৃত্যুর সঠিক তদন্তের জন্য দুই মাস ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম, কিন্তু কোনো সহায়তা পাচ্ছিলাম না। এই বিষয়টা নিয়েও মা অনেক কষ্ট পেতেন। গতকাল আমরা “জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব” শিরোনামে একটি সংকলন প্রকাশ ও হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করি। সেখানে মা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি অসুস্থতা বোধ করেন। পরে তাঁকে বাসায় আনা হলে রাত ১টার দিকে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শাশ্বতী আরও বলেন, শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন মসজিদে জানাজা শেষে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ছেলে দুরন্ত বিপ্লবের পাশে শায়িত হবেন মা রোকেয়া আক্তার খাতুন।
এর আগে গত নভেম্বরে মর্নিং সান-৫ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লব (৫১) নিহত হন। তবে পরিবারের সন্দেহ, খুন হয়েছেন দুরন্ত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে দুরন্ত বিপ্লবের নৌকাডুবিতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদও জানিয়েছেন, দুরন্ত বিপ্লব নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছেন।
যদিও দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ। তিনি দুরন্ত বিপ্লবের ময়নাতদন্ত শেষে বলেন, ‘বিপ্লবকে মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মাথার পেছনে প্লেইন কোনো সারফেস দিয়ে আঘাত করার আলামত পেয়েছি আমরা।’
গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, দুরন্ত বিপ্লব গত ৭ নভেম্বর বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে কেরানীগঞ্জের বড় বাকতার নিজের খামার থেকে বের হয়ে কদমতলীর সড়কে ওঠেন। নূর ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে তিনি সাদা পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় পায়ে হেঁটে কোনাখোলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যান। নূর ফিলিং স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এ দৃশ্য ধরা পড়েছে। এরপর তিনি ৪টা ৫৫ মিনিটে কোনাখোলা থেকে বিলাল নামে এক চালকের অটোরিকশায় উঠে বসেন। বিলাল তাঁর পূর্বপরিচিত। অটোরিকশাটি নিয়ে তিনি ৫টা ১৭ মিনিটে জিঞ্জিরা ফেরিঘাটে যান। ফেরিঘাটে নেমে তিনি হেঁটে বটতলা ঘাটের দিকে আসেন। বটতলা ঘাট থেকে তিনি শামসু মাঝি (৬৫) নামে একজনের নৌকায় ওঠেন।
নৌকাটিতে আরও চারজন যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি বটতলা ঘাট থেকে সোয়ারীঘাট সোজা বুড়িগঙ্গা নদীর দুই-তৃতীয়াংশ আসার পর ঠিক মাগরিবের আজানের আগে ৫টা ২৯ মিনিটে মর্নিং সান-৫ নামের লঞ্চটি নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। নৌকাটি তখন উল্টে যায়। পরে নজরুল, বিলাল ও আলেক নামে কয়েকজন মাঝি মিলে উদ্ধারকাজ চালান। তাঁরা চারজন যাত্রী ও শামসু মাঝিকে নদী থেকে তুলতে সক্ষম হন। তবে আরেকজন যাত্রীকে তাঁরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
গত ১২ নভেম্বর বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর পশ্চিম প্রান্ত থেকে কচুরিপানায় জড়িয়ে থাকা অবস্থায় বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মধ্যরাতে নিহতের পরিবার ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে