শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মফিজুল নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পারভেজ নামে তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। হাতুড়িপেটা ও ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মফিজুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আজ সোমবার মফিজুলের শ্বশুর আব্দুর রহমান বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পারভেজের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলা বীর তারা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন বলেছেন, গত শনিবার রাতে উপজেলার বীর তারা ইউনিয়নের সালেপুর এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় মফিজুলকে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন।
মফিজুলের শাশুড়ি বলেন, ‘মফিজুল বিয়ের পর থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকে। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মফিজ বীর তারা এলাকার পারভেজের সাথে সহকারী হিসেবে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কাজের সুবাদে মফিজের সাথে পারভেজের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত।’
এ বিষয়ে মফিজুলের স্ত্রী রুপা বেগম বলেন, ‘বীর তারা গ্রামের তৈয়ব আলী ফকিরের ছেলে পারভেজের সাথে আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সেই সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত। শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সে ফোন করে আমার স্বামীকে বড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মফিজ আমাকে বলে যায় পারভেজ ভাইয়ের সাথে আমি এক জায়গায় পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছি। পরে রাত ৯টার দিকে আমি তাকে ফোন দিয়ে তার ফোন বন্ধ পাই। তখন আমার বাবাকে পারভেজের বাড়িতে পাঠাই। সে সময় পারভেজও আমার স্বামীকে খুঁজতে বাজারে যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমার স্বামী আমাকে ফোন দিয়ে বলে, রুপা আমাকে মাফ করে দিস আমি মরে যাচ্ছি। পারলে আমাকে বাঁচা। কোথায় আছে জানতে চাইলে সে বলে, ভুট্টাখেতের মাঝখানে। এটা বলেই ফোন রেখে দেয়।’
রুপা আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমি আমার বাবাকে ফোন করে জানানোর পরপরই পারভেজ সিগারেট কেনার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা লোকজন নিয়ে তাকে খুঁজতে বের হই। অনেকগুলো খেতে খোঁজার পরে মোকলেস মেম্বারের বাড়ি বরাবর সালেপুর চকের একটি খেতে মফিজকে লাশের মতো পড়ে থাকতে দেখি। সবাই মিলে ধরাধরি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনো তাঁর অবস্থা খারাপ। তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর পারভেজ তাঁকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আমার স্বামীর অবস্থা বেশি ভালো না। মাথায় ১২৬টা সেলাই পড়েছে। বাঁচবে কি না, বলতে পারছি না। আমি পারভেজের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মফিজুল নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পারভেজ নামে তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। হাতুড়িপেটা ও ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মফিজুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আজ সোমবার মফিজুলের শ্বশুর আব্দুর রহমান বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পারভেজের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলা বীর তারা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন বলেছেন, গত শনিবার রাতে উপজেলার বীর তারা ইউনিয়নের সালেপুর এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় মফিজুলকে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন।
মফিজুলের শাশুড়ি বলেন, ‘মফিজুল বিয়ের পর থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকে। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মফিজ বীর তারা এলাকার পারভেজের সাথে সহকারী হিসেবে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কাজের সুবাদে মফিজের সাথে পারভেজের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত।’
এ বিষয়ে মফিজুলের স্ত্রী রুপা বেগম বলেন, ‘বীর তারা গ্রামের তৈয়ব আলী ফকিরের ছেলে পারভেজের সাথে আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সেই সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত। শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সে ফোন করে আমার স্বামীকে বড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মফিজ আমাকে বলে যায় পারভেজ ভাইয়ের সাথে আমি এক জায়গায় পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছি। পরে রাত ৯টার দিকে আমি তাকে ফোন দিয়ে তার ফোন বন্ধ পাই। তখন আমার বাবাকে পারভেজের বাড়িতে পাঠাই। সে সময় পারভেজও আমার স্বামীকে খুঁজতে বাজারে যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমার স্বামী আমাকে ফোন দিয়ে বলে, রুপা আমাকে মাফ করে দিস আমি মরে যাচ্ছি। পারলে আমাকে বাঁচা। কোথায় আছে জানতে চাইলে সে বলে, ভুট্টাখেতের মাঝখানে। এটা বলেই ফোন রেখে দেয়।’
রুপা আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমি আমার বাবাকে ফোন করে জানানোর পরপরই পারভেজ সিগারেট কেনার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা লোকজন নিয়ে তাকে খুঁজতে বের হই। অনেকগুলো খেতে খোঁজার পরে মোকলেস মেম্বারের বাড়ি বরাবর সালেপুর চকের একটি খেতে মফিজকে লাশের মতো পড়ে থাকতে দেখি। সবাই মিলে ধরাধরি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনো তাঁর অবস্থা খারাপ। তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর পারভেজ তাঁকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আমার স্বামীর অবস্থা বেশি ভালো না। মাথায় ১২৬টা সেলাই পড়েছে। বাঁচবে কি না, বলতে পারছি না। আমি পারভেজের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন
২ দিন আগেসাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
২ দিন আগেঅপরাধের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদারে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ সোমবার এক বার্তায় পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে এ নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম ফারাহ দীবা। সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান পল্লবী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আদ
৩ দিন আগে