নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র ফারদিন নূর পরশ নিখোঁজ হওয়ার আগে সর্বশেষ কথা বলেছিলেন মোবাইল ফোনে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে। কিন্তু ওই কথোপথনে কোনো সন্দেহজনক বার্তা বা তাঁর হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো সূত্র খুঁজে পাননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফারদিনের মৃত্যু এখনো রহস্যজনক। আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। বেশ কিছু এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করছি। সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার রাতে ফারদিন তাঁর এক বিতার্কিক বন্ধুর সঙ্গে শেষ কথা বলেছেন। এরপর তিনি আর মোবাইল ফোনে কথা বলেননি। তবে তাঁদের সেই ফোনের কথোপকথনে সন্দেহজনক কোনো বার্তা পায়নি ডিবি।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওই বন্ধুকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরও তাকে ঢাকার বাইরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, ফের ডাকা হতে পারে।’
বান্ধবীর পরিবারকে ঘিরে র্যাব-পুলিশের তদন্ত
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর এক বান্ধবীকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিবির সদস্যরা। এরপর র্যাব ওই তরুণীর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেন। দুই সংস্থা দুজনকে নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে তাঁদের কাছ থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এর বাইরে ছিনতাই, পূর্বশত্রুতা ও বন্ধুদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে ডিবি।
চলছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ
রাজধানীর রামপুরা, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকা, জুরাইন, ডেমরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসব এলাকায় রিকশায় চড়তে ও হাঁটতে দেখা গেছে ফারদিনকে। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে র্যাব ও ডিবি। প্রয়োজনে আরও এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনেক প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ফারদিন বাসা থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে বের হলেও সেখানে যাননি। ৪ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি ধানমন্ডি, টিএসসি, পুরান ঢাকায় ঘোরাফেরা করেন।
সর্বশেষ পুরান ঢাকার জনসন রোডে, এরপর জুরাইন এলাকায় অবস্থান করেছিলেন তিনি। জুরাইন থেকে বুড়িগঙ্গা কাছাকাছি হলেও তাঁর মরদেহ মিলেছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন, তার মরদেহ কীভাবে শীতলক্ষ্যায় গেল।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না গোয়েন্দা সদস্যরা। পরের দিনের পরীক্ষার জন্য ৪ নভেম্বর ফারদিনের হলে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তিনি হলে কেন গেলেন না?
গত ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন বুয়েটের পুরকৌল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ। ৫ নভেম্বর তাঁর বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে নিহত ফারদিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক শেখ ফরহাদ।
শীতলক্ষ্যা থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে কথা বলে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীনকে বাদী করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হতে পারে বলে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আলোচনা চলছিল।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র ফারদিন নূর পরশ নিখোঁজ হওয়ার আগে সর্বশেষ কথা বলেছিলেন মোবাইল ফোনে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে। কিন্তু ওই কথোপথনে কোনো সন্দেহজনক বার্তা বা তাঁর হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো সূত্র খুঁজে পাননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফারদিনের মৃত্যু এখনো রহস্যজনক। আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। বেশ কিছু এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করছি। সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার রাতে ফারদিন তাঁর এক বিতার্কিক বন্ধুর সঙ্গে শেষ কথা বলেছেন। এরপর তিনি আর মোবাইল ফোনে কথা বলেননি। তবে তাঁদের সেই ফোনের কথোপকথনে সন্দেহজনক কোনো বার্তা পায়নি ডিবি।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওই বন্ধুকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরও তাকে ঢাকার বাইরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, ফের ডাকা হতে পারে।’
বান্ধবীর পরিবারকে ঘিরে র্যাব-পুলিশের তদন্ত
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর এক বান্ধবীকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিবির সদস্যরা। এরপর র্যাব ওই তরুণীর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেন। দুই সংস্থা দুজনকে নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে তাঁদের কাছ থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এর বাইরে ছিনতাই, পূর্বশত্রুতা ও বন্ধুদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে ডিবি।
চলছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ
রাজধানীর রামপুরা, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকা, জুরাইন, ডেমরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসব এলাকায় রিকশায় চড়তে ও হাঁটতে দেখা গেছে ফারদিনকে। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে র্যাব ও ডিবি। প্রয়োজনে আরও এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনেক প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ফারদিন বাসা থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে বের হলেও সেখানে যাননি। ৪ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি ধানমন্ডি, টিএসসি, পুরান ঢাকায় ঘোরাফেরা করেন।
সর্বশেষ পুরান ঢাকার জনসন রোডে, এরপর জুরাইন এলাকায় অবস্থান করেছিলেন তিনি। জুরাইন থেকে বুড়িগঙ্গা কাছাকাছি হলেও তাঁর মরদেহ মিলেছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন, তার মরদেহ কীভাবে শীতলক্ষ্যায় গেল।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না গোয়েন্দা সদস্যরা। পরের দিনের পরীক্ষার জন্য ৪ নভেম্বর ফারদিনের হলে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তিনি হলে কেন গেলেন না?
গত ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন বুয়েটের পুরকৌল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ। ৫ নভেম্বর তাঁর বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে নিহত ফারদিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক শেখ ফরহাদ।
শীতলক্ষ্যা থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে কথা বলে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীনকে বাদী করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হতে পারে বলে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আলোচনা চলছিল।
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন
২ দিন আগেসাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
২ দিন আগেঅপরাধের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদারে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ সোমবার এক বার্তায় পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে এ নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম ফারাহ দীবা। সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান পল্লবী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আদ
৩ দিন আগে