অনলাইন ডেস্ক
গর্ভ ভাড়া দেওয়া বা টাকার বিনিময়ে অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করা এখন অনেক দেশে লোভনীয় ব্যবসা। এভাবে সন্তান ধারণকে বলে ‘সারোগেসি’। ভারতে বাণিজ্যিক সারোগেসি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও ব্যবসা ঠিকই চলছে। সারোগেসির জন্য দেশি-বিদেশি সেলিব্রেটিদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত। নিষিদ্ধ হলেও রমরমিয়েই চলছে এ বাণিজ্য।
তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এই ক্ষেত্রটি সম্ভবত নারী পাচারেরও গন্তব্য হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এমনি দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের দিয়ে জোর করে ‘সারোগেসি’ ব্যবসা করা হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী এক নারী সারোগেসির মাধ্যমে ১০টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর ২৯ বছর বয়সী আরেকজন জন্ম দিয়েছেন ৬ শিশু।
ওই নারীর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোরী থাকাকালে গৃহপরিচারিকার কাজের টোপ দিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিছুদিন পরই সারোগেসির ব্যবসায় নামানো হয়।
শিশুগুলোর বয়স ছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে বাধ্য করা হতো তাঁকে। এরপর বিক্রি করে দেওয়া হতো। ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার পাত্রু গ্রামের বাসিন্দা ওই নারীকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করে একদল অধিকারকর্মী। তিনি এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। গুমলায় শিশু কল্যাণ কমিটির সহায়তায় আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
ওই নারী বলেন, ‘তারা আমাদের টাকার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। তারা শুধু চেয়েছে তাদের জন্য আমি সন্তান জন্ম দিই।’
ওই দুই তরুণীর বক্তব্য অনুযায়ী, দিল্লির একটি প্লেসমেন্ট এজেন্সি নারী-কিশোরী পাচারে জড়িত। আড়ালে তারা সারোগেসির ব্যবসা করে। সম্প্রতি পান্নালাল নামে ঝাড়খণ্ডের এক নারী পাচারকারী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, গত ১৫ বছরে পাঁচ হাজারেরও বেশি মেয়েকে রাজ্য থেকে পাচার করেছেন। আর এই পাচারের কাজ করেই তিনি কোটিপতি হয়েছেন।
রাজ্যের শিশুকল্যাণ কর্মকর্তা বৈদ্যনাথ কুমার এই ঘটনায় দিল্লির প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলোকেই দায়ী করেছেন। ঝাড়খণ্ড সরকার এই ঘটনা নিয়ে দিল্লি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলার শিশুকল্যাণ কমিটির সাবেক সদস্য বাসন্তী মুন্ডা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোকে টার্গেট করে প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলো। আঠারো বছরের কম বয়সী কিশোরীদের গৃহপরিচারিকার কাজ দেওয়ার কথা বলে পাচার করে তারা। বাসন্তী মুন্ডার দাবি, এই বয়সের মেয়েরা বুদ্ধিতে পরিণত না হওয়ায় সহজেই জালে ফাঁসাতে পারে এজেন্সিগুলো। সচ্ছল জীবনের আশায় তারা শহরে কাজের টোপ উপেক্ষা করতে পারে না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বহুদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, কিছু সংগঠিত চক্র ঝাড়খণ্ড থেকে কিশোরী ও তরুণীদের পাচার করছে। নাগরিক সমাজের একাধিক গ্রুপের হিসাব অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার শিশু পাচারের শিকার হয়। তাদের হয় গৃহপরিচারিকার কাজে লাগানো হয় অথবা দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়।
তবে পাচার করে সারোগেসিতে বাধ্য করার ঘটনা এর আগে কখনো শোনা যায়নি।
ঝাড়খণ্ডের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএন প্রধান বলেন, এটা সাধারণত ঘটে না। কিন্তু সম্প্রতি আমরা এমন কয়েকটি ঘটনা পেয়েছি। এই রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটছে, এটা খুব উদ্বেগের।
এদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন, দিল্লি থেকে দুইজন উদ্ধার হওয়ার ঘটনাই শেষ নয়। গুমলা এবং লোহারদাগা জেলা থেকে এমন বেশ কয়েকজন মেয়েকে পাচার করে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি ঝাড়খণ্ডেই বিক্রি করার জন্য এভাবে সন্তান জন্মের ঘটনাও আছে।
লোহারদাগা জেলার আরাহাসা গ্রামের এক বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা জগত্রম মাহাতো বলেন, তাঁর গ্রাম থেকে বহু মেয়েকে কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে সারোগেসিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো নিজের গ্রামেই সন্তান জন্ম দিয়েছে। পরে এজেন্ট এসে সেই শিশুকে নিয়ে গেছে। এই কাজের জন্য নারীদের খুব কম টাকা দেওয়া হয়। আর সারোগেট মাদার কিশোরী হলে যা দেওয়া হয় তা অতিনগণ্য।
স্থানীয় এনজিও শক্তি বাহিনী বলছে, দিল্লিতে তারা ঝাড়খণ্ডের শতাধিক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী পরিচালিত এনজিও বাচপান বাঁচাও আন্দোলন পুরো ভারত থেকে উদ্ধার করেছে ৮০ হাজার শিশু। এদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ঝাড়খণ্ড ও বিহার রাজ্যের।
গর্ভ ভাড়া দেওয়া বা টাকার বিনিময়ে অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করা এখন অনেক দেশে লোভনীয় ব্যবসা। এভাবে সন্তান ধারণকে বলে ‘সারোগেসি’। ভারতে বাণিজ্যিক সারোগেসি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও ব্যবসা ঠিকই চলছে। সারোগেসির জন্য দেশি-বিদেশি সেলিব্রেটিদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত। নিষিদ্ধ হলেও রমরমিয়েই চলছে এ বাণিজ্য।
তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এই ক্ষেত্রটি সম্ভবত নারী পাচারেরও গন্তব্য হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এমনি দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের দিয়ে জোর করে ‘সারোগেসি’ ব্যবসা করা হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী এক নারী সারোগেসির মাধ্যমে ১০টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর ২৯ বছর বয়সী আরেকজন জন্ম দিয়েছেন ৬ শিশু।
ওই নারীর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোরী থাকাকালে গৃহপরিচারিকার কাজের টোপ দিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিছুদিন পরই সারোগেসির ব্যবসায় নামানো হয়।
শিশুগুলোর বয়স ছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে বাধ্য করা হতো তাঁকে। এরপর বিক্রি করে দেওয়া হতো। ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার পাত্রু গ্রামের বাসিন্দা ওই নারীকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করে একদল অধিকারকর্মী। তিনি এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। গুমলায় শিশু কল্যাণ কমিটির সহায়তায় আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
ওই নারী বলেন, ‘তারা আমাদের টাকার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। তারা শুধু চেয়েছে তাদের জন্য আমি সন্তান জন্ম দিই।’
ওই দুই তরুণীর বক্তব্য অনুযায়ী, দিল্লির একটি প্লেসমেন্ট এজেন্সি নারী-কিশোরী পাচারে জড়িত। আড়ালে তারা সারোগেসির ব্যবসা করে। সম্প্রতি পান্নালাল নামে ঝাড়খণ্ডের এক নারী পাচারকারী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, গত ১৫ বছরে পাঁচ হাজারেরও বেশি মেয়েকে রাজ্য থেকে পাচার করেছেন। আর এই পাচারের কাজ করেই তিনি কোটিপতি হয়েছেন।
রাজ্যের শিশুকল্যাণ কর্মকর্তা বৈদ্যনাথ কুমার এই ঘটনায় দিল্লির প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলোকেই দায়ী করেছেন। ঝাড়খণ্ড সরকার এই ঘটনা নিয়ে দিল্লি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলার শিশুকল্যাণ কমিটির সাবেক সদস্য বাসন্তী মুন্ডা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোকে টার্গেট করে প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলো। আঠারো বছরের কম বয়সী কিশোরীদের গৃহপরিচারিকার কাজ দেওয়ার কথা বলে পাচার করে তারা। বাসন্তী মুন্ডার দাবি, এই বয়সের মেয়েরা বুদ্ধিতে পরিণত না হওয়ায় সহজেই জালে ফাঁসাতে পারে এজেন্সিগুলো। সচ্ছল জীবনের আশায় তারা শহরে কাজের টোপ উপেক্ষা করতে পারে না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বহুদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, কিছু সংগঠিত চক্র ঝাড়খণ্ড থেকে কিশোরী ও তরুণীদের পাচার করছে। নাগরিক সমাজের একাধিক গ্রুপের হিসাব অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার শিশু পাচারের শিকার হয়। তাদের হয় গৃহপরিচারিকার কাজে লাগানো হয় অথবা দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়।
তবে পাচার করে সারোগেসিতে বাধ্য করার ঘটনা এর আগে কখনো শোনা যায়নি।
ঝাড়খণ্ডের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএন প্রধান বলেন, এটা সাধারণত ঘটে না। কিন্তু সম্প্রতি আমরা এমন কয়েকটি ঘটনা পেয়েছি। এই রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটছে, এটা খুব উদ্বেগের।
এদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন, দিল্লি থেকে দুইজন উদ্ধার হওয়ার ঘটনাই শেষ নয়। গুমলা এবং লোহারদাগা জেলা থেকে এমন বেশ কয়েকজন মেয়েকে পাচার করে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি ঝাড়খণ্ডেই বিক্রি করার জন্য এভাবে সন্তান জন্মের ঘটনাও আছে।
লোহারদাগা জেলার আরাহাসা গ্রামের এক বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা জগত্রম মাহাতো বলেন, তাঁর গ্রাম থেকে বহু মেয়েকে কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে সারোগেসিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো নিজের গ্রামেই সন্তান জন্ম দিয়েছে। পরে এজেন্ট এসে সেই শিশুকে নিয়ে গেছে। এই কাজের জন্য নারীদের খুব কম টাকা দেওয়া হয়। আর সারোগেট মাদার কিশোরী হলে যা দেওয়া হয় তা অতিনগণ্য।
স্থানীয় এনজিও শক্তি বাহিনী বলছে, দিল্লিতে তারা ঝাড়খণ্ডের শতাধিক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী পরিচালিত এনজিও বাচপান বাঁচাও আন্দোলন পুরো ভারত থেকে উদ্ধার করেছে ৮০ হাজার শিশু। এদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ঝাড়খণ্ড ও বিহার রাজ্যের।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৪ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৪ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৮ দিন আগে