স্বেচ্ছাসেবী সেজে এক কেজি আটার বিনিময়ে নেয় এনআইডি–ছবি, বিক্রি করে জুয়ার চক্রে

নীলফামারী প্রতিনিধি
Thumbnail image

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে এক কেজি আটার বিনিময়ে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ছবি সংগ্রহ করেছে একটি চক্র। সংগৃহীত এনআইডি ব্যবহার করে জুয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তারা। এরপর অনলাইন জুয়াড়িদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সেসব অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে।

অন্যের এনআইডির ছবি দিয়ে বিভিন্ন জুয়ার ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে বিক্রির এই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা নীলফামারীর সদরে জনকল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আরাজি রামকলা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মান্নু (২৪), ভবেশ রায়ের ছেলে রাগর রায় (২২) ও জিয়ারুল রহমানের ছেলে জাকির (১৯) এবং গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের মধ্যপাড়া গ্রামের মজিদুল ইসলামের ছেলে শয়ন মিয়া (২৫)।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনকল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের নামে মাসব্যাপী জনসেবার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি সংগ্রহ করে। এর বিনিময়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এক কেজি আটার প্যাকেট। এনআইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে বিভিন্ন জুয়ার সাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে চক্রটি। পরে অ্যাকাউন্টগুলো অনলাইন ‍জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।

ওসি বলেন, মূলত ওয়েবসাইটগুলোতে গ্রাহককে লোভ দেখিয়ে জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়। লেনদেন করে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নীলফামারীর পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম সবুর বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রচার, প্রকাশ ও হস্তান্তরের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে। তাই প্রলোভনে পড়ে গোপনীয় তথ্য অন্য কারও কাছে হস্তান্তর না করার জন্য সচেতন হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত