আদিবা নওমী
প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন
বসন্ত এলেই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি যেমন নানা রঙের ফুলে সাজে, তেমনি বাঙালি বিভিন্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে ঋতুরাজকে বরণ করে নেয়। দোলযাত্রা ও হলি উৎসব এর মধ্যে অন্যতম। বসন্তের মাধ্যমে প্রকৃতি আমাদের নতুন রূপে সাজাতে অনুপ্রেরণা দেয়। বসন্ত ঋতু বাঙালির প্রাণের সঙ্গে মিশে গেছে। তবে কবে থেকে এবং কে এই উৎসব শুরু করলেন, সে ইতিহাস অনেকেরই অজানা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তের উৎসব পালনের রীতি চলে আসছে। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদ্যাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ নিয়মিত এই আয়োজন করে আসছে। ১৯৬০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে সমীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরু করেন ‘ঋতুরাজ উৎসব’। সেই ঋতুরাজ উৎসবই এ সময়ের বসন্ত উৎসব। আগে বসন্তের যে কোনো দিন উৎসবটি পালন করা হলেও, পরে বসন্তের প্রথম দিনেই এটি পালন করার চল শুরু হয়।
রাকিবুল হাসান রাকিব
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ফাগুনের আগুনে মন রাঙাবে বাঙালি
আমের মুকুল নাকি, কোকিলের কুহু তান, কে নিয়ে আসে বসন্তের আগমনী বার্তা? উত্তর খুঁজতে গেলে কিছুটা দ্বিধায় পড়তে হবে। কিন্তু প্রকৃতি দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিলেই ফাগুনের হাওয়া বইতে থাকে—এ কথা নিশ্চিত। বসন্ত এসে গেছে, সেই সঙ্গে মৃদু মৃদু বাতাস শীতের রুক্ষতা দূর করে মনকে উদাস করে দিচ্ছে। বসন্ত আসা মানেই মনে করিয়ে দেওয়া যে, আমার আপনহারা প্রাণ, আমার বাঁধন-ছেঁড়া প্রাণ! বসন্ত মানেই পায়ে পায়েল রুমঝুম; ফাল্গুনে শুরু হয় গুনগুনানী, ভোমরা গায় ঘুম ভাঙানি, একঝাঁক পাখি এসে ঐকতানে, গান গায় একসঙ্গে ভোরবিহানে। বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এই আবেগ যেমন মানুষে মানুষে, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও সমানভাবে। তাই বছর ঘুরে বসন্তবরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। প্রত্যাশা রইল, ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে বাঙালি।
আকিব রুবাইয়াত তাহমিদ
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বসন্ত উৎসবের নতুন মাত্রা যোগ করে
বসন্তকাল প্রকৃতি ও মানব হৃদয়ের উৎসবের দূত। দীর্ঘ প্রতিকূল সময় পেরিয়ে জনজীবন যখন ক্লান্ত, তখনই শান্তি ও শুভ্রতার বাণী নিয়ে হাজির হয় এই ঋতু। বসন্তের আগমনে একদিকে পলাশ, শিমুল কিংবা পারিজাতের রক্তিম বর্ণ তারুণ্যের হৃদয়ে বিপ্লবের সঞ্চার করে। অন্যদিকে বৃক্ষের নতুন কুঁড়ি সাহস জোগায় নতুন করে বাঁচার। বসন্তের আবর্তনকে কেন্দ্র করে পালিত হয় রাসপূর্ণিমা মেলা, বসন্তবরণ উৎসব। এ ছাড়া বসন্ত নতুন এক মাত্রা যোগ করে ভালোবাসা দিবস, বইমেলাসহ আরও নানা আয়োজনে। এ যেন চারদিকে উৎসবের রব।
মাহমুদ হাসান রিয়াদ
শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
বসন্ত মানে একরাশ তরতাজা অনুভূতি
বসন্তের মাতাল সমীরণ দোলা দেয় মনে। প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে ব্যাকুল হয় প্রাণ। প্রিয়জনকে নিয়ে ভালোবাসার দিগন্ত ছুঁতে চাইবেন যে কেউ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম দিনটিকে বেছে নেয় মনের মানুষের কাছে প্রণয়নের কথা নিবেদনের জন্য। গোলাপের গুচ্ছ নিয়ে একসঙ্গে বাইরে ঘুরে বেড়ানো, কোথাও খেতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দিনটি কাটবে অনেকেরই। কারও প্রেমের প্রথম কুঁড়িটিও হয়তো লাজুক চোখ মেলে তাকাবে পয়লা বসন্তের আলোয়। বসন্ত পাঠক, কবি, লেখকের মনেও সৃষ্টি করে অপার আলোড়নের। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে তারাও ডুব দেন বসন্তের অতল গভীরে। বসন্ত মানেই যে একরাশ তরতাজা অনুভূতি, স্নিগ্ধ আবহাওয়া, আর প্রাণ খুলে হাসার হাজারো কারণ-অকারণ। সব মিলিয়ে আনন্দে কাটুক এ ব্যস্ত নগরীর প্রতিটি মানুষের এই লীলাময়ী ফাল্গুন।
ইসরাত জাহান মুনা
শিক্ষার্থী, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড টেকনোলজি
প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন
বসন্ত এলেই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি যেমন নানা রঙের ফুলে সাজে, তেমনি বাঙালি বিভিন্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে ঋতুরাজকে বরণ করে নেয়। দোলযাত্রা ও হলি উৎসব এর মধ্যে অন্যতম। বসন্তের মাধ্যমে প্রকৃতি আমাদের নতুন রূপে সাজাতে অনুপ্রেরণা দেয়। বসন্ত ঋতু বাঙালির প্রাণের সঙ্গে মিশে গেছে। তবে কবে থেকে এবং কে এই উৎসব শুরু করলেন, সে ইতিহাস অনেকেরই অজানা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তের উৎসব পালনের রীতি চলে আসছে। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদ্যাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ নিয়মিত এই আয়োজন করে আসছে। ১৯৬০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে সমীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরু করেন ‘ঋতুরাজ উৎসব’। সেই ঋতুরাজ উৎসবই এ সময়ের বসন্ত উৎসব। আগে বসন্তের যে কোনো দিন উৎসবটি পালন করা হলেও, পরে বসন্তের প্রথম দিনেই এটি পালন করার চল শুরু হয়।
রাকিবুল হাসান রাকিব
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ফাগুনের আগুনে মন রাঙাবে বাঙালি
আমের মুকুল নাকি, কোকিলের কুহু তান, কে নিয়ে আসে বসন্তের আগমনী বার্তা? উত্তর খুঁজতে গেলে কিছুটা দ্বিধায় পড়তে হবে। কিন্তু প্রকৃতি দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিলেই ফাগুনের হাওয়া বইতে থাকে—এ কথা নিশ্চিত। বসন্ত এসে গেছে, সেই সঙ্গে মৃদু মৃদু বাতাস শীতের রুক্ষতা দূর করে মনকে উদাস করে দিচ্ছে। বসন্ত আসা মানেই মনে করিয়ে দেওয়া যে, আমার আপনহারা প্রাণ, আমার বাঁধন-ছেঁড়া প্রাণ! বসন্ত মানেই পায়ে পায়েল রুমঝুম; ফাল্গুনে শুরু হয় গুনগুনানী, ভোমরা গায় ঘুম ভাঙানি, একঝাঁক পাখি এসে ঐকতানে, গান গায় একসঙ্গে ভোরবিহানে। বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এই আবেগ যেমন মানুষে মানুষে, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও সমানভাবে। তাই বছর ঘুরে বসন্তবরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। প্রত্যাশা রইল, ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে বাঙালি।
আকিব রুবাইয়াত তাহমিদ
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বসন্ত উৎসবের নতুন মাত্রা যোগ করে
বসন্তকাল প্রকৃতি ও মানব হৃদয়ের উৎসবের দূত। দীর্ঘ প্রতিকূল সময় পেরিয়ে জনজীবন যখন ক্লান্ত, তখনই শান্তি ও শুভ্রতার বাণী নিয়ে হাজির হয় এই ঋতু। বসন্তের আগমনে একদিকে পলাশ, শিমুল কিংবা পারিজাতের রক্তিম বর্ণ তারুণ্যের হৃদয়ে বিপ্লবের সঞ্চার করে। অন্যদিকে বৃক্ষের নতুন কুঁড়ি সাহস জোগায় নতুন করে বাঁচার। বসন্তের আবর্তনকে কেন্দ্র করে পালিত হয় রাসপূর্ণিমা মেলা, বসন্তবরণ উৎসব। এ ছাড়া বসন্ত নতুন এক মাত্রা যোগ করে ভালোবাসা দিবস, বইমেলাসহ আরও নানা আয়োজনে। এ যেন চারদিকে উৎসবের রব।
মাহমুদ হাসান রিয়াদ
শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
বসন্ত মানে একরাশ তরতাজা অনুভূতি
বসন্তের মাতাল সমীরণ দোলা দেয় মনে। প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে ব্যাকুল হয় প্রাণ। প্রিয়জনকে নিয়ে ভালোবাসার দিগন্ত ছুঁতে চাইবেন যে কেউ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম দিনটিকে বেছে নেয় মনের মানুষের কাছে প্রণয়নের কথা নিবেদনের জন্য। গোলাপের গুচ্ছ নিয়ে একসঙ্গে বাইরে ঘুরে বেড়ানো, কোথাও খেতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দিনটি কাটবে অনেকেরই। কারও প্রেমের প্রথম কুঁড়িটিও হয়তো লাজুক চোখ মেলে তাকাবে পয়লা বসন্তের আলোয়। বসন্ত পাঠক, কবি, লেখকের মনেও সৃষ্টি করে অপার আলোড়নের। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে তারাও ডুব দেন বসন্তের অতল গভীরে। বসন্ত মানেই যে একরাশ তরতাজা অনুভূতি, স্নিগ্ধ আবহাওয়া, আর প্রাণ খুলে হাসার হাজারো কারণ-অকারণ। সব মিলিয়ে আনন্দে কাটুক এ ব্যস্ত নগরীর প্রতিটি মানুষের এই লীলাময়ী ফাল্গুন।
ইসরাত জাহান মুনা
শিক্ষার্থী, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড টেকনোলজি
মাইলস্টোন কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরার ডিয়াবাড়িতে অবস্থিত কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণ করে নবম শ্রেণির সকল বালিকা। এ সময় তারা উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, দড়ি লাফ, সাইক্লিং, হ্যান্ডবল, দৌড় প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন একক ও দলগত প্রতিযোগিতায়
৯ ঘণ্টা আগেনর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) স্টার্টআপস নেক্সট গত বুধবার দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ভ্রমণ প্রযুক্তি নির্ভর স্টার্টআপ ‘শেয়ার ট্রিপ’-এর সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সফল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার কৌশল তুলে ধরেন শেয়ার ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক। অনুষ্
১৯ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার আইইউবিএটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের উদ্যোগে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়।
১৯ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১ দিন আগে