বিনোদন ডেস্ক
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সাম্প্রতিক একটি পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান নিয়ে ‘মশকরা’ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীজাত।
এ বিষয়ে আজ ফেসবুকে শ্রীজাত একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সম্ভবত কাজলকে বাঙালি বংশোদ্ভুত হিসেবে পেয়েই রবীন্দ্রনাথের একটি গানকে মশকরার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। একলা চলো রে গানটি নিয়ে কৃষ্ণা অভিষেক যে ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি করেছেন, তা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই কদর্য উপস্থাপনার বিরুদ্ধে আমি আমার লিখিত অভিযোগ ও আপত্তি জানালাম। যে বা যাঁরা ওই কৌতুকদৃশ্য রচনায়, উপস্থাপনায়, অনুমোদনে ও সম্প্রচারে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালাম।’
শ্রীজাত আরও লিখেছেন, ‘কৌতুক আর তামাশার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম রেখা আছে, সেটা ঝাপসা হয়ে এলেই বিপদ। কী বলছি, কাকে নিয়ে বলছি, কতটুকু বলছি—এসব না ভেবে কেবল লোক হাসানো টিআরপির জন্য নিবেদিতপ্রাণ হতে হতে মানুষ এক সময়ে নিজের সীমা বিস্মৃত হয়। তখন তাকে মনে করিয়ে দিতে হয়, এই চৌকাঠ পেরোনো তোমার উচিত হয়নি। আমি সেটুকুই করছি। বাঙালি মনীষীদের নাম বা কাজ নিয়ে ইচ্ছেমতো হাসিঠাট্টা করাই যায়, ভারতের অন্যান্য অংশের কিছু বাসিন্দাদের এমনটাই ধারণা। বাংলা ভাষা থেকে সংস্কৃতি, সবটাই তাঁদের কাছে খোরাক। ভারতের নানা অংশে ঘুরে দেখেছি, বাঙালিদের সবকিছু নিয়ে একটু ঠাট্টা-ইয়ার্কি অনেকেরই মজ্জাগত।’
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোয়ের ওই পর্বে অতিথি ছিলেন কাজল, কৃতি শ্যানন ও সাহির শেখ। একলা চলো রে গান নিয়ে মশকরা কাজলও উপভোগ করেছেন, বিন্দুমাত্র আপত্তি জানাননি—এমন অভিযোগ করেছেন শ্রীজাত। তিনি লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, গালিব, কবীর বা প্রেমচন্দের লাইন নিয়ে এমন কুৎসিত মস্করা করার সাহস হতো না এঁদের। পরের দিন শো বন্ধ হয়ে যেত। বাঙালি এসব ঠাট্টায় অভ্যস্ত, অতএব বাঙালিকে নিয়ে মস্করা করাই যায়, তাও আবার একজন বাঙালি অভিনেত্রীর সামনে, যিনি এই মস্করায় হেসে গড়িয়ে পড়ছেন। …দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর গানের অবমাননা করার পরিপ্রেক্ষিতে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন সামান্য অক্ষরকর্মী হিসেবে আমি অসম্মানিত ও আহত বোধ করছি। আমি মনে করছি, এ-অসম্মান রবীন্দ্রনাথের একার প্রতি নয়, বরং সমস্ত ভারতীয় ভাষাভাষী শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি অসম্মান, বাংলা যার মধ্যে অন্যতম ভাষা।’
সবশেষে শ্রীজাত লিখেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবির সঙ্গে পরামর্শ করেই এই পোস্ট লিখছি। আজ থেকে এক সপ্তাহ, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে আমার দাবিগুলি গৃহীত, বিবেচিত এবং পূর্ণ না হলে আমি আইনের পথে হাঁটব।’
কী ঘটেছিল ওই পর্বে?
যে পর্বটি নিয়ে শ্রীজাত আপত্তি তুলেছেন, সেটি নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং হয় গত ২৬ অক্টোবর। ৪৫ মিনিটের অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে জ্যাকি শ্রফের বেশে অনুষ্ঠানে আসেন কৃষ্ণা অভিষেক। একপর্যায়ে তিনি কাজলকে বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন আছো? সব ভালো?’ তারপর পরামর্শ দেন, ‘জিন্দেগি মে পাঁচলা চলো’। কপিল তাঁকে সংশোধন করে দেন, ‘একলা চলো’। আপত্তি জানিয়ে জ্যাকিরূপী কৃষ্ণা বলেন, ‘না, না, একলা চলা যাবে না। একদিন আমি গলি দিয়ে একলা যাচ্ছিলাম, তখন পাঁচটা কুকুর চলে আসে।’ এরপর ওই কুকুরগুলো তার কী হাল করেছিল, রসিকতার ছলে তা বর্ণনা করতে থাকেন কৃষ্ণা অভিষেক। মূলত এ বিষয়টি নিয়েই খেপেছেন শ্রীজাত। তাঁর এ আপত্তি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি কপিল শর্মা কিংবা নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ।
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সাম্প্রতিক একটি পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান নিয়ে ‘মশকরা’ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীজাত।
এ বিষয়ে আজ ফেসবুকে শ্রীজাত একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সম্ভবত কাজলকে বাঙালি বংশোদ্ভুত হিসেবে পেয়েই রবীন্দ্রনাথের একটি গানকে মশকরার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। একলা চলো রে গানটি নিয়ে কৃষ্ণা অভিষেক যে ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি করেছেন, তা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই কদর্য উপস্থাপনার বিরুদ্ধে আমি আমার লিখিত অভিযোগ ও আপত্তি জানালাম। যে বা যাঁরা ওই কৌতুকদৃশ্য রচনায়, উপস্থাপনায়, অনুমোদনে ও সম্প্রচারে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালাম।’
শ্রীজাত আরও লিখেছেন, ‘কৌতুক আর তামাশার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম রেখা আছে, সেটা ঝাপসা হয়ে এলেই বিপদ। কী বলছি, কাকে নিয়ে বলছি, কতটুকু বলছি—এসব না ভেবে কেবল লোক হাসানো টিআরপির জন্য নিবেদিতপ্রাণ হতে হতে মানুষ এক সময়ে নিজের সীমা বিস্মৃত হয়। তখন তাকে মনে করিয়ে দিতে হয়, এই চৌকাঠ পেরোনো তোমার উচিত হয়নি। আমি সেটুকুই করছি। বাঙালি মনীষীদের নাম বা কাজ নিয়ে ইচ্ছেমতো হাসিঠাট্টা করাই যায়, ভারতের অন্যান্য অংশের কিছু বাসিন্দাদের এমনটাই ধারণা। বাংলা ভাষা থেকে সংস্কৃতি, সবটাই তাঁদের কাছে খোরাক। ভারতের নানা অংশে ঘুরে দেখেছি, বাঙালিদের সবকিছু নিয়ে একটু ঠাট্টা-ইয়ার্কি অনেকেরই মজ্জাগত।’
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোয়ের ওই পর্বে অতিথি ছিলেন কাজল, কৃতি শ্যানন ও সাহির শেখ। একলা চলো রে গান নিয়ে মশকরা কাজলও উপভোগ করেছেন, বিন্দুমাত্র আপত্তি জানাননি—এমন অভিযোগ করেছেন শ্রীজাত। তিনি লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, গালিব, কবীর বা প্রেমচন্দের লাইন নিয়ে এমন কুৎসিত মস্করা করার সাহস হতো না এঁদের। পরের দিন শো বন্ধ হয়ে যেত। বাঙালি এসব ঠাট্টায় অভ্যস্ত, অতএব বাঙালিকে নিয়ে মস্করা করাই যায়, তাও আবার একজন বাঙালি অভিনেত্রীর সামনে, যিনি এই মস্করায় হেসে গড়িয়ে পড়ছেন। …দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর গানের অবমাননা করার পরিপ্রেক্ষিতে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন সামান্য অক্ষরকর্মী হিসেবে আমি অসম্মানিত ও আহত বোধ করছি। আমি মনে করছি, এ-অসম্মান রবীন্দ্রনাথের একার প্রতি নয়, বরং সমস্ত ভারতীয় ভাষাভাষী শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি অসম্মান, বাংলা যার মধ্যে অন্যতম ভাষা।’
সবশেষে শ্রীজাত লিখেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবির সঙ্গে পরামর্শ করেই এই পোস্ট লিখছি। আজ থেকে এক সপ্তাহ, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে আমার দাবিগুলি গৃহীত, বিবেচিত এবং পূর্ণ না হলে আমি আইনের পথে হাঁটব।’
কী ঘটেছিল ওই পর্বে?
যে পর্বটি নিয়ে শ্রীজাত আপত্তি তুলেছেন, সেটি নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং হয় গত ২৬ অক্টোবর। ৪৫ মিনিটের অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে জ্যাকি শ্রফের বেশে অনুষ্ঠানে আসেন কৃষ্ণা অভিষেক। একপর্যায়ে তিনি কাজলকে বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন আছো? সব ভালো?’ তারপর পরামর্শ দেন, ‘জিন্দেগি মে পাঁচলা চলো’। কপিল তাঁকে সংশোধন করে দেন, ‘একলা চলো’। আপত্তি জানিয়ে জ্যাকিরূপী কৃষ্ণা বলেন, ‘না, না, একলা চলা যাবে না। একদিন আমি গলি দিয়ে একলা যাচ্ছিলাম, তখন পাঁচটা কুকুর চলে আসে।’ এরপর ওই কুকুরগুলো তার কী হাল করেছিল, রসিকতার ছলে তা বর্ণনা করতে থাকেন কৃষ্ণা অভিষেক। মূলত এ বিষয়টি নিয়েই খেপেছেন শ্রীজাত। তাঁর এ আপত্তি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি কপিল শর্মা কিংবা নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। এ উপলক্ষে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। নির্বাচিত এসব অনুষ্ঠানের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
৪ ঘণ্টা আগেআজ বাংলা পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম দিন। বাংলা নববর্ষে সারা দেশ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে। আয়োজন করা হয়েছে কনসার্ট আর সংগীতানুষ্ঠানের। এসব অনুষ্ঠানে গানে গানে দর্শক মাতাবেন দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও ব্যান্ড।
৪ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে ‘লেট মি আউট’ নাটক দিয়ে ঢাকার মঞ্চে যাত্রা শুরু করে নাট্যদল ‘তাড়ুয়া’। এখন পর্যন্ত মঞ্চে তিনটি নাটক নিয়ে এসেছে দলটি। প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মাথায় নতুন নাটক নিয়ে আসছে তাড়ুয়া। নাম ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। এরিখ মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন রুনা কাঞ্চন...
৪ ঘণ্টা আগেবাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নতুন গান প্রকাশ করেছে ব্যান্ড নকশীকাঁথা। দলটির ইউটিউব চ্যানেলে গত শনিবার প্রকাশ পেয়েছে ‘জরিনা’ শিরোনামের গানটি। গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক এবং নকশীকাঁথা ব্যান্ডের প্রধান সাজেদ ফাতেমী জানান, ২০ বছর আগে লেখা হয়েছিল জরিনা। নানা জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখল গানটি।
৪ ঘণ্টা আগে