সম্প্রতি ভারতীয় বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের পর থেকে আবারও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলিউড তারকা সালমান খানের। বাবা সিদ্দিকীকে হত্যার পেছনে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার সন্দেহে সালমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। কারণ ওই গ্যাংয়ের মূল টার্গেটই এ বলিউড স্টার। প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই আতঙ্কের শেষ কোথায়!
এর সমাধান একটাই—বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে অপরাধী ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত ‘মুক্তিধাম মোকাম’ মন্দিরে যেতে হবে। সেখানে একাগ্রচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ’ এর সদস্যরা ক্ষমার সিদ্ধান্তে আসলে তবেই হয়তো এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
ভাইজান সালমানের জীবনের ঝুঁকির সূত্রপাত ১৯৯৮ সালে। সে সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান। এর আগে বেশ কয়েকবার খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি সালমানের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই জড়িত।
এ ছাড়াও প্রায় মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়। বিদেশে সালমান খানের বন্ধু-গায়কের বাড়িতে হামলা করে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। এ কারণে ওয়াই ক্যাটাগরির পাশাপাশি বর্তমানে সালমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন তিনি।
কী করলে বিষ্ণোইদের থেকে মুক্তি পাবেন সালমান খান, এমন প্রশ্নে রাজস্থানের সেই বিষ্ণোই সম্প্রদায় থেকেই দেওয়া হয় সমাধানের পথ। যাঁরা কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতা হিসেবে পূজা করেন।
বিষ্ণোইরা মনে করেন, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে গর্হিত অপরাধ করেছেন সালমান খান। যেটি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আচারবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজের সম্পাদক হনুমানরাম বিষ্ণোইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী-বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত মুক্তিধাম মোকামে যেতে হবে।
মূলত এই মন্দির বিষ্ণোইদের সব থেকে পবিত্র ধর্মীয় স্থান। তাঁদের সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করেন, তবে তাঁর মধ্যে অবশ্যই অনুশোচনাবোধ থাকতে হবে। যা তাঁকে প্রায়শ্চিত্তের পথে নিয়ে যাবে। কেউ যদি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনোরকম অপরাধ বা অন্যায় করেন, তাহলে তাঁকে মুক্তিধাম মোকামে গিয়ে পুরো সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষমা চাওয়া হলে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে যাচাই করেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
হনুমানরামের মন্তব্য, ‘তাঁদের সম্প্রদায়ভুক্ত মোট ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। যতক্ষণ না সালমান খান ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তিনি “শাস্তির প্রাপক”।’
এ দিকে সালমান খানের বাবা সেলিম খানের মন্তব্য, যে ছেলে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দিন একটা আরশোলা পর্যন্ত মারতে পারেনি, সে কীভাবে হরিণ মারবে? তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
এ বিষয়ে একই ধরনের বক্তব্য সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলিরও। এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সালমান এই বিষয়ে তাঁকে বলেছিলেন, হরিণ হত্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। শুধু তাই নয়, সালমান খানের হয়ে বিষ্ণোইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সোমি।
সম্প্রতি ভারতীয় বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের পর থেকে আবারও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলিউড তারকা সালমান খানের। বাবা সিদ্দিকীকে হত্যার পেছনে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার সন্দেহে সালমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। কারণ ওই গ্যাংয়ের মূল টার্গেটই এ বলিউড স্টার। প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই আতঙ্কের শেষ কোথায়!
এর সমাধান একটাই—বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে অপরাধী ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত ‘মুক্তিধাম মোকাম’ মন্দিরে যেতে হবে। সেখানে একাগ্রচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ’ এর সদস্যরা ক্ষমার সিদ্ধান্তে আসলে তবেই হয়তো এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
ভাইজান সালমানের জীবনের ঝুঁকির সূত্রপাত ১৯৯৮ সালে। সে সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান। এর আগে বেশ কয়েকবার খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি সালমানের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই জড়িত।
এ ছাড়াও প্রায় মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়। বিদেশে সালমান খানের বন্ধু-গায়কের বাড়িতে হামলা করে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। এ কারণে ওয়াই ক্যাটাগরির পাশাপাশি বর্তমানে সালমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন তিনি।
কী করলে বিষ্ণোইদের থেকে মুক্তি পাবেন সালমান খান, এমন প্রশ্নে রাজস্থানের সেই বিষ্ণোই সম্প্রদায় থেকেই দেওয়া হয় সমাধানের পথ। যাঁরা কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতা হিসেবে পূজা করেন।
বিষ্ণোইরা মনে করেন, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে গর্হিত অপরাধ করেছেন সালমান খান। যেটি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আচারবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজের সম্পাদক হনুমানরাম বিষ্ণোইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী-বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত মুক্তিধাম মোকামে যেতে হবে।
মূলত এই মন্দির বিষ্ণোইদের সব থেকে পবিত্র ধর্মীয় স্থান। তাঁদের সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করেন, তবে তাঁর মধ্যে অবশ্যই অনুশোচনাবোধ থাকতে হবে। যা তাঁকে প্রায়শ্চিত্তের পথে নিয়ে যাবে। কেউ যদি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনোরকম অপরাধ বা অন্যায় করেন, তাহলে তাঁকে মুক্তিধাম মোকামে গিয়ে পুরো সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষমা চাওয়া হলে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে যাচাই করেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
হনুমানরামের মন্তব্য, ‘তাঁদের সম্প্রদায়ভুক্ত মোট ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। যতক্ষণ না সালমান খান ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তিনি “শাস্তির প্রাপক”।’
এ দিকে সালমান খানের বাবা সেলিম খানের মন্তব্য, যে ছেলে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দিন একটা আরশোলা পর্যন্ত মারতে পারেনি, সে কীভাবে হরিণ মারবে? তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
এ বিষয়ে একই ধরনের বক্তব্য সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলিরও। এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সালমান এই বিষয়ে তাঁকে বলেছিলেন, হরিণ হত্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। শুধু তাই নয়, সালমান খানের হয়ে বিষ্ণোইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সোমি।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদ। আজ ১৬ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাসার নিকটতম উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেঅস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমানের কারণেই নাকি ভারতের এই শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে! তাঁর কারণেই ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা কাজ হারাচ্ছেন। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করেছেন বলিউডের প্লেব্যাক শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
১৪ ঘণ্টা আগেবহুকাল ধরে বাঙালি প্রেমিকের হৃদয়ে গোপন প্রিয়তমার রূপক হয়ে আছেন জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’। রহস্যময় চরিত্রটি নিয়ে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। নাম ‘বনলতা সেন’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন খায়রুল বাসার। তবে তিনি কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন...
২০ ঘণ্টা আগেগত কয়েকটা বছর কঠিন সময় পার করেছেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে চলছিল আইনি জটিলতা। তার প্রভাব দেখা গেছে অভিনয়েও। আলোচিত সেই মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন জনি ডেপ। ভক্তরাও অপেক্ষায় প্রিয় অভিনেতাকে হলিউড সিনেমায় দেখার। এবার শেষ হতে চলেছে...
২০ ঘণ্টা আগে