Ajker Patrika

গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ: পরীমণি বললেন ষড়যন্ত্র

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ০৭
পরীমণি। ছবি:সংগৃহীত
পরীমণি। ছবি:সংগৃহীত

গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ভাটারা থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পুরোটাই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এবং এটা একটা ষড়যন্ত্র। এমনকি সেই নারীকে নিজের গৃহকর্মী নয় বলে দাবি করেন তিনি।

গৃহকর্মীর করা অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে পরীমণির সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, সে আমার গৃহকর্মী ছিল না। আমার বাচ্চাদের সঙ্গ দেওয়া আর দেখাশোনা করা এক জিনিস নয়। আমি তাকে আমার বাচ্চাদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য রাখি। দেখাশোনা করতে হলে তো একজনকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। সে শারীরিকভাবে সুস্থ না। তার পায়ে সমস্যা আছে, ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। তার একটা বাচ্চা আছে। এ ধরনের নানা ইমোশনাল গল্প আমাকে শোনায়। আমাকে বলে, শুনেছি, আপনি অনেক ভালো মানুষ। আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেন। আমার বাচ্চাটা অনেক কষ্টে আছে।’

পরীমণি। ছবি:সংগৃহীত
পরীমণি। ছবি:সংগৃহীত

পরীমণি আরও বলেন, ‘আমার বাসায় আসার পর প্রথম কয়েক দিন তার দুঃখের কথা শোনায়। মনে হচ্ছিল, তার চেয়ে দুঃখী মানুষ আর নেই। সব সময় মুখ অন্ধকার করে বসে থাকত। মাঝে মাঝে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিত। জিজ্ঞাসা করলেই নানা সমস্যার কথা বলত। টাকা চাইত। এই সমস্যা যদি নিয়মিত হতে থাকে, তাহলে কারও ভালো লাগার কথা নয়। একসময় জানিয়ে দিই, এভাবে তাকে রাখাটা আমার পক্ষে সম্ভব না। আর প্রতি সপ্তাহে টাকা দিয়ে তার সমস্যা সমাধান করাও সম্ভব না। সে বুধবার আমার বাসা থেকে চলে যায়। আজ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে মানুষকে দিয়ে ফোন করিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে। তার সঙ্গে যোগাযোগ না করলে সে নাকি নিউজ করিয়ে দেবে। এতেই বোঝা যায়, এটা কত বড় ষড়যন্ত্র। এখন বুঝতে পারছি, কেউ একজন কোনো বড় পরিকল্পনা করে আমার বাসায় তাকে ঢুকিয়েছে। এগুলো নিশ্চয়ই বের হবে। সত্যটা বের হওয়া প্রয়োজন।’

এক মাসের কম সময় কাজ করলেও ওই নারীকে পুরো মাসের বেতন পরিশোধ করে দিয়েছেন বলে জানান পরীমণি। তিনি বলেন, ‘পুরো এক মাস সে কাজ করে নাই। ২৭ দিন কাজ করলেও তাকে আমি পুরো মাসের পারিশ্রমিক বাবদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। ঈদের বোনাস বাবদ ৭ হাজার টাকাও দিয়েছি। নতুন কাপড় কিনে দিলাম, ঈদের সালামি দিলাম। এইগুলো কি তার প্রতিদান? সবকিছু নিয়ে ভাবলে নিজেকে অনেক বোকা লাগে। আল্লাহ বাঁচিয়েছে যে আমার বাচ্চাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। শুরু থেকে ঢাকা শহরে আমি একা থাকি। আমার পুরো সংসার গৃহকর্মীদের দিয়ে চলে। একেকজন পাঁচ বছর, ছয় কিংবা সাত বছর ধরেও আমার সঙ্গে আছে। তারা তো কখনো অভিযোগ করল না। অথচ এই নারী এক মাস কাজ করেই অভিযোগ করে দিল!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত