বিনোদন ডেস্ক
টানা ১৯ দিনের দীর্ঘ লড়াই। ২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলার এই অকাল মৃত্যুতে দুই বাংলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন।
গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঐন্দ্রিলাকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। এরপর কোমায় চলে যান তিনি। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফিরলেন না।
দুইবার ক্যানসারের চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ছোট পর্দার জনপ্রিয় শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর ক্যানসার জয়ের গল্প অনুপ্রাণিত করেছিল অনেককে। জি-বাংলা অরিজিনালের ‘ভোলে বাবা পার করেগা’ সিনেমাতেও দেখা গেছে তাঁকে। ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
ঐন্দ্রিলা ছিল ‘ফাইটার’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ঐন্দ্রিলাকে ‘ফাইটার’ অভিহিত করে তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক শোকবার্তায় মমতা তিনি বলেন, ‘প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এ বছর ‘অসাধারণ প্রত্যাবর্তন’ বিভাগে টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।’ আরও লিখেছেন, ‘ঐন্দ্রিলা মারণরোগের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মরেও জয়ী ঐন্দ্রিলা: জয়া আহসান
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঐন্দ্রিলাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না...তবে ওই কিছু মানুষ থাকে না, যাদের দেখলেই কেমন যেন জীবন ঝকমকিয়ে ওঠে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ও ঠিক তেমনি জীবন হয়ে আমার কাছে ধরা দিয়েছে বারবার। সব সময় মুখে উজ্জ্বল হাসি, জীবনীশক্তিতে দৃপ্ত চোখ, জীবনের প্রতি মুহূর্ত আদর করে বেঁচে নিচ্ছিল মেয়েটা; সঙ্গে বাঁচার আসল মর্মটুকু শিখিয়ে যাচ্ছিল আমাদের প্রতিনিয়ত।
‘কী হবে জীবন, যদি তা এমন অন্ধকার দিনে ব্যথিয়ে না ওঠে...আজ ওর শেষ যাত্রায় যে অসীম অনুপ্রেরণা রেখে গেল ঐন্দ্রিলা, তাতেই শান্তি আসুক...এমন অনুপ্রেরণা ভেন্টিলেশনের হাজার সুঁচকে বারবার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জিতে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।। সেই অসীম ক্ষমতায় ঐন্দ্রিলা আজ জয়ী...মৃত্যু, শোক, ওকে ছুঁয়ে নতুন অর্থ পেল। ভালো থেকো লড়াকু মেয়ে, মনের মাঝে জীবন চেতনা হয়ে অমর থেকো আজীবন।’
ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
ফেসবুকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অল্প কথায় অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। বুম্বাদা লিখেছেন কেবল দু’টি বাক্য—‘ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা। তোমার ইচ্ছাশক্তি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক।’ এই দুই বাক্যের মাধ্যমেই প্রসেনজিৎ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তরুণ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে তিনি কতটা শোকাহত।
আরেকটু সময় যদি ওর সঙ্গে কাটাতে পারতাম, রচনার আক্ষেপ
দিদি নম্বর ওয়ান সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘আগের দু’বার ও লড়াইটা জয় করতে পেরেছিল। কিন্তু এই বারটা আর পারল না মেয়েটা। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি। যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।’ রচনা ব্যানার্জির কথায়, ‘ভীষণ হাসিখুশি প্রাণবন্ত মেয়ে ঐন্দ্রিলা। এক মুহূর্তের জন্য কাউকে বুঝতে দেয়নি, ওর এত বড় একটা রোগ ছিল।’ খানিক আক্ষেপের সুরেই বলেছেন, ‘আরও একটু সময় ওর সঙ্গে কাটাতে পারলে ভালো হতো।’
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঐন্দ্রিলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা সৌরভ দাস বলেন, ‘ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী (প্রেমিক)। শোকে কাতর অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখবেন না সব্যসাচী। কারণ যে মানুষটার কথা শুনে লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি, সেই ঐন্দ্রিলাই তো আর নেই!’
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর আসার পরই রোববার ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। প্রতিদিন ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার আপডেট দিতেন। সব স্মৃতি মুছে দিয়ে একা থাকার চেষ্টা হয়তো!
টানা ১৯ দিনের দীর্ঘ লড়াই। ২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলার এই অকাল মৃত্যুতে দুই বাংলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন।
গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঐন্দ্রিলাকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। এরপর কোমায় চলে যান তিনি। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফিরলেন না।
দুইবার ক্যানসারের চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ছোট পর্দার জনপ্রিয় শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর ক্যানসার জয়ের গল্প অনুপ্রাণিত করেছিল অনেককে। জি-বাংলা অরিজিনালের ‘ভোলে বাবা পার করেগা’ সিনেমাতেও দেখা গেছে তাঁকে। ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
ঐন্দ্রিলা ছিল ‘ফাইটার’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ঐন্দ্রিলাকে ‘ফাইটার’ অভিহিত করে তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক শোকবার্তায় মমতা তিনি বলেন, ‘প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এ বছর ‘অসাধারণ প্রত্যাবর্তন’ বিভাগে টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।’ আরও লিখেছেন, ‘ঐন্দ্রিলা মারণরোগের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মরেও জয়ী ঐন্দ্রিলা: জয়া আহসান
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঐন্দ্রিলাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না...তবে ওই কিছু মানুষ থাকে না, যাদের দেখলেই কেমন যেন জীবন ঝকমকিয়ে ওঠে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ও ঠিক তেমনি জীবন হয়ে আমার কাছে ধরা দিয়েছে বারবার। সব সময় মুখে উজ্জ্বল হাসি, জীবনীশক্তিতে দৃপ্ত চোখ, জীবনের প্রতি মুহূর্ত আদর করে বেঁচে নিচ্ছিল মেয়েটা; সঙ্গে বাঁচার আসল মর্মটুকু শিখিয়ে যাচ্ছিল আমাদের প্রতিনিয়ত।
‘কী হবে জীবন, যদি তা এমন অন্ধকার দিনে ব্যথিয়ে না ওঠে...আজ ওর শেষ যাত্রায় যে অসীম অনুপ্রেরণা রেখে গেল ঐন্দ্রিলা, তাতেই শান্তি আসুক...এমন অনুপ্রেরণা ভেন্টিলেশনের হাজার সুঁচকে বারবার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জিতে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।। সেই অসীম ক্ষমতায় ঐন্দ্রিলা আজ জয়ী...মৃত্যু, শোক, ওকে ছুঁয়ে নতুন অর্থ পেল। ভালো থেকো লড়াকু মেয়ে, মনের মাঝে জীবন চেতনা হয়ে অমর থেকো আজীবন।’
ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
ফেসবুকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অল্প কথায় অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। বুম্বাদা লিখেছেন কেবল দু’টি বাক্য—‘ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা। তোমার ইচ্ছাশক্তি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক।’ এই দুই বাক্যের মাধ্যমেই প্রসেনজিৎ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তরুণ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে তিনি কতটা শোকাহত।
আরেকটু সময় যদি ওর সঙ্গে কাটাতে পারতাম, রচনার আক্ষেপ
দিদি নম্বর ওয়ান সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘আগের দু’বার ও লড়াইটা জয় করতে পেরেছিল। কিন্তু এই বারটা আর পারল না মেয়েটা। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি। যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।’ রচনা ব্যানার্জির কথায়, ‘ভীষণ হাসিখুশি প্রাণবন্ত মেয়ে ঐন্দ্রিলা। এক মুহূর্তের জন্য কাউকে বুঝতে দেয়নি, ওর এত বড় একটা রোগ ছিল।’ খানিক আক্ষেপের সুরেই বলেছেন, ‘আরও একটু সময় ওর সঙ্গে কাটাতে পারলে ভালো হতো।’
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঐন্দ্রিলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা সৌরভ দাস বলেন, ‘ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী (প্রেমিক)। শোকে কাতর অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখবেন না সব্যসাচী। কারণ যে মানুষটার কথা শুনে লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি, সেই ঐন্দ্রিলাই তো আর নেই!’
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর আসার পরই রোববার ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। প্রতিদিন ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার আপডেট দিতেন। সব স্মৃতি মুছে দিয়ে একা থাকার চেষ্টা হয়তো!
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৪ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৫ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১০ ঘণ্টা আগে