অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি টেলিভিশন সিরিজ রপ্তানি করে তুরস্ক। বৈশ্বিক দর্শক চাহিদা পরিমাপক প্রতিষ্ঠান প্যারোট অ্যানালিটিক্সের তথ্য উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তুর্কি টিভি সিরিজের চাহিদা ১৮৪ শতাংশ বেড়েছে। কোরিয়ার টিভি সিরিজের ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধির হার ৭৩ শতাংশ।
‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেঞ্চুরি’ টিভি সিরিজ বৈশ্বিকভাবে প্রচারের মাধ্যমে তুর্কি টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। বাংলাদেশেও এই সিরিজটির বাংলা ডাবিং ‘সুলতান সুলেমান’ নামে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার শুরু হয়। দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এখন নতুন আলোচিত সিরিজটি হচ্ছে জনপ্রিয় তুর্কি অভিনেতা চ্যাগাতে উলুসয়ের অভিনীত ‘গাদ্দার’।
তুর্কি টিভি সিরিজ শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকাতেও জনপ্রিয়। গত বছর তুরস্কের টিভি সিরিজের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ ছিল স্পেন, সৌদি আরব এবং মিসর।
বিদেশে তুর্কি টিভি সিরিজ এত জনপ্রিয় কেন, তাও খতিয়ে দেখেছে ম্যাগাজিনটি। ইকোনমিস্টের মতে, প্রথম কারণটি হলো—এ টিভি সিরিজগুলো দৃশ্যায়ন খুব আকর্ষণীয়। সাধারণত দৃশ্য, অভিজাত পোশাক এবং সুদর্শন অভিনেতা–অভিনেত্রীর কারণে টিভি সিরিজগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। আরব দর্শকেরা তুর্কি টিভি সিরিজ পছন্দ করার একটি কারণ হলো, এখানে মুসলিমদের নায়ক হিসেবে দেখানো হয়; হলিউডের মতো ‘সন্ত্রাসী’ বা ‘ট্যাক্সি চালক’ হিসেবে নয়।
দ্য ইকোনমিস্টের মতে, তুরস্কের টিভি সিরিজ পছন্দ করার আরও একটি কারণ হলো, সেন্সরশিপ। তুর্কি সিরিজগুলোতে মদ্যপানের দৃশ্য ঝাপসা করে দেওয়া হয় এবং যৌনতার দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়। ম্যাগাজিনে বলা হয়, সেন্সরশিপের কারণে তুর্কি পরিচালকেরা সৃজনশীল হতে বাধ্য হোন। ম্যাগাজিনটিতে তুর্কি টিভি সিরিজ ‘এরকেঞ্চি কুস’–এর উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, এ সিরিজটিতে আকুল চাহনি ও দীর্ঘ স্পর্শ দিয়ে যৌনদৃশ্যকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলিং উপন্যাস ‘ইয়োরস ট্রুলি’–এর লেখক অ্যাবি জিমেনেজ টিভি সিরিজ ‘সেন জাল কাপিমি’ অবলম্বনে তাঁর গল্পটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা টেলিভিশন সিরিজগুলোর রগরগে যৌনতা এবং বাড়াবাড়ি নৃশংসতার দৃশ্য থেকে বিরতি নিতে পেরে অনেক দর্শকই খুশি বলে মনে হচ্ছে!
স্প্যানিশ দর্শকেরা আরও বেশি বেশি তুর্কি টিভি সিরিজ নির্মাণের পক্ষে। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাতিন আমেরিকান টিভি সিরিজগুলো গল্প ও দৃশ্যায়ন ‘সস্তা’। তাই তুর্কি টিভি সিরিজের দুর্দান্ত দৃশ্যগুলো মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।
যদিও টিভি সিরিজগুলো তুরস্কে সপ্তাহে একবার এক পর্ব করে প্রচারিত হয়, কিন্তু এগুলো যখন বিদেশে বিক্রি করা হয় তখন পর্বে বিভক্ত করে প্রতিদিন সম্প্রচারিত করা হয়। ইকোনমিস্ট বলছে, টেলিভিশন পরিবেশক ইজ্জেত পিন্টো বলেন, কোরিয়ার নাটকগুলোও ভালো কিন্তু এগুলো মাত্র ১৩ ঘণ্টা দীর্ঘ হয়। তুর্কি টিভি সিরিজগুলো প্রায় ২০০ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়।
প্যারোট অ্যানালিটিক্সের মতে, ২০২০ সালের মে মাসে করোনা মহামারির সময় দিরিলিস এরতুগ্রুল বিশ্বব্যাপী চাহিদায় চতুর্থ শীর্ষ সিরিজ ছিল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘ইসলামি মূল্যবোধের প্রতিফলনের’ জন্য এই সিরিজের প্রশংসা করেছিলেন এবং লাহোরে এরতুগ্রুলের একটি মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছিল। সিরিজের প্রথম পর্বের উর্দু সংস্করণটি ইউটিউবে ১৫ কোটি ৩০ লাখ বার দেখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি টেলিভিশন সিরিজ রপ্তানি করে তুরস্ক। বৈশ্বিক দর্শক চাহিদা পরিমাপক প্রতিষ্ঠান প্যারোট অ্যানালিটিক্সের তথ্য উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তুর্কি টিভি সিরিজের চাহিদা ১৮৪ শতাংশ বেড়েছে। কোরিয়ার টিভি সিরিজের ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধির হার ৭৩ শতাংশ।
‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেঞ্চুরি’ টিভি সিরিজ বৈশ্বিকভাবে প্রচারের মাধ্যমে তুর্কি টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। বাংলাদেশেও এই সিরিজটির বাংলা ডাবিং ‘সুলতান সুলেমান’ নামে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার শুরু হয়। দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এখন নতুন আলোচিত সিরিজটি হচ্ছে জনপ্রিয় তুর্কি অভিনেতা চ্যাগাতে উলুসয়ের অভিনীত ‘গাদ্দার’।
তুর্কি টিভি সিরিজ শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকাতেও জনপ্রিয়। গত বছর তুরস্কের টিভি সিরিজের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ ছিল স্পেন, সৌদি আরব এবং মিসর।
বিদেশে তুর্কি টিভি সিরিজ এত জনপ্রিয় কেন, তাও খতিয়ে দেখেছে ম্যাগাজিনটি। ইকোনমিস্টের মতে, প্রথম কারণটি হলো—এ টিভি সিরিজগুলো দৃশ্যায়ন খুব আকর্ষণীয়। সাধারণত দৃশ্য, অভিজাত পোশাক এবং সুদর্শন অভিনেতা–অভিনেত্রীর কারণে টিভি সিরিজগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। আরব দর্শকেরা তুর্কি টিভি সিরিজ পছন্দ করার একটি কারণ হলো, এখানে মুসলিমদের নায়ক হিসেবে দেখানো হয়; হলিউডের মতো ‘সন্ত্রাসী’ বা ‘ট্যাক্সি চালক’ হিসেবে নয়।
দ্য ইকোনমিস্টের মতে, তুরস্কের টিভি সিরিজ পছন্দ করার আরও একটি কারণ হলো, সেন্সরশিপ। তুর্কি সিরিজগুলোতে মদ্যপানের দৃশ্য ঝাপসা করে দেওয়া হয় এবং যৌনতার দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়। ম্যাগাজিনে বলা হয়, সেন্সরশিপের কারণে তুর্কি পরিচালকেরা সৃজনশীল হতে বাধ্য হোন। ম্যাগাজিনটিতে তুর্কি টিভি সিরিজ ‘এরকেঞ্চি কুস’–এর উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, এ সিরিজটিতে আকুল চাহনি ও দীর্ঘ স্পর্শ দিয়ে যৌনদৃশ্যকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলিং উপন্যাস ‘ইয়োরস ট্রুলি’–এর লেখক অ্যাবি জিমেনেজ টিভি সিরিজ ‘সেন জাল কাপিমি’ অবলম্বনে তাঁর গল্পটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা টেলিভিশন সিরিজগুলোর রগরগে যৌনতা এবং বাড়াবাড়ি নৃশংসতার দৃশ্য থেকে বিরতি নিতে পেরে অনেক দর্শকই খুশি বলে মনে হচ্ছে!
স্প্যানিশ দর্শকেরা আরও বেশি বেশি তুর্কি টিভি সিরিজ নির্মাণের পক্ষে। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাতিন আমেরিকান টিভি সিরিজগুলো গল্প ও দৃশ্যায়ন ‘সস্তা’। তাই তুর্কি টিভি সিরিজের দুর্দান্ত দৃশ্যগুলো মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।
যদিও টিভি সিরিজগুলো তুরস্কে সপ্তাহে একবার এক পর্ব করে প্রচারিত হয়, কিন্তু এগুলো যখন বিদেশে বিক্রি করা হয় তখন পর্বে বিভক্ত করে প্রতিদিন সম্প্রচারিত করা হয়। ইকোনমিস্ট বলছে, টেলিভিশন পরিবেশক ইজ্জেত পিন্টো বলেন, কোরিয়ার নাটকগুলোও ভালো কিন্তু এগুলো মাত্র ১৩ ঘণ্টা দীর্ঘ হয়। তুর্কি টিভি সিরিজগুলো প্রায় ২০০ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়।
প্যারোট অ্যানালিটিক্সের মতে, ২০২০ সালের মে মাসে করোনা মহামারির সময় দিরিলিস এরতুগ্রুল বিশ্বব্যাপী চাহিদায় চতুর্থ শীর্ষ সিরিজ ছিল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘ইসলামি মূল্যবোধের প্রতিফলনের’ জন্য এই সিরিজের প্রশংসা করেছিলেন এবং লাহোরে এরতুগ্রুলের একটি মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছিল। সিরিজের প্রথম পর্বের উর্দু সংস্করণটি ইউটিউবে ১৫ কোটি ৩০ লাখ বার দেখা হয়েছিল।
সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। অবশেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছেন..
৪১ মিনিট আগেনাট্যসংগঠন বটতলা এবং যাত্রিকের যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’র দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। হাওয়ার্ড জিন রচিত, জাভেদ হুসেন অনূদিত এবং নায়লা আজাদ নির্দেশিত এই নাটকের পরপর দুটি প্রদর্শনী মঞ্চস্থ হবে ২০ ও ২১ জানুয়ারি প্রতিদিন সন্ধ্যা
১ ঘণ্টা আগেঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হচ্ছে আজ। ১১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল সিনেমা নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ আয়োজন। এবার ঢাকা উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ৭৫ দেশের ২২০টি সিনেমা।
১ ঘণ্টা আগেএখনো ঘটনার কোনো সুরাহা না হলেও সাইফের ওপর এ হামলা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছে, ‘সদগুরু শরণ’ নামের যে অ্যাপার্টমেন্টে সাইফ-কারিনার বাস, সেখানকার ৯ থেকে ১২ তলা তাঁদের। কিন্তু সেখানে আলাদা কোনো সার্ভেল্যান্স ক্যামেরাই নেই।
১৪ ঘণ্টা আগে