অনলাইন ডেস্ক
খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা, যৌন মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকা বা উচ্চিংড়ের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে, যখন টমাস জেফারসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স থেকে লুইজিয়ানা কিনে নেয়।
আর এমন একটি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার আশায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি রোমাঞ্চিত সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ৩ হাজারটিরও বেশি কীটপতঙ্গ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পরিবারের সদস্য ঘুগরা পোকা। তাদের বেশিরভাগ জীবন পার করে লার্ভা অবস্থায় মাটির নিচে।
তারা রূপান্তরিত এবং মিলিত হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিছু প্রজাতির মাটির নিচ থেকে উত্থান হওয়াটা বার্ষিক ঘটনা এবং অন্যগুলির, যেগুলি পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকা নামে পরিচিত, প্রতি ১৩ বা ১৭ বছরে উত্থান হয়। বিবর্তনের পরিষ্কার ব্যাখ্যা না থাকায় গণিতবিদরা কেন পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকারা মৌলিক সংখ্যা চক্র অনুসরণ করে এই প্রশ্নের জবাব পেতে আগ্রহী দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের এই সময়ে ১৩ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনায় উদ্ভব হতে শুরু করেছে। তারপর মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে আবির্ভূত হবে ১৭ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি। মধ্য ইলিনয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় একই সঙ্গে এ দুটি দলেরই আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
‘যখন এরা আসে, বিপুল সংখ্যায় আসে। মা-বাবারা উত্তেজিত থাকে, তেমনি উত্তেজিত থাকে বাচ্চা-কাচ্চারা।’ বলেন মাউন্ট সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী জেন ক্রিটস্কি।
এই ঘুগরা পোকার আবির্ভাবের সঙ্গে মানুষের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। লোকেরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারে ঘুগরা পোকারা এলাকায় শেষবার যখন হাজির হয় তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন। এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি পারিবারিক গল্পগাথার অংশ হয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন লিল এএফপিকে বলেন, তুলনামূলকভাবে প্রতিরক্ষাহীন, পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকাদের শক্তি তাদের বিপুল সংখ্যায়। যা আবার পাখি, শিয়াল, র্যাকুন, কচ্ছপসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষুধা মেটায়।
‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে, লিল এবং তাঁর সহকর্মীরা বিস্তৃত ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর বেশ কয়েকটি বিস্তৃত প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে ঘুগরা পোকার ‘এক্স’ দলের আবির্ভাবের ফলাফল পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন এটি পাখিদের জন্য বিশাল এক ভোজের ব্যবস্থা করে। এ সময় শুয়াপোকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কারণ পাখিরা ঘুগরা পোকা খাওয়াতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
আর শুঁয়োপোকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ওক চারা খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যান্য নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পর ঘড়ির কাঁটা অনুসরণ করে ঠিক দুই বছর পর প্রচুর ফল আসে ওক গাছে। এতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হয় পোয়া বারো। এটি মানুষের জন্য লাইম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিল বলেন, ‘এখন অতিরিক্ত ফল আসার বিষয়টি কখন ঘটবে তা ঘুগরা পোকা নির্ধারণ করে। আর এই ফল আসার সঙ্গে যোগ আছে লাইম রোগটি কখন ঘটে তার। আর এগুলো ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পরের বছরগুলিতে ঘটা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাবগুলির একটি সারসংক্ষেপ’। বলেন লিল।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস সাইমন ঘুগরা পোকার ডিএনএর যে রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এ পোকাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জন্মানোর ঋতু দীর্ঘায়িত হয়ে খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে। যা ঘুগরা পোকাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
‘আমার অনুমান, আরও ‘১৭ বছরের’ ঘুগরা পোকা স্থায়ী ‘১৩ বছরের’ পোকায় পরিণত হবে,’ বলেন ক্রিস সিমনস, ‘অবশেষে বৈশিষ্ট্যটি জীনগতভাবে একীভূত হবে।"
অপর দিকে, ব্যাপকভাবে বন উজাড় হয়ে হারিয়ে গেছে বহু ঐতিহাসিক দল। তবে অবশিষ্ট দলগুলি শহরতলির পরিবেশে বেড়ে উঠছে যেখানে আলোকিত গাছগুলি তাদের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
তারপরে প্রাপ্তবয়স্করা মারা যায়, সদ্য ফোটা ঘুগরা পোকা গাছ থেকে পড়ে, মাটির নিচে গর্ত করে এবং চক্রটি নতুন করে শুরু হয়।
খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা, যৌন মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকা বা উচ্চিংড়ের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে, যখন টমাস জেফারসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স থেকে লুইজিয়ানা কিনে নেয়।
আর এমন একটি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার আশায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি রোমাঞ্চিত সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ৩ হাজারটিরও বেশি কীটপতঙ্গ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পরিবারের সদস্য ঘুগরা পোকা। তাদের বেশিরভাগ জীবন পার করে লার্ভা অবস্থায় মাটির নিচে।
তারা রূপান্তরিত এবং মিলিত হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিছু প্রজাতির মাটির নিচ থেকে উত্থান হওয়াটা বার্ষিক ঘটনা এবং অন্যগুলির, যেগুলি পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকা নামে পরিচিত, প্রতি ১৩ বা ১৭ বছরে উত্থান হয়। বিবর্তনের পরিষ্কার ব্যাখ্যা না থাকায় গণিতবিদরা কেন পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকারা মৌলিক সংখ্যা চক্র অনুসরণ করে এই প্রশ্নের জবাব পেতে আগ্রহী দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের এই সময়ে ১৩ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনায় উদ্ভব হতে শুরু করেছে। তারপর মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে আবির্ভূত হবে ১৭ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি। মধ্য ইলিনয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় একই সঙ্গে এ দুটি দলেরই আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
‘যখন এরা আসে, বিপুল সংখ্যায় আসে। মা-বাবারা উত্তেজিত থাকে, তেমনি উত্তেজিত থাকে বাচ্চা-কাচ্চারা।’ বলেন মাউন্ট সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী জেন ক্রিটস্কি।
এই ঘুগরা পোকার আবির্ভাবের সঙ্গে মানুষের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। লোকেরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারে ঘুগরা পোকারা এলাকায় শেষবার যখন হাজির হয় তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন। এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি পারিবারিক গল্পগাথার অংশ হয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন লিল এএফপিকে বলেন, তুলনামূলকভাবে প্রতিরক্ষাহীন, পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকাদের শক্তি তাদের বিপুল সংখ্যায়। যা আবার পাখি, শিয়াল, র্যাকুন, কচ্ছপসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষুধা মেটায়।
‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে, লিল এবং তাঁর সহকর্মীরা বিস্তৃত ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর বেশ কয়েকটি বিস্তৃত প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে ঘুগরা পোকার ‘এক্স’ দলের আবির্ভাবের ফলাফল পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন এটি পাখিদের জন্য বিশাল এক ভোজের ব্যবস্থা করে। এ সময় শুয়াপোকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কারণ পাখিরা ঘুগরা পোকা খাওয়াতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
আর শুঁয়োপোকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ওক চারা খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যান্য নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পর ঘড়ির কাঁটা অনুসরণ করে ঠিক দুই বছর পর প্রচুর ফল আসে ওক গাছে। এতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হয় পোয়া বারো। এটি মানুষের জন্য লাইম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিল বলেন, ‘এখন অতিরিক্ত ফল আসার বিষয়টি কখন ঘটবে তা ঘুগরা পোকা নির্ধারণ করে। আর এই ফল আসার সঙ্গে যোগ আছে লাইম রোগটি কখন ঘটে তার। আর এগুলো ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পরের বছরগুলিতে ঘটা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাবগুলির একটি সারসংক্ষেপ’। বলেন লিল।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস সাইমন ঘুগরা পোকার ডিএনএর যে রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এ পোকাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জন্মানোর ঋতু দীর্ঘায়িত হয়ে খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে। যা ঘুগরা পোকাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
‘আমার অনুমান, আরও ‘১৭ বছরের’ ঘুগরা পোকা স্থায়ী ‘১৩ বছরের’ পোকায় পরিণত হবে,’ বলেন ক্রিস সিমনস, ‘অবশেষে বৈশিষ্ট্যটি জীনগতভাবে একীভূত হবে।"
অপর দিকে, ব্যাপকভাবে বন উজাড় হয়ে হারিয়ে গেছে বহু ঐতিহাসিক দল। তবে অবশিষ্ট দলগুলি শহরতলির পরিবেশে বেড়ে উঠছে যেখানে আলোকিত গাছগুলি তাদের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
তারপরে প্রাপ্তবয়স্করা মারা যায়, সদ্য ফোটা ঘুগরা পোকা গাছ থেকে পড়ে, মাটির নিচে গর্ত করে এবং চক্রটি নতুন করে শুরু হয়।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৫ মিনিট আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে