অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু সংকটের প্রধান কারণ কয়লা, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বৈশ্বিক উষ্ণতার সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়ানোর জন্য বহুদিন ধরেই জলবায়ু বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকে শিগগিরই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুক্তি দিতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
কিন্তু জলবায়ু নিয়ে আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের আয়োজিত কপ-২৯ সম্মেলনে রাজত্ব করছেন কয়লা, তেল ও গ্যাসশিল্পের প্রতিনিধিরা। এ বছর ১ হাজার ৭৭৩ জন জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী এই শিল্পের এত প্রতিনিধির জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ জলবায়ুকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
দূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।
কেবিপিও জোটের সদস্য ইউকে ইয়ুথ ক্লাইমেট কোয়ালিশনের পরিবেশবাদী কর্মী সারাহ ম্যাকআর্থার বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের উপস্থিতি বছরের পর বছর অগ্রগতি থামিয়ে এবং দুর্বল করে দিয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের উদ্দেশ্য হলো তাদের আর্থিক লাভ, যা জলবায়ু সংকট থামানোর প্রচেষ্টার বিপরীত।
সম্মেলনে জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের মাত্র ১ হাজার ৩৩ জন প্রতিনিধি। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্ট ১ হাজার ৭৩ জন। এসব শিল্পের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি থাকা দেশের প্রতিনিধিদের সংখ্যাকে পেছনে ফেলছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, অনেক জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে কপ ২৯-এ প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক এমিশনস ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন সবচেয়ে বেশি লবিস্ট নিয়ে এসেছে। তাদের ৪৩ জন প্রতিনিধির মধ্যে তেল কোম্পানি টোটাল এনার্জি ও গ্লেনকোরের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
অন্য লবিস্টরা দেশের প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে এসেছেন। যুক্তরাজ্য একা ২০ জন লবিস্ট পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, জাপান তাদের কয়লা প্রতিষ্ঠান সুমিতোমোর একজন প্রতিনিধি, কানাডা সানকো ও ট্যুরমালিনের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে এবং ইতালি এনার্জি কোম্পানি এনি ও এনেলের কর্মীদের নিয়ে এসেছে।
প্রধান তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি শেভরন, এক্সন–মোবিল, বিপি, শেল ও এনি কপ–২৯ সম্মেলনে মোট ৩৯ জন লবিস্ট পাঠিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার সহযোগী। কেন না তারা ইসরায়েলে তেল সরবরাহ করে।
হেল্প গাম্বিয়া তৃণমূল সংগঠন ও আফ্রিকা মেক বিগ পোলিউটার্স পে জোট এবং কেবিপিও জোটের সদস্য দাওদা শ্যাম বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প বহু বছর ধরে নিজেদের স্বার্থে জলবায়ু আলোচনাকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে বেড়েছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।
তবে কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, কৃষি ব্যবসা ও পরিবহন খাতে দূষণের কারণ হয় এমন শিল্পের প্রতিনিধিরাও এসেছেন সম্মেলনে।
দূষণকারী শিল্পগুলোর প্রতিনিধিদের জলবায়ু আলোচনায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে বছরের পর বছর জাতিসংঘকে অনুরোধ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। গত বছর নিবন্ধনকারীদের তাঁদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করতে বলা হয়। এর আগে সম্পর্কগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করেও তারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারত।
যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র সেবাদানকারী কোম্পানি বেকার হিউজের একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিকে নিয়ে এসেছিল।
‘বৈশ্বিক অংশীদারদের জন্য শিল্পের জলবায়ু সমাধান’ শীর্ষক এক আলোচনায় বেকার হিউজের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী হয়ে আমরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছি।’
বেকার হিউজ ভূতাপীয় শক্তি এবং কার্বন ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য সেবা ও পণ্য সরবরাহ করে। তবে স্থল ও সমুদ্রের তেলক্ষেত্রগুলোর জন্য পণ্য ও সেবা দেওয়া এর প্রধান ব্যবসা।
গত বছর দুবাইয়ের কপ-২৮ সম্মেলনে ২ হাজার ৪৫৬ জন জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট উপস্থিত ছিলেন। সে সম্মেলনেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেননি বিশ্ব প্রতিনিধিরা। এ বছর সংখ্যা কমলেও ৭০ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১ দশমিক ৫ শতাংশই জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট।
জলবায়ু সংকটের প্রধান কারণ কয়লা, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বৈশ্বিক উষ্ণতার সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়ানোর জন্য বহুদিন ধরেই জলবায়ু বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকে শিগগিরই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুক্তি দিতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
কিন্তু জলবায়ু নিয়ে আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের আয়োজিত কপ-২৯ সম্মেলনে রাজত্ব করছেন কয়লা, তেল ও গ্যাসশিল্পের প্রতিনিধিরা। এ বছর ১ হাজার ৭৭৩ জন জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী এই শিল্পের এত প্রতিনিধির জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ জলবায়ুকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
দূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।
কেবিপিও জোটের সদস্য ইউকে ইয়ুথ ক্লাইমেট কোয়ালিশনের পরিবেশবাদী কর্মী সারাহ ম্যাকআর্থার বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের উপস্থিতি বছরের পর বছর অগ্রগতি থামিয়ে এবং দুর্বল করে দিয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের উদ্দেশ্য হলো তাদের আর্থিক লাভ, যা জলবায়ু সংকট থামানোর প্রচেষ্টার বিপরীত।
সম্মেলনে জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের মাত্র ১ হাজার ৩৩ জন প্রতিনিধি। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্ট ১ হাজার ৭৩ জন। এসব শিল্পের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি থাকা দেশের প্রতিনিধিদের সংখ্যাকে পেছনে ফেলছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, অনেক জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে কপ ২৯-এ প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক এমিশনস ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন সবচেয়ে বেশি লবিস্ট নিয়ে এসেছে। তাদের ৪৩ জন প্রতিনিধির মধ্যে তেল কোম্পানি টোটাল এনার্জি ও গ্লেনকোরের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
অন্য লবিস্টরা দেশের প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে এসেছেন। যুক্তরাজ্য একা ২০ জন লবিস্ট পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, জাপান তাদের কয়লা প্রতিষ্ঠান সুমিতোমোর একজন প্রতিনিধি, কানাডা সানকো ও ট্যুরমালিনের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে এবং ইতালি এনার্জি কোম্পানি এনি ও এনেলের কর্মীদের নিয়ে এসেছে।
প্রধান তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি শেভরন, এক্সন–মোবিল, বিপি, শেল ও এনি কপ–২৯ সম্মেলনে মোট ৩৯ জন লবিস্ট পাঠিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার সহযোগী। কেন না তারা ইসরায়েলে তেল সরবরাহ করে।
হেল্প গাম্বিয়া তৃণমূল সংগঠন ও আফ্রিকা মেক বিগ পোলিউটার্স পে জোট এবং কেবিপিও জোটের সদস্য দাওদা শ্যাম বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প বহু বছর ধরে নিজেদের স্বার্থে জলবায়ু আলোচনাকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে বেড়েছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।
তবে কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, কৃষি ব্যবসা ও পরিবহন খাতে দূষণের কারণ হয় এমন শিল্পের প্রতিনিধিরাও এসেছেন সম্মেলনে।
দূষণকারী শিল্পগুলোর প্রতিনিধিদের জলবায়ু আলোচনায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে বছরের পর বছর জাতিসংঘকে অনুরোধ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। গত বছর নিবন্ধনকারীদের তাঁদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করতে বলা হয়। এর আগে সম্পর্কগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করেও তারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারত।
যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র সেবাদানকারী কোম্পানি বেকার হিউজের একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিকে নিয়ে এসেছিল।
‘বৈশ্বিক অংশীদারদের জন্য শিল্পের জলবায়ু সমাধান’ শীর্ষক এক আলোচনায় বেকার হিউজের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী হয়ে আমরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছি।’
বেকার হিউজ ভূতাপীয় শক্তি এবং কার্বন ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য সেবা ও পণ্য সরবরাহ করে। তবে স্থল ও সমুদ্রের তেলক্ষেত্রগুলোর জন্য পণ্য ও সেবা দেওয়া এর প্রধান ব্যবসা।
গত বছর দুবাইয়ের কপ-২৮ সম্মেলনে ২ হাজার ৪৫৬ জন জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট উপস্থিত ছিলেন। সে সম্মেলনেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেননি বিশ্ব প্রতিনিধিরা। এ বছর সংখ্যা কমলেও ৭০ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১ দশমিক ৫ শতাংশই জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট।
শৈবাল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভিরিডোসের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকার বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সন–মোবিল। গত বছর তারা এ গবেষণার অংশীদারত্ব ছেড়ে দিলে জ্বালানি খাতে আলোড়ন পড়ে যায়। এক্সন–মোবিল অর্থ উপার্জনের আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে শৈবাল থেকে জৈব...
৪ ঘণ্টা আগেজঙ্গলে গিয়েছেন ঘুরতে। সেখানে বাঘ দেখাটা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর এক ব্যাপার। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন আপনার সামনেই মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে দুই বাঘ, নিশ্চয় আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হবে। খুব বেশি সাহসী হলে রোমাঞ্চটা আরও বেশি উপভোগ করবেন। এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের এক জঙ্গলে বেড়াতে যাওয়া কিছু প
১২ ঘণ্টা আগেএশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাপ ধারণকারী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষে রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, চীনের সাংহাই এ তালিকার শীর্ষে। সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি জানা গেছে। তথ্য প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল
১ দিন আগেবার্ষিক শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের শর্ত পূরণ হয়নি গত এক দশকেও। এর মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর পক্ষ থেকে।
২ দিন আগে