সৌগত বসু, ঢাকা
এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে। আর এতে করে সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসেও গরম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের কয়েকটি অঞ্চলে টানা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে টানা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতিতীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরমধ্যে ২২, ২৩, ২৪ এপ্রিল শুধু তীব্র তাপমাত্রা ছিল।
কোথায় কবে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল
দেশে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি চলমান ছিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ১৩ দিন। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ৪৩ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও পাবনায় ১২ দিন তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুষ্টিয়ায় ১০ দিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর খুলনায় ৮ দিন, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ বছর দুবার তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল ২০ ও ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে গতকাল এ বছরের রেকর্ড ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হয়। এপ্রিল মাসেই পাঁচবার হিট এলার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ হিট এলার্ট এখনো চলমান রয়েছে।
৬ এপ্রিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রপবাহ ছিল। ২০ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায়। আর তীব্র ছিল খুলনার সব জেলা, রাজশাহী ও পাবনায়। ২১ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ২৪ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৫ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুরে। ২৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ২৮ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী ও যশোরে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায়। ২৯ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় আর তীব্র ছিল ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার , ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়, যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পশ্চিমা বাতাস যখন পশ্চিম দিক থেকে আসে, তখন সেটি বাংলাদেশে ঢোকার আগেই তাপমাত্রা বেশি পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তাপের একটা প্রবাহ দেশের দিকে থাকে। আর এটির ধাক্কা যায় খুলনা ও রাজশাহীর ওপর, যার পরবর্তী প্রভাব পড়ে ঢাকা ও বরিশালের ওপর।
কোন দিন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল খেপুপাড়া ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ এপ্রিল মংলা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল যশোর ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল যশোর ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টি হবে মে থেকে
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।
এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে। আর এতে করে সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসেও গরম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের কয়েকটি অঞ্চলে টানা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে টানা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতিতীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরমধ্যে ২২, ২৩, ২৪ এপ্রিল শুধু তীব্র তাপমাত্রা ছিল।
কোথায় কবে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল
দেশে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি চলমান ছিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ১৩ দিন। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ৪৩ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও পাবনায় ১২ দিন তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুষ্টিয়ায় ১০ দিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর খুলনায় ৮ দিন, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ বছর দুবার তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল ২০ ও ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে গতকাল এ বছরের রেকর্ড ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হয়। এপ্রিল মাসেই পাঁচবার হিট এলার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ হিট এলার্ট এখনো চলমান রয়েছে।
৬ এপ্রিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রপবাহ ছিল। ২০ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায়। আর তীব্র ছিল খুলনার সব জেলা, রাজশাহী ও পাবনায়। ২১ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ২৪ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৫ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুরে। ২৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ২৮ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী ও যশোরে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায়। ২৯ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় আর তীব্র ছিল ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার , ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়, যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পশ্চিমা বাতাস যখন পশ্চিম দিক থেকে আসে, তখন সেটি বাংলাদেশে ঢোকার আগেই তাপমাত্রা বেশি পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তাপের একটা প্রবাহ দেশের দিকে থাকে। আর এটির ধাক্কা যায় খুলনা ও রাজশাহীর ওপর, যার পরবর্তী প্রভাব পড়ে ঢাকা ও বরিশালের ওপর।
কোন দিন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল খেপুপাড়া ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ এপ্রিল মংলা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল যশোর ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল যশোর ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টি হবে মে থেকে
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
২০ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে