মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গতকাল রোববারও অলিভ রিডলি প্রজাতির ১০টি স্ত্রী কচ্ছপের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকত পরিদর্শন করে সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এই কচ্ছপগুলো দেখতে পান। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা কচ্ছপগুলোর পেটেও ডিম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। এ সময় হিমছড়ি সৈকতে একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনও ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, সেন্ট মার্টিন ও মহেশখালীর সোনাদিয়া সৈকতের বালিয়াড়িতে টানা সামুদ্রিক বিপন্ন প্রাণী ডলফিন, পরপইস ও স্ত্রী কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণীর মরদেহ ভেসে এসেছে। প্রজনন মৌসুমে এভাবে অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা স্ত্রী কচ্ছপের সঙ্গে স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছেন সমুদ্রবিজ্ঞানী, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের। ১২ দিন ডিম পাড়ার উপযুক্ত সময় হলেও কোনো সৈকতে একটি অলিভ রিডলিও ডিম দেয়নি।
এদিকে আজ সোমবার ভোররাতে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া রেজুখালের মোহনায় একটি এবং টেকনাফের শীলখালীতে দুটি, মাথাভাঙ্গায় একটি ও শামলাপুর সৈকতের বালিয়াড়িতে একটি কচ্ছপ ডিম পেড়েছে।
পাঁচটি অলিভ রিডলি ৫৬৬টি ডিম দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
তরিকুল ইসলাম বলেন, গত ১২ দিন কেবল মৃত কচ্ছপই সমুদ্র উপকূলে ভেসে এসেছে। আজ ভোরে সুস্থ-সবল পাঁচটি অলিভ রিডলি ডিম পেড়ে সাগরে ফিরেছে। এর মধ্যে সোনারপাড়ায় দেওয়া কচ্ছপটির ১০১টি ডিম বোরির প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে ফোটানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। টেকনাফের চারটি অলিভ রিডলির ৪৬৫টি ডিম একটি বেসরকারি সংস্থার হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
১২ দিন কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে কচ্ছপের মৃত্যু, প্রজননের পথের বাধাগুলো চিহ্নিত ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে বোরির গবেষক দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তরিকুল ইসলাম।
আজকের পত্রিকাকে তরিকুল ইসলাম জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত অলিভ রিডলির প্রজনন মৌসুম। হাজারো মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে এই প্রজাতির কচ্ছপ সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে আসে। এ মৌসুমে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ৭৬টি অলিভ রিডলি ৯ হাজার ১৭০টি ডিম দিয়েছিল। এরপর আজ নতুন করে পাঁচটি অলিভ রিডলি ডিম দেয়।
প্রজননের উপযুক্ত এই সময়ে জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বোরির হিসেবে ৯৪টি অলিভ রিডলি প্রজাতির স্ত্রী কচ্ছপ মারা পড়ার তথ্য রয়েছে বলে জানান বোরির এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ দিনে ৭৫টি অলিভ রিডলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসব কচ্ছপের সব কটির পেটে ডিম পাওয়া গেছে। ডিম পাড়তে সমুদ্র উপকূলের বালিয়াড়িতে আসার পথে জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলারে ধাক্কা খেয়ে না হয় অন্য যেকোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা পড়ছে। বেশির ভাগ কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার (সাঁতার কাটানো পাখনা) ক্ষতিগ্রস্ত এবং আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলে, সাগরে সাত প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে তিন প্রজাতির কচ্ছপ বঙ্গোপসাগরে দেখা যায়। এর মধ্যে পূর্ণিমার রাতে সমুদ্র উপকূলে আরিবদা বা একই সময়ে একই স্থানে দল বেঁধে অলিভ রিডলি ডিম পাড়তে আসে। এই দৃশ্য সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার উপকূলে অনেকটা হারিয়ে গেলেও ভারতের ওডিশা উপকূলে এখনো আছে।
১২ দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলে অলিভ রিডলির যে বিপদ সমুদ্রবিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তা অত্যন্ত ভয়ানক জানিয়ে আহমদ গিয়াস বলেন, কচ্ছপ সমুদ্রের ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। এই প্রাণীর মৃত্যুর কারণ আরও সুনির্দিষ্ট খুঁজে বের করতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সামুদ্রিক কচ্ছপ রক্ষা ও প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বাধা ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ। তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুম ও সাগরে বিচরণের সময় কচ্ছপ ৯টি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব বাধা সমাধানের উপায় খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অলিভ রিডলি কচ্ছপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর কারণ নিয়েও বোরির বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গতকাল রোববারও অলিভ রিডলি প্রজাতির ১০টি স্ত্রী কচ্ছপের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকত পরিদর্শন করে সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এই কচ্ছপগুলো দেখতে পান। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা কচ্ছপগুলোর পেটেও ডিম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। এ সময় হিমছড়ি সৈকতে একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনও ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, সেন্ট মার্টিন ও মহেশখালীর সোনাদিয়া সৈকতের বালিয়াড়িতে টানা সামুদ্রিক বিপন্ন প্রাণী ডলফিন, পরপইস ও স্ত্রী কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণীর মরদেহ ভেসে এসেছে। প্রজনন মৌসুমে এভাবে অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা স্ত্রী কচ্ছপের সঙ্গে স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছেন সমুদ্রবিজ্ঞানী, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের। ১২ দিন ডিম পাড়ার উপযুক্ত সময় হলেও কোনো সৈকতে একটি অলিভ রিডলিও ডিম দেয়নি।
এদিকে আজ সোমবার ভোররাতে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া রেজুখালের মোহনায় একটি এবং টেকনাফের শীলখালীতে দুটি, মাথাভাঙ্গায় একটি ও শামলাপুর সৈকতের বালিয়াড়িতে একটি কচ্ছপ ডিম পেড়েছে।
পাঁচটি অলিভ রিডলি ৫৬৬টি ডিম দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
তরিকুল ইসলাম বলেন, গত ১২ দিন কেবল মৃত কচ্ছপই সমুদ্র উপকূলে ভেসে এসেছে। আজ ভোরে সুস্থ-সবল পাঁচটি অলিভ রিডলি ডিম পেড়ে সাগরে ফিরেছে। এর মধ্যে সোনারপাড়ায় দেওয়া কচ্ছপটির ১০১টি ডিম বোরির প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে ফোটানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। টেকনাফের চারটি অলিভ রিডলির ৪৬৫টি ডিম একটি বেসরকারি সংস্থার হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
১২ দিন কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে কচ্ছপের মৃত্যু, প্রজননের পথের বাধাগুলো চিহ্নিত ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে বোরির গবেষক দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তরিকুল ইসলাম।
আজকের পত্রিকাকে তরিকুল ইসলাম জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত অলিভ রিডলির প্রজনন মৌসুম। হাজারো মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে এই প্রজাতির কচ্ছপ সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে আসে। এ মৌসুমে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ৭৬টি অলিভ রিডলি ৯ হাজার ১৭০টি ডিম দিয়েছিল। এরপর আজ নতুন করে পাঁচটি অলিভ রিডলি ডিম দেয়।
প্রজননের উপযুক্ত এই সময়ে জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বোরির হিসেবে ৯৪টি অলিভ রিডলি প্রজাতির স্ত্রী কচ্ছপ মারা পড়ার তথ্য রয়েছে বলে জানান বোরির এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ দিনে ৭৫টি অলিভ রিডলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসব কচ্ছপের সব কটির পেটে ডিম পাওয়া গেছে। ডিম পাড়তে সমুদ্র উপকূলের বালিয়াড়িতে আসার পথে জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলারে ধাক্কা খেয়ে না হয় অন্য যেকোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা পড়ছে। বেশির ভাগ কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার (সাঁতার কাটানো পাখনা) ক্ষতিগ্রস্ত এবং আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলে, সাগরে সাত প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে তিন প্রজাতির কচ্ছপ বঙ্গোপসাগরে দেখা যায়। এর মধ্যে পূর্ণিমার রাতে সমুদ্র উপকূলে আরিবদা বা একই সময়ে একই স্থানে দল বেঁধে অলিভ রিডলি ডিম পাড়তে আসে। এই দৃশ্য সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার উপকূলে অনেকটা হারিয়ে গেলেও ভারতের ওডিশা উপকূলে এখনো আছে।
১২ দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলে অলিভ রিডলির যে বিপদ সমুদ্রবিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তা অত্যন্ত ভয়ানক জানিয়ে আহমদ গিয়াস বলেন, কচ্ছপ সমুদ্রের ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। এই প্রাণীর মৃত্যুর কারণ আরও সুনির্দিষ্ট খুঁজে বের করতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সামুদ্রিক কচ্ছপ রক্ষা ও প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বাধা ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ। তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুম ও সাগরে বিচরণের সময় কচ্ছপ ৯টি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব বাধা সমাধানের উপায় খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অলিভ রিডলি কচ্ছপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর কারণ নিয়েও বোরির বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৭ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৫ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৬ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে