অনলাইন ডেস্ক
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস মহামারি ভুগিয়েছে বিশ্বকে। তীব্র ঝাঁকুনি খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সেই ঝাঁকুনি আরও কঠিন করে তুলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ দুই সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানি তথা তেল-গ্যাস-কয়লার ব্যবহার বেড়েছে যথেষ্ট। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে তুলতে বিশ্বের দেশগুলো যেই জ্বালানি তেলের ওপর ঝুঁকেছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। এই সংকট বিশ্বের দেশগুলোকে জ্বালানির পুরোনো উৎস কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভর করে তুলেছে। আর এসব জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।
এ বছর এখন পর্যন্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসারণ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৬০ কোটি টন। যার মধ্যে কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি থেকেই নিঃসৃত হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টন। বাকি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণ হয়েছে ভূমিভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের প্রতিবেদন গ্লোবাল কার্বন বাজেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরে চলমান জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসারণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ বছর ধারণ করা হচ্ছে, গত বছর থেকে অন্তত ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আজ শুক্রবার প্রকাশিত গ্লোবাল কার্বন বাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০ কোটি টন। তবে এটি এখনো সর্বোচ্চ নয়। এর আগে, ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণ হয়েছিল। সে বছর ৪ হাজার ৯০ কোটি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হয়েছিল। তবে এ বছর এখনো আরও ৫০ দিন থাকায় ২০১৯ সালের চেয়েও বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকেরা।
এ বছর কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে জ্বালানি তেল ও গ্যাস। জীবাশ্ম জ্বালানি উপজাতগুলো থেকে এ বছর সবচেয়ে বেশি নিঃসৃত হয়েছে।
এ বিষয়ে সিসেরো ক্লাইমেট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক গ্লেন পিটার্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘কোভিড বিপর্যয়ের পর অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয়েছে বেশি এবং ইউক্রেন সংকটের কারণে কয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে বেশি।’
শতাধিক গবেষকের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত গ্লোবাল কার্বন বাজেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসারণের ৯০ শতাংশ হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে। পিটার্স বলেছেন, এ তথ্য আমাদের জানাচ্ছে যে, নিঃসারণ বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম তখনকার চেয়ে এখন অন্তত ৫ শতাংশ বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড বেশি নিঃসৃত হয়েছে।’
গবেষকেরা বলছেন, এ তথ্যই নির্দেশ করে যে বর্তমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে প্রাকশিল্পযুগ সময়ের তাপমাত্রায় নিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন।
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস মহামারি ভুগিয়েছে বিশ্বকে। তীব্র ঝাঁকুনি খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সেই ঝাঁকুনি আরও কঠিন করে তুলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ দুই সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানি তথা তেল-গ্যাস-কয়লার ব্যবহার বেড়েছে যথেষ্ট। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে তুলতে বিশ্বের দেশগুলো যেই জ্বালানি তেলের ওপর ঝুঁকেছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। এই সংকট বিশ্বের দেশগুলোকে জ্বালানির পুরোনো উৎস কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভর করে তুলেছে। আর এসব জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।
এ বছর এখন পর্যন্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসারণ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৬০ কোটি টন। যার মধ্যে কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি থেকেই নিঃসৃত হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টন। বাকি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণ হয়েছে ভূমিভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের প্রতিবেদন গ্লোবাল কার্বন বাজেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরে চলমান জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসারণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ বছর ধারণ করা হচ্ছে, গত বছর থেকে অন্তত ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আজ শুক্রবার প্রকাশিত গ্লোবাল কার্বন বাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০ কোটি টন। তবে এটি এখনো সর্বোচ্চ নয়। এর আগে, ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণ হয়েছিল। সে বছর ৪ হাজার ৯০ কোটি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হয়েছিল। তবে এ বছর এখনো আরও ৫০ দিন থাকায় ২০১৯ সালের চেয়েও বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকেরা।
এ বছর কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসারণের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে জ্বালানি তেল ও গ্যাস। জীবাশ্ম জ্বালানি উপজাতগুলো থেকে এ বছর সবচেয়ে বেশি নিঃসৃত হয়েছে।
এ বিষয়ে সিসেরো ক্লাইমেট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক গ্লেন পিটার্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘কোভিড বিপর্যয়ের পর অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয়েছে বেশি এবং ইউক্রেন সংকটের কারণে কয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে বেশি।’
শতাধিক গবেষকের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত গ্লোবাল কার্বন বাজেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসারণের ৯০ শতাংশ হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে। পিটার্স বলেছেন, এ তথ্য আমাদের জানাচ্ছে যে, নিঃসারণ বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম তখনকার চেয়ে এখন অন্তত ৫ শতাংশ বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড বেশি নিঃসৃত হয়েছে।’
গবেষকেরা বলছেন, এ তথ্যই নির্দেশ করে যে বর্তমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে প্রাকশিল্পযুগ সময়ের তাপমাত্রায় নিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৬ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৫ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৬ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে