অনলাইন ডেস্ক
মালদ্বীপে ১০ লাখ বোতলের বেশি হিমালয়ের বরফ গলা পানি পাঠিয়েছে চীন। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিতে হুমকির মুখে থাকা একটি দেশের জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতগুলোর এলাকার পক্ষ থেকে এক উপহার এটি। গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভারত মহাসাগরের ১৯২টি ছোট প্রবালদ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ জলবায়ুসংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। যেখানে লবণ ভূত্বকে প্রবেশ করে পানীয় জলকে দূষিত করছে। ফলে বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের মাধ্যমে লবণমুক্ত করে পানি পানের উপযোগী করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের হিমবাহ আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে। মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত জিজাং অঞ্চলের চেয়ারম্যান ইয়ান জিনহায়ের পক্ষ থেকে উপহার।
এসব তথ্য জানা যায় হংকং ফ্রি প্রেসের এক প্রতিবেদনে।
৯০টি কনটেইনারে ভরে এসব বোতল জাহাজে করে গত সপ্তাহে পৌঁছায় দেশটিতে। মালদ্বীপের বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
‘জিজাং অঞ্চলের চেয়ারম্যান ইয়ান জিনহায় গত বছরের নভেম্বরের সরকারি সফরের সময় ১ হাজার ৫০০ টন খাওয়ার পানি পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।’ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ভারতবিরোধী অবস্থানে থেকে গত বছর ক্ষমতায় আসা চীনপন্থী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর পান করার জন্য এই পানি পাঠানো হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে খবর চাউর হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
‘মালদ্বীপ সরকার পানির অভাব দেখা দিলে দ্বীপগুলোতে সহায়তা দেওয়ার জন্য এই পানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বলা হয় বিজ্ঞপ্তিটিতে।
জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল পেনেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জেস (আইপিসিসি) ২০০৭ সালে সতর্ক করে দেয় যে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৮ থেকে ৫৯ সেন্টিমিটার (৭.২ থেকে ২৩.২ ইঞ্চি) বাড়লে এই শতকের শেষ দিকে কার্যত বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়বে মালদ্বীপ।
মুইজ্জু উচ্চাভিলাষী ভূমি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা এবং উঁচু দ্বীপ নির্মাণের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দ্বীপ দেশটির ৮০ শতাংশ এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক মিটারের (তিন ফুট) কম উচ্চতায় অবস্থিত।
মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ইতিমধ্যে পান করার উপযোগী ভূগর্ভস্থ পানীয় জল শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয় জনগণকে পানি সরবরাহ করার জন্য ব্যয়বহুল বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মালেতে জল বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ড প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পানি সরবরাহ ব্যাহত করে। ভারত ও তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন উভয়ই প্ল্যান্ট ঠিক না হওয়া পর্যন্ত জাহাজে করে পানীয় জল সরবরাহ করেছে।
সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত এবং বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য নাম আছে মালদ্বীপের। এদিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক শিপিং রুটগুলো নিয়ন্ত্রণেও দেশটির জলভাগ জরুরি।
নয়াদিল্লি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জটিকে তার প্রভাববলয়ের মধ্যে বিবেচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও মালদ্বীপ চীনের দিকে ঝুঁকেছে। দেশটির বৃহত্তম ঋণদাতাও চীন।
মুইজ্জু জানুয়ারিতে বেইজিং সফর করেন। তখন তিনি অবকাঠামো, শক্তি, সমুদ্র এবং কৃষিবিষয়ক বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে। এদিকে এ মাসে মালদ্বীপে থাকা সেনাদের প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত।
মালদ্বীপে ১০ লাখ বোতলের বেশি হিমালয়ের বরফ গলা পানি পাঠিয়েছে চীন। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিতে হুমকির মুখে থাকা একটি দেশের জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতগুলোর এলাকার পক্ষ থেকে এক উপহার এটি। গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভারত মহাসাগরের ১৯২টি ছোট প্রবালদ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ জলবায়ুসংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। যেখানে লবণ ভূত্বকে প্রবেশ করে পানীয় জলকে দূষিত করছে। ফলে বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের মাধ্যমে লবণমুক্ত করে পানি পানের উপযোগী করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের হিমবাহ আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে। মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত জিজাং অঞ্চলের চেয়ারম্যান ইয়ান জিনহায়ের পক্ষ থেকে উপহার।
এসব তথ্য জানা যায় হংকং ফ্রি প্রেসের এক প্রতিবেদনে।
৯০টি কনটেইনারে ভরে এসব বোতল জাহাজে করে গত সপ্তাহে পৌঁছায় দেশটিতে। মালদ্বীপের বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
‘জিজাং অঞ্চলের চেয়ারম্যান ইয়ান জিনহায় গত বছরের নভেম্বরের সরকারি সফরের সময় ১ হাজার ৫০০ টন খাওয়ার পানি পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।’ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ভারতবিরোধী অবস্থানে থেকে গত বছর ক্ষমতায় আসা চীনপন্থী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর পান করার জন্য এই পানি পাঠানো হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে খবর চাউর হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
‘মালদ্বীপ সরকার পানির অভাব দেখা দিলে দ্বীপগুলোতে সহায়তা দেওয়ার জন্য এই পানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বলা হয় বিজ্ঞপ্তিটিতে।
জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল পেনেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জেস (আইপিসিসি) ২০০৭ সালে সতর্ক করে দেয় যে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৮ থেকে ৫৯ সেন্টিমিটার (৭.২ থেকে ২৩.২ ইঞ্চি) বাড়লে এই শতকের শেষ দিকে কার্যত বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়বে মালদ্বীপ।
মুইজ্জু উচ্চাভিলাষী ভূমি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা এবং উঁচু দ্বীপ নির্মাণের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দ্বীপ দেশটির ৮০ শতাংশ এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক মিটারের (তিন ফুট) কম উচ্চতায় অবস্থিত।
মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ইতিমধ্যে পান করার উপযোগী ভূগর্ভস্থ পানীয় জল শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয় জনগণকে পানি সরবরাহ করার জন্য ব্যয়বহুল বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মালেতে জল বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ড প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পানি সরবরাহ ব্যাহত করে। ভারত ও তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন উভয়ই প্ল্যান্ট ঠিক না হওয়া পর্যন্ত জাহাজে করে পানীয় জল সরবরাহ করেছে।
সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত এবং বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য নাম আছে মালদ্বীপের। এদিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক শিপিং রুটগুলো নিয়ন্ত্রণেও দেশটির জলভাগ জরুরি।
নয়াদিল্লি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জটিকে তার প্রভাববলয়ের মধ্যে বিবেচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও মালদ্বীপ চীনের দিকে ঝুঁকেছে। দেশটির বৃহত্তম ঋণদাতাও চীন।
মুইজ্জু জানুয়ারিতে বেইজিং সফর করেন। তখন তিনি অবকাঠামো, শক্তি, সমুদ্র এবং কৃষিবিষয়ক বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে। এদিকে এ মাসে মালদ্বীপে থাকা সেনাদের প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে