অনলাইন ডেস্ক
আগামী বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়বে।
বৈজ্ঞানিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, মানুষের নানা কর্মতৎপরতার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। ২০২৩ সালে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ০৮ থেকে ১ দশমিক ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
যদি যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্য হয় তাহলে, ১৮৫০–১৯০০ সাল পর্যন্ত পরিমাপ করা শিল্প–বিপ্লব পূর্ব সময়ের তাপমাত্রার চেয়ে আগামী বছর গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা টানা দশম বছরের মতো কমপক্ষে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রথম রেকর্ডের সাল ১৮৫০–এর পর উষ্ণতম বছরটি গেছে ২০১৬ সাল। এ বছর প্রশান্ত মহাসাগরে ‘এল নিনো’ প্রভাব দেখা গিয়েছিল। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এটিই দায়ী বলে মনে করেন গবেষকেরা।
এল নিনো হলো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের সামুদ্রিক পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন। যখন তাহিতি এবং ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার বায়ুমণ্ডলে চাপের পরিবর্তন হয় এবং যখন পেরু ও ইকুয়েডরের পশ্চিম উপকূল থেকে অস্বাভাবিক গরম অথবা ঠান্ডা সামুদ্রিক অবস্থা বিরাজ করে— এই পর্যায়বৃত্তের উষ্ণ পর্যায় হলো এল নিনো, আর লা নিনা হচ্ছে শীতল পর্যায়। পর্যায়বৃত্ত এই পরিবর্তনের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, তবে প্রতি তিন থেকে আট বছরের মাঝে দেখা যায়।
এল নিনোর প্রভাবে বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল যেসব দেশ কৃষি এবং মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল, তারাই এল নিনোর প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘লা নিনা’–এর প্রভাব তিন বছর পর প্রাকৃতিক নিয়মে শেষ হয়ে যায়। ফলে শীতের মাত্রা কমে গিয়ে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে। এর ফলে মানুষ যেমন আক্রান্ত হবে তেমনি জলবায়ুতে বড় প্রভাবে পড়বে। লা নিনার ফলে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে স্বাভাবিকের থেকে শীতল সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।
আবহাওয়া অফিসের ২০২৩ সালের বৈশ্বিক তাপমাত্রা পূর্বাভাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. নিক ডানস্টোন। তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রায় দীর্ঘায়িত লা নিনার প্রভাব পড়েছে—যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার চেয়ে শীতল। লা নিনার বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার ওপর একটি অস্থায়ী শীতল প্রভাব রয়েছে।’
তবে তিনি যোগ করেন, ‘আগামী বছরের জন্য আমাদের জলবায়ু মডেলটি টানা তিন বছর লা নিনা প্রভাবের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশে আপেক্ষিক উষ্ণ পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে। এই পরিবর্তনের কারণে সম্ভবত ২০২৩ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২২–এর চেয়ে উষ্ণ হতে পারে।’
এ কারণে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অ্যাডাম স্কাইফ বলেছেন, ‘এল নিনো ছাড়া ২০২৩ সাল রেকর্ড-ব্রেকিং বছর নাও হতে পারে।’
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। সর্বশেষ গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ–২৬ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ব্রিটিশ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস দিচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের চেয়ে ১ দশমিক ০৮ থেকে ১ দশমিক ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।
যেখানে গত বছর আবহাওয়া অফিস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে,২০২২ সালের বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক–শিল্প যুগের চেয়ে দশমিক ৯৭ সেলসিয়াস থেকে ১ দশমিক ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। যদিও ওই বছরের অক্টোবরের তথ্য–উপাত্ত থেকে জানা যায়, তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের থেকে প্রায় ১ দশমিক ১৬ সেলসিয়াস বেশি।
আগামী বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়বে।
বৈজ্ঞানিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, মানুষের নানা কর্মতৎপরতার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। ২০২৩ সালে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ০৮ থেকে ১ দশমিক ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
যদি যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্য হয় তাহলে, ১৮৫০–১৯০০ সাল পর্যন্ত পরিমাপ করা শিল্প–বিপ্লব পূর্ব সময়ের তাপমাত্রার চেয়ে আগামী বছর গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা টানা দশম বছরের মতো কমপক্ষে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রথম রেকর্ডের সাল ১৮৫০–এর পর উষ্ণতম বছরটি গেছে ২০১৬ সাল। এ বছর প্রশান্ত মহাসাগরে ‘এল নিনো’ প্রভাব দেখা গিয়েছিল। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এটিই দায়ী বলে মনে করেন গবেষকেরা।
এল নিনো হলো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের সামুদ্রিক পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন। যখন তাহিতি এবং ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার বায়ুমণ্ডলে চাপের পরিবর্তন হয় এবং যখন পেরু ও ইকুয়েডরের পশ্চিম উপকূল থেকে অস্বাভাবিক গরম অথবা ঠান্ডা সামুদ্রিক অবস্থা বিরাজ করে— এই পর্যায়বৃত্তের উষ্ণ পর্যায় হলো এল নিনো, আর লা নিনা হচ্ছে শীতল পর্যায়। পর্যায়বৃত্ত এই পরিবর্তনের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, তবে প্রতি তিন থেকে আট বছরের মাঝে দেখা যায়।
এল নিনোর প্রভাবে বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল যেসব দেশ কৃষি এবং মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল, তারাই এল নিনোর প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘লা নিনা’–এর প্রভাব তিন বছর পর প্রাকৃতিক নিয়মে শেষ হয়ে যায়। ফলে শীতের মাত্রা কমে গিয়ে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে। এর ফলে মানুষ যেমন আক্রান্ত হবে তেমনি জলবায়ুতে বড় প্রভাবে পড়বে। লা নিনার ফলে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে স্বাভাবিকের থেকে শীতল সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।
আবহাওয়া অফিসের ২০২৩ সালের বৈশ্বিক তাপমাত্রা পূর্বাভাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. নিক ডানস্টোন। তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রায় দীর্ঘায়িত লা নিনার প্রভাব পড়েছে—যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার চেয়ে শীতল। লা নিনার বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার ওপর একটি অস্থায়ী শীতল প্রভাব রয়েছে।’
তবে তিনি যোগ করেন, ‘আগামী বছরের জন্য আমাদের জলবায়ু মডেলটি টানা তিন বছর লা নিনা প্রভাবের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশে আপেক্ষিক উষ্ণ পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে। এই পরিবর্তনের কারণে সম্ভবত ২০২৩ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২২–এর চেয়ে উষ্ণ হতে পারে।’
এ কারণে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অ্যাডাম স্কাইফ বলেছেন, ‘এল নিনো ছাড়া ২০২৩ সাল রেকর্ড-ব্রেকিং বছর নাও হতে পারে।’
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। সর্বশেষ গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ–২৬ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ব্রিটিশ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস দিচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের চেয়ে ১ দশমিক ০৮ থেকে ১ দশমিক ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।
যেখানে গত বছর আবহাওয়া অফিস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে,২০২২ সালের বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক–শিল্প যুগের চেয়ে দশমিক ৯৭ সেলসিয়াস থেকে ১ দশমিক ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। যদিও ওই বছরের অক্টোবরের তথ্য–উপাত্ত থেকে জানা যায়, তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের থেকে প্রায় ১ দশমিক ১৬ সেলসিয়াস বেশি।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আজকে দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
২৭ মিনিট আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূ
৪০ মিনিট আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১৫ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১ দিন আগে