নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশব্যাপী ক্রমাগত দখল এবং দূষণে শহরগুলোর সবুজ ও জলজ অংশসমূহ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান, ও চিত্ত-বিনোদনের মুক্ত সুযোগসমূহ সংকুচিত হচ্ছে। ফলে দেশ এখন নগরায়ণ সংকটের সম্মুখীন। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে রাজধানী গত ২০ বছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ গাছ কমেছে। ফলে রাজধানীতে মায়ের গর্ভের থাকা অবস্থায়ই শিশুরা বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত ‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ণে পরিবেশের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব।
রাজধানীতে বর্তমানে সবুজের পরিমাণ ৮ শতাংশেরও কম জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, ‘২০২২ সালে বুয়েটের নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগ এবং ইউএসএইড পরিচালিত জরিপ অনুসারে, ঢাকা শহর ২০০২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ সবুজ হারিয়েছে। বর্তমানে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাছ রয়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ শতাংশেরও কম।’
তিনি বলেন, ‘এক কালের ছিমছাম, উদ্যান-পার্ক সমৃদ্ধ, খাল-ঝিল ও পুকুরে পরিপূর্ণ সবুজ শহরগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে। স্বস্তিতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। পরিবেশের সঙ্গে সহাবস্থান নয়, বরং পরিবেশকে ধ্বংসের মাধ্যমেই দেশে নগরায়ণ প্রক্রিয়া ধাবিত হচ্ছে।’
তিনি জানান, গত ২৮ বছরে রাজধানী থেকে ৮৫ ভাগ জলাভূমি হারিয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে স্থাপনা বেড়েছে ৭৫ ভাগ। অর্থাৎ গাছপালা এবং জলাশয় ধ্বংস করে নগরায়ণ হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত না করাই নগরীগুলোতে প্রকৃতি এবং পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ।
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ করা, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ, নগর বন সৃষ্টির কর্মসূচি গ্রহণ, কৃষি জমি সংরক্ষণ নিশ্চিত করা, নগরব্যাপী বিদ্যমান পুকুর-খাল এবং অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং সমতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণমূলনক নগর দর্শন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘রাজধানীতে একটা শিশু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। সরকার ইটভাটা বন্ধে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় নিলেও তার ধারে কাছে নেই। শহরে অপরিকল্পিত নির্মাণ, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নিতে হবে।’
বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশরাত জাহান বলেন, ‘ড্যাপ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে। শুধু ঢাকা নয়, বাইরের শহরগুলোতেও খাল, বন, মাঠ, কৃষিজমি দখল হয়ে যাচ্ছে। আমার গ্রাম, আমার শহর প্রকল্প, উপজেলা মাস্টারপ্ল্যানে কি হচ্ছে তাতে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বাপার সহসভাপতি মহিদুল হক খান বলেন, ‘আমাদের অবস্থা হচ্ছে, সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা! যারা ক্ষমতায়, সরকারে বা দায়িত্ব আছেন তারা নিজেদের সমস্যাগুলো সমাধান করার কথা। কিন্তু তাঁরা কিছুই না করে কৃতিত্ব ও পুরস্কার নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।’
অনুষ্ঠানে স্থায়িত্বশীল নগরায়ণে পরিবেশের গুরুত্ব বিষয়ক সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাব পুস্তিকার উন্মোচন করেন আলোচকেরা। পুস্তিকায় পরিবেশ রক্ষা করে টেকসই নগরায়ণসহ নানান বিষয় উঠে এসেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, হাসান ইউসুফ খান, হুমায়ুন কবির সুমন, বাপা নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান প্রমুখ।
দেশব্যাপী ক্রমাগত দখল এবং দূষণে শহরগুলোর সবুজ ও জলজ অংশসমূহ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান, ও চিত্ত-বিনোদনের মুক্ত সুযোগসমূহ সংকুচিত হচ্ছে। ফলে দেশ এখন নগরায়ণ সংকটের সম্মুখীন। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে রাজধানী গত ২০ বছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ গাছ কমেছে। ফলে রাজধানীতে মায়ের গর্ভের থাকা অবস্থায়ই শিশুরা বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত ‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ণে পরিবেশের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব।
রাজধানীতে বর্তমানে সবুজের পরিমাণ ৮ শতাংশেরও কম জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, ‘২০২২ সালে বুয়েটের নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগ এবং ইউএসএইড পরিচালিত জরিপ অনুসারে, ঢাকা শহর ২০০২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ সবুজ হারিয়েছে। বর্তমানে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাছ রয়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ শতাংশেরও কম।’
তিনি বলেন, ‘এক কালের ছিমছাম, উদ্যান-পার্ক সমৃদ্ধ, খাল-ঝিল ও পুকুরে পরিপূর্ণ সবুজ শহরগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে। স্বস্তিতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। পরিবেশের সঙ্গে সহাবস্থান নয়, বরং পরিবেশকে ধ্বংসের মাধ্যমেই দেশে নগরায়ণ প্রক্রিয়া ধাবিত হচ্ছে।’
তিনি জানান, গত ২৮ বছরে রাজধানী থেকে ৮৫ ভাগ জলাভূমি হারিয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে স্থাপনা বেড়েছে ৭৫ ভাগ। অর্থাৎ গাছপালা এবং জলাশয় ধ্বংস করে নগরায়ণ হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত না করাই নগরীগুলোতে প্রকৃতি এবং পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ।
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ করা, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ, নগর বন সৃষ্টির কর্মসূচি গ্রহণ, কৃষি জমি সংরক্ষণ নিশ্চিত করা, নগরব্যাপী বিদ্যমান পুকুর-খাল এবং অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং সমতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণমূলনক নগর দর্শন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘রাজধানীতে একটা শিশু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। সরকার ইটভাটা বন্ধে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় নিলেও তার ধারে কাছে নেই। শহরে অপরিকল্পিত নির্মাণ, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নিতে হবে।’
বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশরাত জাহান বলেন, ‘ড্যাপ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে। শুধু ঢাকা নয়, বাইরের শহরগুলোতেও খাল, বন, মাঠ, কৃষিজমি দখল হয়ে যাচ্ছে। আমার গ্রাম, আমার শহর প্রকল্প, উপজেলা মাস্টারপ্ল্যানে কি হচ্ছে তাতে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বাপার সহসভাপতি মহিদুল হক খান বলেন, ‘আমাদের অবস্থা হচ্ছে, সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা! যারা ক্ষমতায়, সরকারে বা দায়িত্ব আছেন তারা নিজেদের সমস্যাগুলো সমাধান করার কথা। কিন্তু তাঁরা কিছুই না করে কৃতিত্ব ও পুরস্কার নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।’
অনুষ্ঠানে স্থায়িত্বশীল নগরায়ণে পরিবেশের গুরুত্ব বিষয়ক সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাব পুস্তিকার উন্মোচন করেন আলোচকেরা। পুস্তিকায় পরিবেশ রক্ষা করে টেকসই নগরায়ণসহ নানান বিষয় উঠে এসেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, হাসান ইউসুফ খান, হুমায়ুন কবির সুমন, বাপা নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান প্রমুখ।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১০ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
১ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
২ দিন আগে