অনলাইন ডেস্ক
উচ্চ মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল করতে না পারায় আত্মহত্যা করেন এমকে আমুধু নামের এক তরুণ। তাঁর বাবা জি মুনুস্বামীর জন্য মেধাবী ছেলের এ মৃত্যু মেনে নেওয়া ছিল কঠিন। এরপর থেকে কাছের কাঞ্চনাগিরি পাহাড়ে চলে যেতেন প্রায়ই। নিজেই আত্মহত্যা করার কথা ভাবতেন। তবে একপর্যায়ে চিন্তাটি মাথা থেকে দূর হয়ে যায়। ছেলের ইচ্ছাপূরণ করতে গাছের চারা লাগাতে শুরু করেন তিনি।
ঘটনাটি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের। আর এসব তথ্য জানা যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে।
আমুধু ছিলেন মেধাবী এক ছাত্র। পাঠ্যক্রমের বাইরের বিভিন্ন বিষয়েও ছিলেন দক্ষ। বড় ভাই এম কে ইলাকিয়াপেরানথাগাইয়ের মতো চিকিৎসক হওয়ার পরে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। ভাইয়ের সঙ্গে নিজের তুলনা করে সব সময় একটা উদ্বেগ কাজ করত তাঁর মধ্যে। তবে স্কুলে তার দশম শ্রেণির পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে হতাশা পেয়ে বসে।
‘আমার ছেলে খুব মেধাবী ছিল। আমি জানি না কী পরিবর্তন এসেছিল তার মধ্যে, তবে পরীক্ষার চাপ তার ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল।’ ৫৬ বছরের মুনুস্বামী বলেন, ‘অভিভাবক হিসেবে আমরা কখনই আমাদের সন্তানদের ভালো ফলাফলের জন্য চাপ দিইনি। কিন্তু আমাদের সমর্থন সত্ত্বেও সে ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ব্যর্থতার ভার তার ভঙ্গুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে যখন সিবিএসই করোনা প্রোটোকলের কারণে পরীক্ষা না নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল ঘোষণা করে সেখানে ৫০০-তে কেবল ৪০০ পায় সে। অথচ পরীক্ষা হলে প্রথম হওয়ার আশা করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা চিঠি লিখে সে আমাদের রেখে চলে গেছে। সেখানে লেখা, “আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। দয়া করে আমার ভাইয়ের যত্ন নাও এবং বড় একটা কিছু অর্জনে সাহায্য করো তাকে।”
আর এই মৃত্যু ছিল মুনুস্বামী এবং তাঁর পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ‘আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কয়েক মাস ধরে, নিজের জীবন শেষ করার চিন্তায় আঁকড়ে ছিলাম। প্রায়ই নিজেকে কাঞ্চনগিরি পাহাড়ে দেখতে পেতাম। আর ছেলের মতো কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম।’
তবে তাঁর ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এ প্রাক্তন প্রকৌশলীকে জীবনের একটি গভীর উদ্দেশ্য খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি তার ছেলে আমুধুর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাকে নিজের সুখের সন্ধানে কাজে লাগিয়েছেন।
তাঁর ছেলে মায়ের সঙ্গে নিয়মিত কাঞ্চনাগিরি পাহাড়ে যেত। সেখানে প্রকৃতির মধ্যে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করত।
তিন বছর আগের এক দিন। মুনুস্বামী পাহাড়ে একা বসেছিলেন। হতাশা গ্রাস করে ফেলেছে তাকে। এ সময় সর্বানন লাবণ্য নামে এক সমাজকর্মী তাকে লক্ষ্য করেন এবং মুনুস্বামীর গল্প শুনে তাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করেন।
‘এই পাহাড়ে নতুন করে গাছ লাগানোর জন্য আপনাকে প্রয়োজন। কেন এতে আত্মনিয়োগ করছেন না?’ তিনি বলেন, ‘এই পাহাড়গুলোর জন্য সব সময় কিছু করতে চাইত আমার ছেলে। আর এটাই আমাকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছে।’
‘এ ভ্রমণে আমার পরিবার আমার মেরুদণ্ড। যখন বৃক্ষরোপণে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দিই, আমার স্ত্রী এস কোসালাই সব ধরনের সাহায্য করে। এটা আমার আত্মহত্যার প্রবণতা মুছে দেয়। জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাই।’
তার এ কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন মুনুস্বামী। রানিপেত জেলা প্রশাসন থেকে পেয়েছেন পাসুমাই বিরুধু পুরস্কার এবং জলবায়ু পরিবর্তনকারী পুরস্কার পেয়েছেন।
‘আমার সন্তানের মৃত্যু আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আশা করি সবাই সুখ খুঁজে পাবেন এবং একটি করে গাছ লাগাবেন।’ কাঁদতে কাঁদতে বলেন তিনি।
২০২২ সালে মুনুস্বামী আমুধুর নামে একটা সংগঠন গড়ে তুলে বৃক্ষরোপণ শুরু করেন। তামিলনাড়ু বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে কালমেলকুপ্পাম পঞ্চায়েত এলাকার এক হাজার ১০০ একর এলাকায় পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেন। ইতিমধ্যে এক হাজার ১০০ একরের মধ্যে ১০০ একরে তিন হাজার ৪০০ গাছের চারা লাগিয়েছেন তিনি। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করছেন অনেকেই।
‘আমার ছেলের স্মৃতি স্মরণ করে, সব বৃক্ষকে সন্তানতুল্য মনে করি। দয়ালু মানুষদের সহায়তায় তাদের সেবায় কাজ করছি। যখনই আমি তাদের রোপণ করি, আমি চুমু দিই এবং হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে তাদের রোপণ করি। প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে বৃক্ষরোপণে এখন পর্যন্ত।’ বলেন তিনি।
এদিকে যেসব স্বেচ্ছাসেবী আগ্রহী তাদের নিখরচায় এক কোটি গাছের চারা দেওয়ার বিশাল এক পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন তিনি।
উচ্চ মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল করতে না পারায় আত্মহত্যা করেন এমকে আমুধু নামের এক তরুণ। তাঁর বাবা জি মুনুস্বামীর জন্য মেধাবী ছেলের এ মৃত্যু মেনে নেওয়া ছিল কঠিন। এরপর থেকে কাছের কাঞ্চনাগিরি পাহাড়ে চলে যেতেন প্রায়ই। নিজেই আত্মহত্যা করার কথা ভাবতেন। তবে একপর্যায়ে চিন্তাটি মাথা থেকে দূর হয়ে যায়। ছেলের ইচ্ছাপূরণ করতে গাছের চারা লাগাতে শুরু করেন তিনি।
ঘটনাটি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের। আর এসব তথ্য জানা যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে।
আমুধু ছিলেন মেধাবী এক ছাত্র। পাঠ্যক্রমের বাইরের বিভিন্ন বিষয়েও ছিলেন দক্ষ। বড় ভাই এম কে ইলাকিয়াপেরানথাগাইয়ের মতো চিকিৎসক হওয়ার পরে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। ভাইয়ের সঙ্গে নিজের তুলনা করে সব সময় একটা উদ্বেগ কাজ করত তাঁর মধ্যে। তবে স্কুলে তার দশম শ্রেণির পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে হতাশা পেয়ে বসে।
‘আমার ছেলে খুব মেধাবী ছিল। আমি জানি না কী পরিবর্তন এসেছিল তার মধ্যে, তবে পরীক্ষার চাপ তার ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল।’ ৫৬ বছরের মুনুস্বামী বলেন, ‘অভিভাবক হিসেবে আমরা কখনই আমাদের সন্তানদের ভালো ফলাফলের জন্য চাপ দিইনি। কিন্তু আমাদের সমর্থন সত্ত্বেও সে ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ব্যর্থতার ভার তার ভঙ্গুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে যখন সিবিএসই করোনা প্রোটোকলের কারণে পরীক্ষা না নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল ঘোষণা করে সেখানে ৫০০-তে কেবল ৪০০ পায় সে। অথচ পরীক্ষা হলে প্রথম হওয়ার আশা করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা চিঠি লিখে সে আমাদের রেখে চলে গেছে। সেখানে লেখা, “আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। দয়া করে আমার ভাইয়ের যত্ন নাও এবং বড় একটা কিছু অর্জনে সাহায্য করো তাকে।”
আর এই মৃত্যু ছিল মুনুস্বামী এবং তাঁর পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ‘আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কয়েক মাস ধরে, নিজের জীবন শেষ করার চিন্তায় আঁকড়ে ছিলাম। প্রায়ই নিজেকে কাঞ্চনগিরি পাহাড়ে দেখতে পেতাম। আর ছেলের মতো কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম।’
তবে তাঁর ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এ প্রাক্তন প্রকৌশলীকে জীবনের একটি গভীর উদ্দেশ্য খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি তার ছেলে আমুধুর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাকে নিজের সুখের সন্ধানে কাজে লাগিয়েছেন।
তাঁর ছেলে মায়ের সঙ্গে নিয়মিত কাঞ্চনাগিরি পাহাড়ে যেত। সেখানে প্রকৃতির মধ্যে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করত।
তিন বছর আগের এক দিন। মুনুস্বামী পাহাড়ে একা বসেছিলেন। হতাশা গ্রাস করে ফেলেছে তাকে। এ সময় সর্বানন লাবণ্য নামে এক সমাজকর্মী তাকে লক্ষ্য করেন এবং মুনুস্বামীর গল্প শুনে তাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করেন।
‘এই পাহাড়ে নতুন করে গাছ লাগানোর জন্য আপনাকে প্রয়োজন। কেন এতে আত্মনিয়োগ করছেন না?’ তিনি বলেন, ‘এই পাহাড়গুলোর জন্য সব সময় কিছু করতে চাইত আমার ছেলে। আর এটাই আমাকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছে।’
‘এ ভ্রমণে আমার পরিবার আমার মেরুদণ্ড। যখন বৃক্ষরোপণে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দিই, আমার স্ত্রী এস কোসালাই সব ধরনের সাহায্য করে। এটা আমার আত্মহত্যার প্রবণতা মুছে দেয়। জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাই।’
তার এ কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন মুনুস্বামী। রানিপেত জেলা প্রশাসন থেকে পেয়েছেন পাসুমাই বিরুধু পুরস্কার এবং জলবায়ু পরিবর্তনকারী পুরস্কার পেয়েছেন।
‘আমার সন্তানের মৃত্যু আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আশা করি সবাই সুখ খুঁজে পাবেন এবং একটি করে গাছ লাগাবেন।’ কাঁদতে কাঁদতে বলেন তিনি।
২০২২ সালে মুনুস্বামী আমুধুর নামে একটা সংগঠন গড়ে তুলে বৃক্ষরোপণ শুরু করেন। তামিলনাড়ু বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে কালমেলকুপ্পাম পঞ্চায়েত এলাকার এক হাজার ১০০ একর এলাকায় পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেন। ইতিমধ্যে এক হাজার ১০০ একরের মধ্যে ১০০ একরে তিন হাজার ৪০০ গাছের চারা লাগিয়েছেন তিনি। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করছেন অনেকেই।
‘আমার ছেলের স্মৃতি স্মরণ করে, সব বৃক্ষকে সন্তানতুল্য মনে করি। দয়ালু মানুষদের সহায়তায় তাদের সেবায় কাজ করছি। যখনই আমি তাদের রোপণ করি, আমি চুমু দিই এবং হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে তাদের রোপণ করি। প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে বৃক্ষরোপণে এখন পর্যন্ত।’ বলেন তিনি।
এদিকে যেসব স্বেচ্ছাসেবী আগ্রহী তাদের নিখরচায় এক কোটি গাছের চারা দেওয়ার বিশাল এক পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন তিনি।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। আবহাওয়া অফিস বলছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করে জাহান পরিবার। এই পরিবারের কেউ কখনো কাছ থেকে শিয়াল দেখেনি। তবে গত নভেম্বরে সকালে ৪ বছরের মুসকানকে ধান ক্ষেতে ধাওয়া করে এবং তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক পাগলা শিয়াল। প্রাণীটির কামড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় শিশুটি। পরে গ্রামবাসী শিয়ালটিকে পিটিয়ে মারে।
১০ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা। বিশ্বের ১২৬ দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ দূষণ ঢাকায়। ঢাকার বাতাসে আজ যে দূষণ রয়েছে, তা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর। সকালে বায়ুর মান পরিমাপ করা হয়েছে ২৭৬, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর...
১৪ ঘণ্টা আগেসারা পৃথিবীর শিশুদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে বলতে পারে, তারা তাদের প্রথম হাঁটা শিখেছে আর্কটিকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রযাত্রার সময় একটি ইয়টে। কিন্তু টম বলতে পারে। জীবনের প্রথম চার বছরের মধ্যে তিন বছরই কেটেছে তার সমুদ্রপথে।
১ দিন আগে