Ajker Patrika

ক্যাপসিকাম চাষে বিপ্লব ঘটবে

রুবায়েত হোসেন, খুবি 
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৪১
ক্যাপসিকাম চাষে বিপ্লব ঘটবে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ গবেষণায় সাফল্য পাওয়া গেছে। গবেষকদের মতে, ক্যাপসিকাম চাষের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নানের তত্ত্বাবধানে ওই ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা এ গবেষণা করছেন। বর্তমানে খুবির অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধীন জার্মপ্লাজম সেন্টারে এ ক্যাপসিকাম গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জানা যায়, এ গবেষণায় লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা ও বেগুনি ক্যাপসিকাম নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা। স্বল্প রোদের আলোতে মালচিং শিট ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়েছে বলে জানা যায়। গবেষকদের কাছ থেকে জানা যায়, ‘ছায়াযুক্ত স্থানে ক্যাপসিকাম চাষ করা হলেও এক একটি গাছে সর্বোচ্চ ২০টি ক্যাপসিকাম ধরেছে। প্রত্যেকটি ক্যাপসিকামের ওজন ৭০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে এবং প্রত্যেক গাছ থেকে গড়ে ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ক্যাপসিকাম পাওয়া গেছে।

এ গবেষণার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ক্যাপসিকাম বিদেশি সবজি হওয়ায় বড় বড় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর দাম অন্যান্য সবজির তুলনায় অনেক বেশি প্রতি কেজি ২০০-৩০০ টাকা করে। এ ছাড়া প্রতিটি গাছে ৩০/৪০ টাকা খরচ করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি বলেন, ক্যাপসিকাম চাষ করলে কৃষকেরা স্বাবলম্বী হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে।’

গবেষক বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচটি জাতের ক্যাপসিকাম নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং সবসময় সূর্যালোক না পেলেও ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। ক্যাপসিকাম ডে নিউট্রাল হলেও সূর্যের আলোর ওপর এক ধরনের প্রভাব রয়েছে। তাই যেখানে সব সময় সূর্যের আলো থাকে সেখানে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

তবে ক্যাপসিকাম চাষের সবচেয়ে বড় বাধা হলো বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ। বিশেষ করে এফিড, থ্রিপস ও সাদা মাছি। এ জন্য চারা লাগানোর পরের দিনই ইমিডাক্লোরোফিড বা এসিটামপিড গ্রুপের কীটনাশক, যেমন বিল্ডার বা তুন্দ্রা ব্যবহার করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাপসিকামের প্রথম ফুল অবশ্যই ঝরে পড়ে এবং ফুল ঝরে পড়া থেকে রক্ষা পেতে প্ল্যান্ট গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করা হয়। চিলি লিফ কার্ল ভাইরাস ক্যাপসিকামের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই গাছ ভাইরাস আক্রান্ত হলে তা তুলে জমি থেকে দুরে মাটি চাপা বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হয়। এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এর ভেক্টর দমন করতে হয়। সাধারণত সাদা মাছি, এফিড বা জাব পোকা, থ্রিপস এই ভাইরাসের ভেক্টর হিসেবে কাজ করে। এফিড ও থ্রিপস দমনে নিম ওয়েল ও কেওলিন (অরগানিক) ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

বোনের বাড়িতে ‘ধর্ষণের’ শিকার: ২৪ ঘণ্টা পরও অচেতন শিশু, মূর্ছা যাচ্ছেন মা

আওয়ামী লীগ নেতা ‘ব্যাটারি বাবু’ ভবনে ঢুকে হাওয়া!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত