টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি চার বছর ধরে অকেজো। ফিল্ম না থাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে না যন্ত্রটি। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগী ও স্বজনেরা। অন্যদিকে হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে করাতে না পেরে দ্বিগুণ টাকা ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে যন্ত্রটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এক্স-রে মেশিনটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অর্থোপেডিক বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড়। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। তাঁদের অধিকাংশের হাতে রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করে আনা ডিজিটাল এক্স-রে পেপার। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগেও একই দৃশ্য লক্ষ করা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলেন, হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে করার ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে বাড়তি টাকা দিয়ে এক্স-রে করে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তাঁরা।
আতোয়ার রহমান নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতালে এ পর্যন্ত তিনবার রোগী নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন অকেজো থাকায় প্রত্যেকবারই বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়েছে। প্রতিটি এক্স-রে করাতে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। এ ছাড়া বাইরের ক্লিনিক থেকে এক্স-রে করাতে গেলে রোগীকে অনেক কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
অপর এক রোগীর স্বজন আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত চার দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার বড় মামা কামরুলের পা ভেঙে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক এক্স-রে করাতে বললেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন না থাকায় পাশের ক্লিনিক থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে করাতে হয়েছে। ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তিনটি ডিজিটাল এক্স-রে করিয়েছি।’
হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবহার না করায় মেশিনের ওপরে ধুলার আস্তর পড়ে আছে। কক্ষটির অবস্থাও নাজুক। মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট মো. কবির হোসেন জানান, ২০১৭ সালের ২ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসানো হয়। ছয় মাসের মতো এই মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। এরপর প্রায় চার বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যন্ত্রটির পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি থাকলেও কোম্পানি চুক্তি অনুযায়ী কোনো মেরামত করেনি। একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। ফলে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে অধিক টাকা ব্যয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল এক্স-রের ফিল্ম কেনার কোনো কোড আমাদের নেই। এর জন্য কোনো বরাদ্দও আমরা পাই না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিরও কোনো উত্তর পাইনি। তবে অ্যানালগ মেশিনের মাধ্যমে এক্স-রে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি চার বছর ধরে অকেজো। ফিল্ম না থাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে না যন্ত্রটি। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগী ও স্বজনেরা। অন্যদিকে হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে করাতে না পেরে দ্বিগুণ টাকা ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে যন্ত্রটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এক্স-রে মেশিনটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অর্থোপেডিক বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড়। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। তাঁদের অধিকাংশের হাতে রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করে আনা ডিজিটাল এক্স-রে পেপার। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগেও একই দৃশ্য লক্ষ করা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলেন, হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে করার ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে বাড়তি টাকা দিয়ে এক্স-রে করে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তাঁরা।
আতোয়ার রহমান নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতালে এ পর্যন্ত তিনবার রোগী নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন অকেজো থাকায় প্রত্যেকবারই বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়েছে। প্রতিটি এক্স-রে করাতে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। এ ছাড়া বাইরের ক্লিনিক থেকে এক্স-রে করাতে গেলে রোগীকে অনেক কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
অপর এক রোগীর স্বজন আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত চার দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার বড় মামা কামরুলের পা ভেঙে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক এক্স-রে করাতে বললেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন না থাকায় পাশের ক্লিনিক থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে করাতে হয়েছে। ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তিনটি ডিজিটাল এক্স-রে করিয়েছি।’
হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবহার না করায় মেশিনের ওপরে ধুলার আস্তর পড়ে আছে। কক্ষটির অবস্থাও নাজুক। মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট মো. কবির হোসেন জানান, ২০১৭ সালের ২ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসানো হয়। ছয় মাসের মতো এই মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। এরপর প্রায় চার বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যন্ত্রটির পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি থাকলেও কোম্পানি চুক্তি অনুযায়ী কোনো মেরামত করেনি। একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। ফলে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে অধিক টাকা ব্যয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল এক্স-রের ফিল্ম কেনার কোনো কোড আমাদের নেই। এর জন্য কোনো বরাদ্দও আমরা পাই না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিরও কোনো উত্তর পাইনি। তবে অ্যানালগ মেশিনের মাধ্যমে এক্স-রে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে