কামাল হোসেন, কয়রা
খুলনার কয়রায় ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সড়কের ১৩ কিলোমিটারেরই ইট উঠে গেছে। উপজেলার কাটকাটা থেকে গোলখালি পর্যন্ত এ সড়কে ছোটবড় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের উপজেলা সদরে আসা ও যাওয়ার একমাত্র ইটের সলিংয়ের সড়ক এটি। সড়কের ইট উঠে ও ভেঙে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি তো একেবারেই চলার অনুপযোগী। একমাত্র চলাচলের মাধ্যম মোটরসাইকেল, তাও চালক ও আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গোলখালী-কাটকাটা রাস্তা দিয়ে দৈনিক শত শত বাইক, মোটর ভ্যান, নসিমন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকে। রাস্তার প্রতিটা ইট উঠে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও খানাখন্দ হয়ে আছে। এ অবস্থায় অফিশিয়াল কাজে কয়রা যাওয়া রীতিমতো বিপজ্জনক। তা ছাড়া দুই ইউনিয়নের ঘেরের মাছ উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হয়। এ রাস্তার দুর্দশা দেখলে যে কেউ হতবাক হতে বাধ্য। শুধু নারী শ্রমিক দিয়ে জোড়াতালি নয়, নতুন করে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার আমল বলেন, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। কিন্তু রাস্তাটির ১৩ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ। ইট উঠে ও ভেঙে হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের পাতাখালী গ্রামের হোসেন আলী বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যকোনো কিছুতে চলাচলের ব্যবস্থা নেই। আমাদের এখানে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
মোটরসাইকেল চালক মইদুল বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়েই চলে আমার সংসার। এক দিন গাড়ি না চালালে সংসার চলে না, বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চালাই। দুই দিন অন্তর গাড়ি খারাপ হয়। উপায় নেই, গাড়ি না চালালে খাব কী, তাই বাধ্য হয়ে সীমাহীন ভোগান্তি হলেও কষ্ট করে গাড়ি চালাই। যদি রাস্তাটা ঠিক করা হয় তাহলে আমরা একটু শান্তিতে গাড়ি চালিয়ে খেয়ে পরে বাঁচতে পারব।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আছের আব্দুস সালাম বলেন, ‘রাস্তাটি ইউনিয়নের মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। এ বিষয়ে এমপি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমপি সাহেব কথা দিয়েছেন জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটির সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন।’ কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, রাস্তার একপাশে নদী ও অন্য পাশে মাছ চাষ করার কারণে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে ঘেরের যদি পাড় থাকত তাহলে আর রাস্তা ভাঙত না। তিনি বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে আশা করা যায় দ্রুত কাজ শুরু হবে।
খুলনার কয়রায় ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সড়কের ১৩ কিলোমিটারেরই ইট উঠে গেছে। উপজেলার কাটকাটা থেকে গোলখালি পর্যন্ত এ সড়কে ছোটবড় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের উপজেলা সদরে আসা ও যাওয়ার একমাত্র ইটের সলিংয়ের সড়ক এটি। সড়কের ইট উঠে ও ভেঙে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি তো একেবারেই চলার অনুপযোগী। একমাত্র চলাচলের মাধ্যম মোটরসাইকেল, তাও চালক ও আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গোলখালী-কাটকাটা রাস্তা দিয়ে দৈনিক শত শত বাইক, মোটর ভ্যান, নসিমন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকে। রাস্তার প্রতিটা ইট উঠে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও খানাখন্দ হয়ে আছে। এ অবস্থায় অফিশিয়াল কাজে কয়রা যাওয়া রীতিমতো বিপজ্জনক। তা ছাড়া দুই ইউনিয়নের ঘেরের মাছ উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হয়। এ রাস্তার দুর্দশা দেখলে যে কেউ হতবাক হতে বাধ্য। শুধু নারী শ্রমিক দিয়ে জোড়াতালি নয়, নতুন করে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার আমল বলেন, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। কিন্তু রাস্তাটির ১৩ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ। ইট উঠে ও ভেঙে হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের পাতাখালী গ্রামের হোসেন আলী বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যকোনো কিছুতে চলাচলের ব্যবস্থা নেই। আমাদের এখানে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
মোটরসাইকেল চালক মইদুল বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়েই চলে আমার সংসার। এক দিন গাড়ি না চালালে সংসার চলে না, বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চালাই। দুই দিন অন্তর গাড়ি খারাপ হয়। উপায় নেই, গাড়ি না চালালে খাব কী, তাই বাধ্য হয়ে সীমাহীন ভোগান্তি হলেও কষ্ট করে গাড়ি চালাই। যদি রাস্তাটা ঠিক করা হয় তাহলে আমরা একটু শান্তিতে গাড়ি চালিয়ে খেয়ে পরে বাঁচতে পারব।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আছের আব্দুস সালাম বলেন, ‘রাস্তাটি ইউনিয়নের মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। এ বিষয়ে এমপি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমপি সাহেব কথা দিয়েছেন জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটির সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন।’ কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, রাস্তার একপাশে নদী ও অন্য পাশে মাছ চাষ করার কারণে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে ঘেরের যদি পাড় থাকত তাহলে আর রাস্তা ভাঙত না। তিনি বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে আশা করা যায় দ্রুত কাজ শুরু হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে