মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পাঁচ দফায় ৬ মাস করে মেয়াদ বাড়ানোর পরও শেষ হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণকাজ। ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ মাসের মধ্যে ভবনটির কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ৬২ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৭৫ শতাংশ। পঞ্চম দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার ভবন বুঝিয়ে দিতে পারেননি। এখন পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৭৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ পরিদর্শন করেছি। তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় ভবন (ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন) নির্মাণে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। জি কে বি এল লিড ফার্ম হিসেবে ও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড পার্টনার ইনচার্জ হিসেবে দরপত্রে অংশ নেয়। ওই কাজের জন্য যৌথভাবে তারা প্রথম নিম্ন দরদাতা হয়। তাদের ৭৫ কোটি টাকার এই কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শেষের সময় নির্ধারিত ছিল।
দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জয়েন্ট ভেনচার) নামে কাজ শুরু হলেও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সই শুরু থেকে কাজটি করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, একই বছরের ৩০ জানুয়ারি এবং ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর চার দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ বর্ধিত সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। অথচ প্রতিবারই পরবর্তী মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করার লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স।
নির্মাণকাজটি বর্তমানে তদারক করছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর ওরফে জামশেদ। তিনি বলেন, ‘কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। কিছু ফিনিশিং বাকি আছে। সেগুলো শেষ হলে ভবন বুঝিয়ে দেব।’ তবে কত শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন ভবের বিভিন্ন কক্ষে এখনো থাই গ্লাস, দরজা, টয়লেটের সরঞ্জাম লাগানো হয়নি। জানালার গ্রিল লাগানো, ইলেকট্রিক ও টাইলসের কাজ চলছে। চারদিকে ময়লা ও পরিত্যক্ত নির্মাণ সামগ্রীর স্তূপ দেখা যায়। নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শ্রমিকেরা বলছেন, অবশিষ্ট কাজ শেষ হতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।
শ্রেণিকক্ষ সংকট: এ দিকে ভবনটির নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অনুষদের ৬ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগগুলো হচ্ছে পালি, সংস্কৃত, ফারসি, বাংলাদেশ স্টাডিজ, সংগীত এবং আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের কোনো শ্রেণিকক্ষই নেই। সংগীত ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জন্য রয়েছে একটি করে, পালি ও সংস্কৃত বিভাগের জন্য রয়েছে মাত্র ৩টি করে কক্ষ। কিছুদিনের মধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান শুরু হলে ভোগান্তি মাত্রা বেড়ে যাবে—এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে যদি তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) ভবন বুঝিয়ে দিতে না পারে তাহলে আমরা তাদের ঠিকাদারি বাতিল করব। জামানতও জব্দ করা হবে। এ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই।’
পাঁচ দফায় ৬ মাস করে মেয়াদ বাড়ানোর পরও শেষ হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণকাজ। ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ মাসের মধ্যে ভবনটির কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ৬২ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৭৫ শতাংশ। পঞ্চম দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার ভবন বুঝিয়ে দিতে পারেননি। এখন পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৭৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ পরিদর্শন করেছি। তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় ভবন (ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন) নির্মাণে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। জি কে বি এল লিড ফার্ম হিসেবে ও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড পার্টনার ইনচার্জ হিসেবে দরপত্রে অংশ নেয়। ওই কাজের জন্য যৌথভাবে তারা প্রথম নিম্ন দরদাতা হয়। তাদের ৭৫ কোটি টাকার এই কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শেষের সময় নির্ধারিত ছিল।
দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জয়েন্ট ভেনচার) নামে কাজ শুরু হলেও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সই শুরু থেকে কাজটি করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, একই বছরের ৩০ জানুয়ারি এবং ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর চার দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ বর্ধিত সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। অথচ প্রতিবারই পরবর্তী মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করার লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স।
নির্মাণকাজটি বর্তমানে তদারক করছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর ওরফে জামশেদ। তিনি বলেন, ‘কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। কিছু ফিনিশিং বাকি আছে। সেগুলো শেষ হলে ভবন বুঝিয়ে দেব।’ তবে কত শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন ভবের বিভিন্ন কক্ষে এখনো থাই গ্লাস, দরজা, টয়লেটের সরঞ্জাম লাগানো হয়নি। জানালার গ্রিল লাগানো, ইলেকট্রিক ও টাইলসের কাজ চলছে। চারদিকে ময়লা ও পরিত্যক্ত নির্মাণ সামগ্রীর স্তূপ দেখা যায়। নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শ্রমিকেরা বলছেন, অবশিষ্ট কাজ শেষ হতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।
শ্রেণিকক্ষ সংকট: এ দিকে ভবনটির নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অনুষদের ৬ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগগুলো হচ্ছে পালি, সংস্কৃত, ফারসি, বাংলাদেশ স্টাডিজ, সংগীত এবং আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের কোনো শ্রেণিকক্ষই নেই। সংগীত ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জন্য রয়েছে একটি করে, পালি ও সংস্কৃত বিভাগের জন্য রয়েছে মাত্র ৩টি করে কক্ষ। কিছুদিনের মধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান শুরু হলে ভোগান্তি মাত্রা বেড়ে যাবে—এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে যদি তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) ভবন বুঝিয়ে দিতে না পারে তাহলে আমরা তাদের ঠিকাদারি বাতিল করব। জামানতও জব্দ করা হবে। এ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে