মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দফায় দফায় লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধে গত দুই বছর ব্যাপক সংকটে ছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ব্যবসায়ীরা। পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়েছেন অনেকে। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নেই লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ। তাই আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে হরেক রকম পণ্যে দোকান সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চান তাঁরা।
গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী পৌরবাজারে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে অভিজাত বিপণিবিতান আর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের রুচি ও পছন্দ বিবেচনায় রেখে বাহারি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার ঘটিয়েছেন দোকানিরা। এসব পোশাকের নামেও রয়েছে ভিন্নতা। সাজানো রয়েছে দেশি পোশাকের পাশাপাশি বিদেশি পোশাকও। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেক ব্যবসায়ী আবার দোকানে লাইটের গেট ও সাজসজ্জা করেছেন। ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনায় গত দুই বছর তাঁরা খুব সংকটে কাটিয়েছেন। অনেকে পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঈদকে সামনে রেখে তাঁরা বাহারী পণ্যে দোকান সাজিয়েছেন। সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চান।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, কুমারখালীতে ১০ রমজানের পর থেকে ঈদবাজার পুরোপুরি জমে উঠে। শহরের ফ্যাশন হাউস ও বিপণিবিতানগুলো মুখরিত হয় ক্রেতাদের পদচারণায়। ঈদবাজারে বিকিকিনি শুরু হয় খুব সকালে এবং চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
দোকানিরা বলছেন, নতুন ডিজাইনের পোশাকে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে তরুণীদের চাহিদায় থাকে ভারতীয় পোশাক। তবে বরাবরের মতো এ বছরও দেশি পোশাকেরও চাহিদা রয়েছে। এ জন্য এবারও ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে রুচি ও মানসম্মত কালেকশন সাজানো হয়েছে। মেয়েদের পোশাক কেনাবেচায় বেশ সাড়া পড়লেও তেমন ব্যস্ততা নেই ছেলেদের পোশাক দোকানে।
শহরের একমাত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দোকান সোনালী হস্তশিল্প। সোনালী হস্তশিল্পের প্রোপ্রাইটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুই বছর করোনা থাকায় ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই করুণ। অনেকেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন। তবে ঈদবাজার ঘিরে নতুন ডিজাইনের একাধিক পোশাকের কালেকশন রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়াতে।
জোস কালেকশনের প্রোপ্রাইটর রুবেল আহমেদ বলেন, এবার পোশাকের দাম বেশি। এখন মেয়েদের পোশাক কেনাবেচা চলছে। ছেলেদের পোশাক আরও ১০ দিন পর থেকে বেচা শুরু হবে।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কুমারখালী সরকারি কলেজের ছাত্রী সুমি খাতুন বলেন, ‘দেশি কাপড়ের পাশাপাশি বিদেশি কাপড়ও প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বৈচিত্র্যময় দেশীয় পোশাকের জুড়ি নেই। এবার পোশাকের দাম বেশি।’
এদিকে, ব্যস্ততা বেড়েছে থান কাপড়ের দোকানিও। রমজানের শুরু থেকেই জমে উঠেছে থান কাপড় বেচাকেনা। বিশেষ করে তরুণীরা তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী থান কাপড় কিনে নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে থাকেন।
কুমারখালী পৌরবাজার বণিক সমিতির সভাপতি কে আলম টমে বলেন, করোনার সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় এবার ব্যবসায়ীরা ব্যাপক কালেকশন রেখেছেন। এ বছর নিত্যপণ্যের সঙ্গে পোশাকের দামও বেশি। ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দফায় দফায় লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধে গত দুই বছর ব্যাপক সংকটে ছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ব্যবসায়ীরা। পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়েছেন অনেকে। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নেই লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ। তাই আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে হরেক রকম পণ্যে দোকান সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চান তাঁরা।
গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী পৌরবাজারে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে অভিজাত বিপণিবিতান আর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের রুচি ও পছন্দ বিবেচনায় রেখে বাহারি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার ঘটিয়েছেন দোকানিরা। এসব পোশাকের নামেও রয়েছে ভিন্নতা। সাজানো রয়েছে দেশি পোশাকের পাশাপাশি বিদেশি পোশাকও। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেক ব্যবসায়ী আবার দোকানে লাইটের গেট ও সাজসজ্জা করেছেন। ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনায় গত দুই বছর তাঁরা খুব সংকটে কাটিয়েছেন। অনেকে পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঈদকে সামনে রেখে তাঁরা বাহারী পণ্যে দোকান সাজিয়েছেন। সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চান।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, কুমারখালীতে ১০ রমজানের পর থেকে ঈদবাজার পুরোপুরি জমে উঠে। শহরের ফ্যাশন হাউস ও বিপণিবিতানগুলো মুখরিত হয় ক্রেতাদের পদচারণায়। ঈদবাজারে বিকিকিনি শুরু হয় খুব সকালে এবং চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
দোকানিরা বলছেন, নতুন ডিজাইনের পোশাকে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে তরুণীদের চাহিদায় থাকে ভারতীয় পোশাক। তবে বরাবরের মতো এ বছরও দেশি পোশাকেরও চাহিদা রয়েছে। এ জন্য এবারও ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে রুচি ও মানসম্মত কালেকশন সাজানো হয়েছে। মেয়েদের পোশাক কেনাবেচায় বেশ সাড়া পড়লেও তেমন ব্যস্ততা নেই ছেলেদের পোশাক দোকানে।
শহরের একমাত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দোকান সোনালী হস্তশিল্প। সোনালী হস্তশিল্পের প্রোপ্রাইটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুই বছর করোনা থাকায় ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই করুণ। অনেকেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন। তবে ঈদবাজার ঘিরে নতুন ডিজাইনের একাধিক পোশাকের কালেকশন রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়াতে।
জোস কালেকশনের প্রোপ্রাইটর রুবেল আহমেদ বলেন, এবার পোশাকের দাম বেশি। এখন মেয়েদের পোশাক কেনাবেচা চলছে। ছেলেদের পোশাক আরও ১০ দিন পর থেকে বেচা শুরু হবে।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কুমারখালী সরকারি কলেজের ছাত্রী সুমি খাতুন বলেন, ‘দেশি কাপড়ের পাশাপাশি বিদেশি কাপড়ও প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বৈচিত্র্যময় দেশীয় পোশাকের জুড়ি নেই। এবার পোশাকের দাম বেশি।’
এদিকে, ব্যস্ততা বেড়েছে থান কাপড়ের দোকানিও। রমজানের শুরু থেকেই জমে উঠেছে থান কাপড় বেচাকেনা। বিশেষ করে তরুণীরা তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী থান কাপড় কিনে নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে থাকেন।
কুমারখালী পৌরবাজার বণিক সমিতির সভাপতি কে আলম টমে বলেন, করোনার সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় এবার ব্যবসায়ীরা ব্যাপক কালেকশন রেখেছেন। এ বছর নিত্যপণ্যের সঙ্গে পোশাকের দামও বেশি। ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে