আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সরকারি চাল-গম কালোবাজারে বিক্রি কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ধরনের তৎপরতা ঠেকাতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এইচ এম কায়সার আলী সম্প্রতি এক পত্র জারি করেছেন। খাদ্যশস্যের চালান গন্তব্যে পৌঁছার পর ট্রাকের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর কথা বলা হয়েছে ওই পত্রে। এরপরও চোরাপথে চাল গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর ছয়টি ট্রাকে ৯০ টন চাল চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি সদর এলএসডি গুদামে পাঠানো হয়। এর মধ্যে গন্তব্যস্থল থেকে চার ট্রাক চালের ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পাঠালেও দুটি ট্রাকের ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পাঠাতে পারেননি রাঙামাটি সদরের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (এলএসডি)। এ জন্য ১১ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি সদর এলএসডি গুদামের খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেনকে তাৎক্ষণিক কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বদলি করা হয়।
সূত্র বলেছে, ২৪ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ৯০০ বস্তা (৪৫ টন) সরকারি চাল নিয়ে তিনটি ট্রাক রওনা হয়েছিল খাগড়াছড়ি সদর এলএসডির উদ্দেশে। চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন মোড় হয়ে খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা ছিল ট্রাকগুলোর। নগরীর হালিশহরের কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) থেকে চাল লোড করে রওনা দেয় সেগুলো। তিনটির মধ্যে দুটি ট্রাক খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি এলএসডি গুদাম ও অপর ট্রাকটি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা খাদ্যগুদামে যাওয়ার কথা। তবলছড়ির ট্রাক দুটির পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিবলী এন্টারপ্রাইজ ও এবি এন্টারপ্রাইজ। দীঘিনালার উদ্দেশে রওনা দেওয়া ট্রাকটির পরিবহন ঠিকাদার শ্যামল চাকমা। কিন্তু গাড়িগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে যায়নি। ২৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড বাজার ঘুরে ফৌজদারহাট লিঙ্করোডের নিচে ট্রাকস্ট্যান্ডে সারা রাত অবস্থান করে ট্রাকগুলো। পরদিন ২৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকার মডার্ন ন্যাশনাল কটন মিলসের ভেতরে প্রবেশ করে চাল আনলোড করার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কুলি-শ্রমিক, ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ চালভর্তি ট্রাক তিনটি জব্দ করে।
ঘটনা জানাজানি হলে মেসার্স উত্তরবঙ্গ ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক দাবি করা ওমর ফারুক পুলিশের সামনে হাজির হন। এ সময় তিনি চালগুলো নিজের বলে জানান। কিছু কাগজপত্রও দেখান পুলিশকে।
এ বিষয়ে কথা হলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফায়েল আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাহাড়তলি বাজারের মেসার্স উত্তরবঙ্গ ট্রেডার্সের মালিক ওমর ফারুক নামের একজন চালগুলোর মালিকানা দাবি করেন। পরে কাগজপত্র যাচাই করে ২৮ আগস্ট চালগুলো তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির এক শীর্ষ কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, কোনোভাবেই চোরাকারবারিদের থামানো যাচ্ছে না। খাদ্য বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কিছু পরিবহন ঠিকাদার মিলে এসব অপকর্ম করছেন।
এর আগে ২৮ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকার রাজাখালী আইডিয়াল স্কুলের পাশের একটি চালের আড়ত থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০৩ বস্তা (১৫ টন) চালবোঝাই একটি ট্রাক আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম চাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন বলেন, ‘সরকারি খাদ্যশস্য কেন্দ্রীয় গুদাম থেকে স্থানীয় গুদামে যাওয়ার সময় কোনো ব্যবসায়ী, সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য কোনো সংস্থাকে পথে ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুদাম থেকেই খাদ্যশস্য খালাস দেবেন। কোনো ব্যক্তি এসব সরকারি খাদ্যশস্যের মালিকানা দাবি করতে পারবেন না।’
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এইচ এম কায়সার আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে আশপাশের জেলাগুলোয় খাদ্যশস্য পাঠানোর সময় প্রায়ই সরকারি চাল কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি। এ জন্য খাদ্যশস্যের চালান গন্তব্যে পৌঁছার পর ট্রাকের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছি।’
চট্টগ্রামে সরকারি চাল-গম কালোবাজারে বিক্রি কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ধরনের তৎপরতা ঠেকাতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এইচ এম কায়সার আলী সম্প্রতি এক পত্র জারি করেছেন। খাদ্যশস্যের চালান গন্তব্যে পৌঁছার পর ট্রাকের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর কথা বলা হয়েছে ওই পত্রে। এরপরও চোরাপথে চাল গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর ছয়টি ট্রাকে ৯০ টন চাল চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি সদর এলএসডি গুদামে পাঠানো হয়। এর মধ্যে গন্তব্যস্থল থেকে চার ট্রাক চালের ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পাঠালেও দুটি ট্রাকের ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পাঠাতে পারেননি রাঙামাটি সদরের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (এলএসডি)। এ জন্য ১১ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি সদর এলএসডি গুদামের খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেনকে তাৎক্ষণিক কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বদলি করা হয়।
সূত্র বলেছে, ২৪ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ৯০০ বস্তা (৪৫ টন) সরকারি চাল নিয়ে তিনটি ট্রাক রওনা হয়েছিল খাগড়াছড়ি সদর এলএসডির উদ্দেশে। চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন মোড় হয়ে খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা ছিল ট্রাকগুলোর। নগরীর হালিশহরের কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) থেকে চাল লোড করে রওনা দেয় সেগুলো। তিনটির মধ্যে দুটি ট্রাক খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি এলএসডি গুদাম ও অপর ট্রাকটি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা খাদ্যগুদামে যাওয়ার কথা। তবলছড়ির ট্রাক দুটির পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিবলী এন্টারপ্রাইজ ও এবি এন্টারপ্রাইজ। দীঘিনালার উদ্দেশে রওনা দেওয়া ট্রাকটির পরিবহন ঠিকাদার শ্যামল চাকমা। কিন্তু গাড়িগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে যায়নি। ২৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড বাজার ঘুরে ফৌজদারহাট লিঙ্করোডের নিচে ট্রাকস্ট্যান্ডে সারা রাত অবস্থান করে ট্রাকগুলো। পরদিন ২৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকার মডার্ন ন্যাশনাল কটন মিলসের ভেতরে প্রবেশ করে চাল আনলোড করার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কুলি-শ্রমিক, ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ চালভর্তি ট্রাক তিনটি জব্দ করে।
ঘটনা জানাজানি হলে মেসার্স উত্তরবঙ্গ ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক দাবি করা ওমর ফারুক পুলিশের সামনে হাজির হন। এ সময় তিনি চালগুলো নিজের বলে জানান। কিছু কাগজপত্রও দেখান পুলিশকে।
এ বিষয়ে কথা হলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফায়েল আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাহাড়তলি বাজারের মেসার্স উত্তরবঙ্গ ট্রেডার্সের মালিক ওমর ফারুক নামের একজন চালগুলোর মালিকানা দাবি করেন। পরে কাগজপত্র যাচাই করে ২৮ আগস্ট চালগুলো তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির এক শীর্ষ কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, কোনোভাবেই চোরাকারবারিদের থামানো যাচ্ছে না। খাদ্য বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কিছু পরিবহন ঠিকাদার মিলে এসব অপকর্ম করছেন।
এর আগে ২৮ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকার রাজাখালী আইডিয়াল স্কুলের পাশের একটি চালের আড়ত থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০৩ বস্তা (১৫ টন) চালবোঝাই একটি ট্রাক আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম চাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন বলেন, ‘সরকারি খাদ্যশস্য কেন্দ্রীয় গুদাম থেকে স্থানীয় গুদামে যাওয়ার সময় কোনো ব্যবসায়ী, সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য কোনো সংস্থাকে পথে ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুদাম থেকেই খাদ্যশস্য খালাস দেবেন। কোনো ব্যক্তি এসব সরকারি খাদ্যশস্যের মালিকানা দাবি করতে পারবেন না।’
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এইচ এম কায়সার আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে আশপাশের জেলাগুলোয় খাদ্যশস্য পাঠানোর সময় প্রায়ই সরকারি চাল কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি। এ জন্য খাদ্যশস্যের চালান গন্তব্যে পৌঁছার পর ট্রাকের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছি।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৪ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে