Ajker Patrika

মুম্বাই পটোলে মুখে হাসি

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৫৪
মুম্বাই পটোলে মুখে হাসি

মুম্বাই জাতের পটোল চাষে লাভবান হয়েছেন জামশেদ আলী নামের এক কৃষক। ১৬ শতক জমি প্রস্তুত করা থেকে সব মিলে পটোল চাষে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা।

আর বর্তমান বাজার দর হিসাবে লাভে তাঁর আশা অন্তত দুই লাখ টাকা। জামশেদ আলীর বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামে।

জামশেদ আলী সাত মাস আগে বল্লা মাঠে সাড়ে ১৬ শতক জমিতে ভারতীয় মুম্বাই জাতের পটোলের লতা (কাটিং) রোপণ করেন।

জমি প্রস্তুত, মাচা তৈরি, সেচ ও কীটনাশক ছিটানো বাবদ তাঁর মোট খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। গত ২৫ দিন ধরে খেত থেকে পটোল তুলছেন তিনি।

এসব গাছে পটোল ধরবে অন্তত আরও ছয় মাস। সূর্য ওঠার আগেই কৃত্রিম পরাগায়ন করতে হয়। মাত্র সাড়ে ১৬ শতক জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে উঠছে ৬-৭ মণ পটোল।

জামশেদ আলী বলেন, ‘খেত থেকে গত ২৫ দিনে ৩৫ হাজার টাকার পটোল বিক্রি করেছি। প্রতি সপ্তাহে ৬-৭ মণ পটোল বিক্রি করা যাচ্ছে।’

পটোর চাষি জামশেদ বলেন, ‘শনিবা) ৬ মণ পটোল উঠেছে। প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি করেছি ৪০ টাকা করে। বর্তমান যে দাম এবং গাছে যে পরিমাণ ফুল-ফল রয়েছে তাতে অন্তত দুই লাখ টাকার পটোল বিক্রি করা যাবে খেত থেকে।’

জামশেদ বলেন, ‘ভারতীয় মুম্বাই জাতের পটোল আঁকারে বড় হয়। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি। ৬-৭ দিন পর পটোল তুলি। খেত থেকে ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে যান।’

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর এক হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫০ হেক্টর জমিতে পটোল চাষ করা হয়েছে।’

মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং সঠিক পরিচর্যা করলে একবার রোপণ করা গাছ থেকে টানা ৭-৮ মাস পটোল পাওয়া যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত