রানা আব্বাস, মুম্বাই থেকে
বলিউডের সিনেমায়ও কি এত ‘আনরিয়েল’ দৃশ্য থাকে? বলিউডের শহর মুম্বাইয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। ওয়াংখেড়েতে কাল চোখের সামনে এত সব অবিশ্বাস্য দৃশ্যের অবতারণা, ইনিংস বিরতিতে প্রেসবক্সে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক বলে উঠলেন, ‘সত্যি আমার মাথা ঝিমঝিম করছে!’
তাঁর ‘উঠানে’ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আর সেটা খেলছে ভারত—শচীন টেন্ডুলকার কি আর ঘরে বসে টিভিতে এই ম্যাচ দেখবেন? টেন্ডুলকার ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠে। কাল মুম্বাইয়ে হলো নক্ষত্রের সম্মেলন। ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সেলফি তুলে মাইকেল ভন জানালেন, তাঁরা আছেন ধারাভাষ্যকক্ষে। ক্রিকেট-গ্যালাক্সির বাইরে আরেকজন বিশেষ দৃষ্টি কাড়লেন—ডেভিড বেকহাম। এত এত তারকারাজি আর পূর্ণ গ্যালারির সমর্থন নিয়ে ২২ গজে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নাকের পানি চোখের পানি এক করে ছাড়লেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে সব ছাপিয়ে যিনি আলোচনার কেন্দ্রে—বিরাট কোহলি। আগুনে ফর্মে থাকা ‘কিং কোহলি’ কলকাতায় নিজের জন্মদিনে ওয়ানডে সেঞ্চুরি সংখ্যায় টেন্ডুলকারকে ছুঁয়েছিলেন। কাল রেকর্ডটা একান্তই নিজের করে নেওয়া।
লকি ফার্গুসনের বলে কবজির মোচড়ে দুই রান নিয়েই ড্রেসিংরুমের দিকে শূন্যে লাফ। এরপর দুই হাত নিচু করে কুর্নিশ—ড্রেসিংরুমের পাশের গ্যালারিতে যে ছিলেন টেন্ডুলকার। তাঁকে উদ্দেশে করেই হয়তো তর্জনি দিয়ে কিছু বোঝালেন। টেন্ডুলকারকে হয়তো কোহলি বলতে চাইলেন, ‘রেকর্ড যতই আমার হোক, আপনিই নাম্বার ওয়ান। আপনিই গড।’ গ্যালারি থেকে উড়ন্ত চুমু ভেসে আসছিল কোহলির দিকে। সেখানে ছিলেন আনুশকা শর্মা। স্ত্রীর ভালোবাসার জবাবে কোহলিও ছুড়ে দিলেন উড়ন্ত চুমু। কী অভূতপূর্ব সব দৃশ্যের পরম্পরা ওয়াংখেড়ের এই স্নিগ্ধ বিকেলে।
৪৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে টেন্ডুলকারের লেগেছিল ৪৫১ ইনিংস। কোহলির সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ করতে লাগল ‘মোটে’ ২৭৯ ইনিংস। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে কোহলি বড় ইনিংস খেলতে পারেন না বলে যে আলোচনা, সেটির জবাবও দেওয়া হয়ে গেল কাল। টেন্ডুলকারকে (৬৭৩) ছাড়িয়ে বিশ্বকাপের এক আসরের সর্বোচ্চ রানও (৭১১) এখন এখন কোহলির।
সচক্ষে কোহলির রেকর্ড গড়া নিয়ে টেন্ডুলকার এক হৃদয়স্পর্শী লেখা পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে, ‘যখন আমি প্রথম ড্রেসিংরুমে দেখি (২০০৮), সতীর্থরা তোমাকে নিয়ে মজা করছিল আমার পা স্পর্শ করা নিয়ে। আমি সেদিন হাসি থামাতে পারছিলাম না। তবে শিগগিরই তুমি আমার হৃদয় ছুঁয়েছিলে প্যাশন আর স্কিল দিয়ে। আমি খুব খুশি সেদিনের সেই তরুণ খেলোয়াড়টি পরে “বিরাট” খেলোয়াড় হয়েছে। একজন ভারতীয় আমার রেকর্ড ভেঙেছে, এর চেয়ে খুশির আর কিছু হতে পারে না। সেটাও আবার এত বড় মঞ্চে, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এবং এটা আমারই ঘরের মাঠে।’
আর ইনিংস বিরতিতে সম্প্রচারকারী টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি তাঁর রেকর্ড নিয়ে বললেন, ‘একজন কিংবদন্তি মাত্র আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটা সত্যি স্বপ্নের মতো।...শচীন পাজি (ভাই) গ্যালারিতে ছিলেন। সত্যি এটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমার জীবনসঙ্গিনী, আমার নায়ক একই গ্যালারিতে বসে দেখেছে। এই ওয়াংখেড়েপূর্ণ দর্শকেরাও।’
রেকর্ডগড়া ১১৭ রানের ইনিংসটা খেলে যখন ফিরছেন, পুরো ওয়াংখেড়ের নীল সমুদ্রে তখন একটি নামের ঢেউ উঠেছে—‘কোহলি, কোহলি...।’
বলিউডের সিনেমায়ও কি এত ‘আনরিয়েল’ দৃশ্য থাকে? বলিউডের শহর মুম্বাইয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। ওয়াংখেড়েতে কাল চোখের সামনে এত সব অবিশ্বাস্য দৃশ্যের অবতারণা, ইনিংস বিরতিতে প্রেসবক্সে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক বলে উঠলেন, ‘সত্যি আমার মাথা ঝিমঝিম করছে!’
তাঁর ‘উঠানে’ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আর সেটা খেলছে ভারত—শচীন টেন্ডুলকার কি আর ঘরে বসে টিভিতে এই ম্যাচ দেখবেন? টেন্ডুলকার ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠে। কাল মুম্বাইয়ে হলো নক্ষত্রের সম্মেলন। ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সেলফি তুলে মাইকেল ভন জানালেন, তাঁরা আছেন ধারাভাষ্যকক্ষে। ক্রিকেট-গ্যালাক্সির বাইরে আরেকজন বিশেষ দৃষ্টি কাড়লেন—ডেভিড বেকহাম। এত এত তারকারাজি আর পূর্ণ গ্যালারির সমর্থন নিয়ে ২২ গজে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নাকের পানি চোখের পানি এক করে ছাড়লেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে সব ছাপিয়ে যিনি আলোচনার কেন্দ্রে—বিরাট কোহলি। আগুনে ফর্মে থাকা ‘কিং কোহলি’ কলকাতায় নিজের জন্মদিনে ওয়ানডে সেঞ্চুরি সংখ্যায় টেন্ডুলকারকে ছুঁয়েছিলেন। কাল রেকর্ডটা একান্তই নিজের করে নেওয়া।
লকি ফার্গুসনের বলে কবজির মোচড়ে দুই রান নিয়েই ড্রেসিংরুমের দিকে শূন্যে লাফ। এরপর দুই হাত নিচু করে কুর্নিশ—ড্রেসিংরুমের পাশের গ্যালারিতে যে ছিলেন টেন্ডুলকার। তাঁকে উদ্দেশে করেই হয়তো তর্জনি দিয়ে কিছু বোঝালেন। টেন্ডুলকারকে হয়তো কোহলি বলতে চাইলেন, ‘রেকর্ড যতই আমার হোক, আপনিই নাম্বার ওয়ান। আপনিই গড।’ গ্যালারি থেকে উড়ন্ত চুমু ভেসে আসছিল কোহলির দিকে। সেখানে ছিলেন আনুশকা শর্মা। স্ত্রীর ভালোবাসার জবাবে কোহলিও ছুড়ে দিলেন উড়ন্ত চুমু। কী অভূতপূর্ব সব দৃশ্যের পরম্পরা ওয়াংখেড়ের এই স্নিগ্ধ বিকেলে।
৪৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে টেন্ডুলকারের লেগেছিল ৪৫১ ইনিংস। কোহলির সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ করতে লাগল ‘মোটে’ ২৭৯ ইনিংস। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে কোহলি বড় ইনিংস খেলতে পারেন না বলে যে আলোচনা, সেটির জবাবও দেওয়া হয়ে গেল কাল। টেন্ডুলকারকে (৬৭৩) ছাড়িয়ে বিশ্বকাপের এক আসরের সর্বোচ্চ রানও (৭১১) এখন এখন কোহলির।
সচক্ষে কোহলির রেকর্ড গড়া নিয়ে টেন্ডুলকার এক হৃদয়স্পর্শী লেখা পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে, ‘যখন আমি প্রথম ড্রেসিংরুমে দেখি (২০০৮), সতীর্থরা তোমাকে নিয়ে মজা করছিল আমার পা স্পর্শ করা নিয়ে। আমি সেদিন হাসি থামাতে পারছিলাম না। তবে শিগগিরই তুমি আমার হৃদয় ছুঁয়েছিলে প্যাশন আর স্কিল দিয়ে। আমি খুব খুশি সেদিনের সেই তরুণ খেলোয়াড়টি পরে “বিরাট” খেলোয়াড় হয়েছে। একজন ভারতীয় আমার রেকর্ড ভেঙেছে, এর চেয়ে খুশির আর কিছু হতে পারে না। সেটাও আবার এত বড় মঞ্চে, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এবং এটা আমারই ঘরের মাঠে।’
আর ইনিংস বিরতিতে সম্প্রচারকারী টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি তাঁর রেকর্ড নিয়ে বললেন, ‘একজন কিংবদন্তি মাত্র আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটা সত্যি স্বপ্নের মতো।...শচীন পাজি (ভাই) গ্যালারিতে ছিলেন। সত্যি এটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমার জীবনসঙ্গিনী, আমার নায়ক একই গ্যালারিতে বসে দেখেছে। এই ওয়াংখেড়েপূর্ণ দর্শকেরাও।’
রেকর্ডগড়া ১১৭ রানের ইনিংসটা খেলে যখন ফিরছেন, পুরো ওয়াংখেড়ের নীল সমুদ্রে তখন একটি নামের ঢেউ উঠেছে—‘কোহলি, কোহলি...।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪