রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
অনেক ঘষামাজা করে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। তাতে সরকারি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা, সরকারি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা আছে। তবে যে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এই উদ্যোগ, সেই রোগীদের সুরক্ষাই খসড়া আইনে উপেক্ষিত। এমন পরিস্থিতিতে আইনটি অনুমোদন ও পাস হওয়ার অপেক্ষায়।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, শিগগির আইনটি পাস করা হবে।
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আইন প্রণয়ন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালে আইন প্রণয়ন শুরু হয়েছিল। এরপর খসড়া নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে বিভিন্ন পক্ষের মতবিরোধের কারণে আইন প্রণয়নে স্থবিরতা দেখা দেয়। ২০২২ সালে খসড়া প্রণয়নের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হলে সেখান থেকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়। এত কিছুর পরেও রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আইনে রোগী এবং চিকিৎসক—উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানমালিকদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ মতামতে আমরা সকল অংশীজনের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করি।’
জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম বলেন, আইনে কার স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে, সেটিই বিচার্য। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকার কোথায় পাবেন? করপোরেটদের প্ররোচনায় চিকিৎসকেরা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং ওষুধ লেখার যে সংস্কৃতি চালু করেছেন, সেদিকেও আইনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
দেশের সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছিল ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেজল্যুশন) অর্ডিন্যান্স’-এর মাধ্যমে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সামরিক ফরমানবলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো অনুমোদন ও সমর্থন-সংক্রান্ত চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করা হয়। ফলে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সেবাগ্রহীতার সুরক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
খসড়ায় নিবন্ধনের যত শর্ত
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালের নিবন্ধন পেতে অবশ্যই রোগীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রোগীপ্রতি ন্যূনতম ১০০ বর্গফুট জায়গা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রোপচার কক্ষ থাকতে হবে। এ ছাড়া অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি, পর্যাপ্ত জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, আধুনিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্টসংখ্যক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি এবং পর্যাপ্তসংখ্যক বিশেষজ্ঞ শল্যচিকিৎসকসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকতে হবে। এমনকি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার সময় সময় গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন ফি নির্ধারণ করতে পারবে।
সরকারি চিকিৎসকদের সীমাবদ্ধতা
খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারি বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় চাকরিরত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি নির্ধারিত অফিস সময়ে, ক্লিনিক্যাল বা প্যারা ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ বা সেবা প্রদানের সময়ে বা পালাক্রমিক দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের সময়ে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা সহায়তা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না। ছুটির দিনে নিজ কর্মস্থল-সংশ্লিষ্ট জেলার বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে বা ব্যক্তিগত চেম্বারে ফি নিয়ে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
ফি নির্ধারণ করবে সরকার
খসড়ামতে, সরকার সময়ে সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সেবা, চিকিৎসকের ফি এবং রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার চার্জ আলাদাভাবে নির্ধারণ করবে। চিকিৎসকের ফি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আদায়যোগ্য চার্জ বা মূল্যতালিকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা চেম্বারের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। চিকিৎসাসেবা বাবদ আদায় করা চার্জ বা মূল্যের রসিদ সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা বা তার অভিভাবক বা প্রতিনিধিকে দিয়ে রসিদের অনুলিপি সংরক্ষণ করতে হবে।
অজান্তে অপরাধের সুযোগে মাফ
খসড়ায় উল্লেখ আছে, কোনো কোম্পানির মালিকানাধীন বা অংশীদারির ভিত্তিতে পরিচালিত হাসপাতালে এই আইনের বিধান লঙ্ঘিত হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বা প্রত্যেক পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিধানটি লঙ্ঘন করেছেন বলে গণ্য হবে, যদি না তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে অপরাধটি তার অজান্তে সংঘটিত হয়েছে এবং তা রোধ করতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
অপরাধ আপসযোগ্য
খসড়া মতে, এই আইনের বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধগুলোর তদন্ত ও বিচার প্রচলিত আইনের আওতায় পরিচালিত হবে; তবে শর্ত থাকে যে, চিকিৎসা প্রদানসংক্রান্ত অভিযোগ আদালতে আনতে হলে আদালত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ন্যূনতম তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে অভিযোগ আমলে নেবে। নির্ধারিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হাসপাতাল বা চিকিৎসাসেবা সহায়তা প্রতিষ্ঠানের অবহেলা প্রদর্শন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সেই অপরাধ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপসযোগ্য হবে।
অনেক ঘষামাজা করে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। তাতে সরকারি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা, সরকারি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা আছে। তবে যে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এই উদ্যোগ, সেই রোগীদের সুরক্ষাই খসড়া আইনে উপেক্ষিত। এমন পরিস্থিতিতে আইনটি অনুমোদন ও পাস হওয়ার অপেক্ষায়।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, শিগগির আইনটি পাস করা হবে।
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আইন প্রণয়ন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালে আইন প্রণয়ন শুরু হয়েছিল। এরপর খসড়া নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে বিভিন্ন পক্ষের মতবিরোধের কারণে আইন প্রণয়নে স্থবিরতা দেখা দেয়। ২০২২ সালে খসড়া প্রণয়নের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হলে সেখান থেকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়। এত কিছুর পরেও রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আইনে রোগী এবং চিকিৎসক—উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানমালিকদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ মতামতে আমরা সকল অংশীজনের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করি।’
জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম বলেন, আইনে কার স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে, সেটিই বিচার্য। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকার কোথায় পাবেন? করপোরেটদের প্ররোচনায় চিকিৎসকেরা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং ওষুধ লেখার যে সংস্কৃতি চালু করেছেন, সেদিকেও আইনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
দেশের সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছিল ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেজল্যুশন) অর্ডিন্যান্স’-এর মাধ্যমে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সামরিক ফরমানবলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো অনুমোদন ও সমর্থন-সংক্রান্ত চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করা হয়। ফলে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সেবাগ্রহীতার সুরক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
খসড়ায় নিবন্ধনের যত শর্ত
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালের নিবন্ধন পেতে অবশ্যই রোগীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রোগীপ্রতি ন্যূনতম ১০০ বর্গফুট জায়গা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রোপচার কক্ষ থাকতে হবে। এ ছাড়া অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি, পর্যাপ্ত জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, আধুনিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্টসংখ্যক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি এবং পর্যাপ্তসংখ্যক বিশেষজ্ঞ শল্যচিকিৎসকসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকতে হবে। এমনকি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার সময় সময় গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন ফি নির্ধারণ করতে পারবে।
সরকারি চিকিৎসকদের সীমাবদ্ধতা
খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারি বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় চাকরিরত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি নির্ধারিত অফিস সময়ে, ক্লিনিক্যাল বা প্যারা ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ বা সেবা প্রদানের সময়ে বা পালাক্রমিক দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের সময়ে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা সহায়তা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না। ছুটির দিনে নিজ কর্মস্থল-সংশ্লিষ্ট জেলার বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে বা ব্যক্তিগত চেম্বারে ফি নিয়ে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
ফি নির্ধারণ করবে সরকার
খসড়ামতে, সরকার সময়ে সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সেবা, চিকিৎসকের ফি এবং রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার চার্জ আলাদাভাবে নির্ধারণ করবে। চিকিৎসকের ফি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আদায়যোগ্য চার্জ বা মূল্যতালিকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা চেম্বারের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। চিকিৎসাসেবা বাবদ আদায় করা চার্জ বা মূল্যের রসিদ সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা বা তার অভিভাবক বা প্রতিনিধিকে দিয়ে রসিদের অনুলিপি সংরক্ষণ করতে হবে।
অজান্তে অপরাধের সুযোগে মাফ
খসড়ায় উল্লেখ আছে, কোনো কোম্পানির মালিকানাধীন বা অংশীদারির ভিত্তিতে পরিচালিত হাসপাতালে এই আইনের বিধান লঙ্ঘিত হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বা প্রত্যেক পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিধানটি লঙ্ঘন করেছেন বলে গণ্য হবে, যদি না তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে অপরাধটি তার অজান্তে সংঘটিত হয়েছে এবং তা রোধ করতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
অপরাধ আপসযোগ্য
খসড়া মতে, এই আইনের বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধগুলোর তদন্ত ও বিচার প্রচলিত আইনের আওতায় পরিচালিত হবে; তবে শর্ত থাকে যে, চিকিৎসা প্রদানসংক্রান্ত অভিযোগ আদালতে আনতে হলে আদালত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ন্যূনতম তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে অভিযোগ আমলে নেবে। নির্ধারিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হাসপাতাল বা চিকিৎসাসেবা সহায়তা প্রতিষ্ঠানের অবহেলা প্রদর্শন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সেই অপরাধ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপসযোগ্য হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে