শিহাব আহমেদ
মেহজাবীন চৌধুরীকে এখন টিভি নাটকে খুব কমই পাওয়া যায়। দুই বছর পর এবার তাঁকে দেখা গেল ঈদের নাটকে। ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নাটকে মেহজাবীনের অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে নাটকটির বিষয়বস্তু নিয়েও। নতুন নাটক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মেহজাবীনের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
‘তিথিডোর’ নাটকে আপনারা যে বার্তা দিতে চেয়েছেন, সেটা কি সবার কাছে পৌঁছেছে বলে মনে হয়?
নাটকটির সঙ্গে অনেকেই নিজেদের রিলেট করতে পারছেন। সবচেয়ে ভালো লাগছে, যে নারীদের নিয়ে নাটকটি তৈরি হয়েছে, তাঁরা বিষয়টি অনুভব করতে পারছেন। আমাদের চারপাশে অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন, আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। কিন্তু তাঁরা ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন না, চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রেখেছেন। এই নাটক দেখার পর তাঁদের চিন্তাভাবনায় কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে বলে আমার মনে হয়।
এ নাটকে বলা হয়েছে, ৩০-এর কাছাকাছি প্রত্যেক নারীর একটা হতাশার গল্প আছে। আপনার জীবনেও কি এমন কোনো অধ্যায় ছিল?
নিশাতের (নাটকের চরিত্র) মতো আমার কোনো গল্প নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি যতখানি ডিজার্ভ করি, তার চেয়ে অনেক পেয়েছি। এ কারণেই হয়তো হতাশার গল্প আমার নেই। কিন্তু অনেকেই তো ভালো নেই। আমার কাছে মনে হয়, নিজের জীবনকে প্রাধান্য দেওয়াটা অনেক জরুরি। কীভাবে বাঁচলে নিজের ভালো লাগবে, সেটা জানতে হবে। শুধু নিশ্বাস নেওয়াটা তো বাঁচা নয়। বাঁচতে হবে মন খুলে। কিন্তু এখন দেখা যায় খুব অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েরা ডিপ্রেশনে ভুগছে। একধরনের প্রেশার তো স্কুল থেকেই শুরু হয়ে যায়। পুরো জীবনটা পার হয়ে যাচ্ছে চাপ নিতে নিতে। অনেকে ২৪-২৫ বছরেই সাফল্য পেয়ে যায়, অনেকে পায় না। তার মানে এমন নয় সে ব্যর্থ কিংবা সফল হওয়ার সব সম্ভাবনা শেষ। এগুলো সমাজের অঘোষিত নিয়ম। এসবের গ্যাঁড়াকলে পড়ে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
নাটকের প্রসঙ্গের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে প্রশ্ন, প্রতি সেকেন্ডে মানুষের বয়স বাড়ছে। বয়সের সঙ্গে নানা শারীরিক পরিবর্তন আসে। অনেকে এটা মানতে পারেন না বা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন?
আমাদের হিউম্যান সাইকোলজির কারণে বয়সের চিন্তাটা এসেই যায়। যে যেটাই পাক না কেন, মনে হয় অনেক দেরিতে পেয়েছি। আগে পেলে হয়তো আরও ভালো হতো। আমিও হয়তো মাঝে মাঝে এমনটা ভাবি। কিন্তু এই সাইকোলজি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি আমি নিজেকেও বোঝানোর চেষ্টা করি। যখন সময় হবে তখনই সেটা পাব। কারও সঙ্গে মেলাতে গেলেই সমস্যাটা হয়। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক পার্থক্য আসবে, এটা তো বায়োলজিক্যাল বিষয়। প্রত্যেকটি বয়সের আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। একটা সময় আপনার চুল সাদা হবেই। সেটা নিয়ে ভয় পেলেই সমস্যা। বয়স বেড়ে যাচ্ছে—এই ভাবনায় যদি বর্তমানকে উপভোগ না করি, তাহলে সেটা বোকামি হবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে বর্তমানের সুন্দর সময়টা আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, প্রকৃতির নিয়মের বাইরে তো যাওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়গুলো আমরা যত সহজভাবে মেনে নেব, ততই মঙ্গল।
একটা সময় নাটকে নিয়মিত দেখা গেলেও এখন এই মাধ্যমে আপনার উপস্থিতি খুব কম। নাটকে অভিনয় মিস করেন?
নাটক হয়তো করছি না। কিন্তু অন্যান্য মাধ্যমে অভিনয় নিয়েই তো ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা নানা কারণে অ্যাপসে গিয়ে সিনেমা বা সিরিজ দেখতে পারেন না। তাঁদেরও একধরনের অনুরোধ থাকে, আমাদের কাজগুলো যেন সহজভাবে দেখতে পান। তবে এই মুহূর্তে সব ধরনের কাজ আমার করতে ইচ্ছা করে না। আমি তখনই কোনো কাজ করি, যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়।
মেহজাবীন চৌধুরীকে এখন টিভি নাটকে খুব কমই পাওয়া যায়। দুই বছর পর এবার তাঁকে দেখা গেল ঈদের নাটকে। ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নাটকে মেহজাবীনের অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে নাটকটির বিষয়বস্তু নিয়েও। নতুন নাটক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মেহজাবীনের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
‘তিথিডোর’ নাটকে আপনারা যে বার্তা দিতে চেয়েছেন, সেটা কি সবার কাছে পৌঁছেছে বলে মনে হয়?
নাটকটির সঙ্গে অনেকেই নিজেদের রিলেট করতে পারছেন। সবচেয়ে ভালো লাগছে, যে নারীদের নিয়ে নাটকটি তৈরি হয়েছে, তাঁরা বিষয়টি অনুভব করতে পারছেন। আমাদের চারপাশে অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন, আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। কিন্তু তাঁরা ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন না, চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রেখেছেন। এই নাটক দেখার পর তাঁদের চিন্তাভাবনায় কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে বলে আমার মনে হয়।
এ নাটকে বলা হয়েছে, ৩০-এর কাছাকাছি প্রত্যেক নারীর একটা হতাশার গল্প আছে। আপনার জীবনেও কি এমন কোনো অধ্যায় ছিল?
নিশাতের (নাটকের চরিত্র) মতো আমার কোনো গল্প নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি যতখানি ডিজার্ভ করি, তার চেয়ে অনেক পেয়েছি। এ কারণেই হয়তো হতাশার গল্প আমার নেই। কিন্তু অনেকেই তো ভালো নেই। আমার কাছে মনে হয়, নিজের জীবনকে প্রাধান্য দেওয়াটা অনেক জরুরি। কীভাবে বাঁচলে নিজের ভালো লাগবে, সেটা জানতে হবে। শুধু নিশ্বাস নেওয়াটা তো বাঁচা নয়। বাঁচতে হবে মন খুলে। কিন্তু এখন দেখা যায় খুব অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েরা ডিপ্রেশনে ভুগছে। একধরনের প্রেশার তো স্কুল থেকেই শুরু হয়ে যায়। পুরো জীবনটা পার হয়ে যাচ্ছে চাপ নিতে নিতে। অনেকে ২৪-২৫ বছরেই সাফল্য পেয়ে যায়, অনেকে পায় না। তার মানে এমন নয় সে ব্যর্থ কিংবা সফল হওয়ার সব সম্ভাবনা শেষ। এগুলো সমাজের অঘোষিত নিয়ম। এসবের গ্যাঁড়াকলে পড়ে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
নাটকের প্রসঙ্গের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে প্রশ্ন, প্রতি সেকেন্ডে মানুষের বয়স বাড়ছে। বয়সের সঙ্গে নানা শারীরিক পরিবর্তন আসে। অনেকে এটা মানতে পারেন না বা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন?
আমাদের হিউম্যান সাইকোলজির কারণে বয়সের চিন্তাটা এসেই যায়। যে যেটাই পাক না কেন, মনে হয় অনেক দেরিতে পেয়েছি। আগে পেলে হয়তো আরও ভালো হতো। আমিও হয়তো মাঝে মাঝে এমনটা ভাবি। কিন্তু এই সাইকোলজি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি আমি নিজেকেও বোঝানোর চেষ্টা করি। যখন সময় হবে তখনই সেটা পাব। কারও সঙ্গে মেলাতে গেলেই সমস্যাটা হয়। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক পার্থক্য আসবে, এটা তো বায়োলজিক্যাল বিষয়। প্রত্যেকটি বয়সের আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। একটা সময় আপনার চুল সাদা হবেই। সেটা নিয়ে ভয় পেলেই সমস্যা। বয়স বেড়ে যাচ্ছে—এই ভাবনায় যদি বর্তমানকে উপভোগ না করি, তাহলে সেটা বোকামি হবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে বর্তমানের সুন্দর সময়টা আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, প্রকৃতির নিয়মের বাইরে তো যাওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়গুলো আমরা যত সহজভাবে মেনে নেব, ততই মঙ্গল।
একটা সময় নাটকে নিয়মিত দেখা গেলেও এখন এই মাধ্যমে আপনার উপস্থিতি খুব কম। নাটকে অভিনয় মিস করেন?
নাটক হয়তো করছি না। কিন্তু অন্যান্য মাধ্যমে অভিনয় নিয়েই তো ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা নানা কারণে অ্যাপসে গিয়ে সিনেমা বা সিরিজ দেখতে পারেন না। তাঁদেরও একধরনের অনুরোধ থাকে, আমাদের কাজগুলো যেন সহজভাবে দেখতে পান। তবে এই মুহূর্তে সব ধরনের কাজ আমার করতে ইচ্ছা করে না। আমি তখনই কোনো কাজ করি, যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে