রানা আব্বাস, ঢাকা
মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে গতকাল সকালে ফোনে যখন কথা হলো, তিনি তখন সাতক্ষীরা থেকে যশোরের পথে। উদ্দেশ্য, যশোর পৌর পার্কের পুকুরে মৎস্য শিকার। এ কাজে তাঁর বিশেষ আগ্রহের কথা অজানা নয়। কিন্তু সাধারণত তাঁর মাছ ধরার অভিযান সীমাবদ্ধ থাকে বাড়ির আশপাশেই। এবার বাড়ি থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে মোস্তাফিজ ছুটেছেন মাছ শিকারে।
স্বস্তির প্রত্যাবর্তন
তো মোস্তাফিজের বড়শিতে কেমন মাছ উঠল, প্রসঙ্গটা তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তবে ২২ গজে বেশি বেশি উইকেট শিকার করতে পারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে সময়টা নেহাত মন্দ যাচ্ছে না তাঁর। আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে যে বোলিং করেছেন, সেটি বেশ স্বস্তি ফিরিয়েছে তাঁর মনে।
প্রায় আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মুদ্রার দুই পিঠ অনেকবারই দেখেছেন। তবে গত কিছুদিনে ‘বিশ্রামে’র আড়ালে যেভাবে টানা একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছিল—মোস্তাফিজের মতো খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে ধাক্কা দিতে বাধ্য। তিনিও মনেপ্রাণে চাইছিলেন দুর্দান্তভাবে ফিরতে। সে কাজটি তিনি করেছেন চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে। ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে চার বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচসেরা হওয়াই শুধু নয়; এই ম্যাচে মোস্তাফিজ দেখিয়েছেন, চাইলে তিনি কতটা আক্রমণাত্মক হতে পারেন। ‘রান চেক’ দিয়ে বোলিং করার রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন। শুধু কাটার-স্লোয়ার নয়, বোলিংয়ে দেখিয়েছেন যথেষ্ট বৈচিত্র্য।
নিখুঁত ইয়র্কারে থিতু হয়ে যাওয়া আয়ারল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটার লরকান টাকারের বিপক্ষেই যেমন এলবিডব্লুর আবেদন করেছিলেন মোস্তাফিজ। পরে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ নিশ্চিত করলেন, এলবিডব্লু নয়, বোল্ড করে দিয়েছেন। নিখুঁত ইয়র্কারের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় হাসলেন মোস্তাফিজ, ‘আমি ভেবেছিলাম, ওর পায়ে লেগেছে। প্রথমেই তো পায়েই লেগেছিল...সামনেও (নিখুঁত ইয়র্কার) চেষ্টা করব। আল্লাহ ভরসা।’ তবে ভান্ডারে নতুন কোনো অস্ত্র যোগ করেননি। আগেরগুলো আরও নিখুঁত করে তোলায় তাঁর যত মনোযোগ, ‘নতুন কিছু নয়, আগেরগুলোই...বড় মাঠে যে স্লোয়ার বাউন্সার মারি, সেটি বেশ কার্যকর হচ্ছে। এটা ব্যবহার করে গত ২০১৯ বিশ্বকাপেও উইকেট পেয়েছি। ছোট মাঠে আবার অন্য কৌশল। হাতে যত অপশন থাকবে, ততই ভালো।’
ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা
সর্বশেষ ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়ে মোস্তাফিজ বলছিলেন, ‘আগের দিনই ভাবছিলাম, ৫ উইকেট নেব।’ তার মানে, ৪ উইকেটে তিনি তৃপ্ত নন। তিনি ভালোভাবেই অনুভব করছেন সাফল্যের ক্ষুধাটা কাকে বলে। ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়তির ওপর ছেড়ে দিলেও ক্যারিয়ার নিয়ে মোস্তাফিজের দর্শন হচ্ছে, ‘আমার ভাগ্যে যতটুকু লেখা আছে, ততটুকু হবে। এটা নিয়ে টেনশন করে লাভ নেই। আপনি নিজের কাজ ঠিকঠাক করছেন কি না, সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’ কাজ ঠিকঠাক করার প্রসঙ্গই যখন এল, একটা কথা বেশ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, তাসকিন আহমেদ যেভাবে কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্রতায় নিজেকে বদলে ফেলেছেন; মোস্তাফিজ কি সেটা করছেন? যখন ফর্মে মরচে পড়ছে, নিজেকে ফিরে পেতে কতটা পরিশ্রম আর মনোযোগী তিনি? এ কথায় অবশ্য মোস্তাফিজের আপত্তি আছে। বলছেন, ‘আলাদাভাবে আমি কাজ করি। সবার যেমন নিজের কোচ থাকে, আমারও আছে। সবাইকে দেখিয়ে তো আমার কাজ করার দরকার নেই। আপনি যখন কোথাও আটকা পড়বেন, আপনাকেই সেখান থেকে বের হতে হবে। কোচ হয়তো সর্বোচ্চ পথ দেখিয়ে দিতে পারেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের লিগকে ‘না’
শুধু বোলিংয়ে নয়, মোস্তাফিজের চিন্তাভাবনাতেও একটা পরিবর্তনের ছাপ সুস্পষ্ট। গত বছর আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোস্তাফিজের ক্যারিয়ার ভাবনা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল। পরে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে অনেকটা জোর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলিয়েছিল। অ্যান্টিগা টেস্টের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই বলেছিলেন, মন থেকে না চাইলে কাউকে জোর করে না খেলানোই ভালো। এরপর মোস্তাফিজকে আর টেস্টে রাখা হয়নি। তবে বাঁহাতি পেসার এখনো ‘বেছে বেছে’ খেলার নীতিতে অটল। পার্থক্যটা হচ্ছে, এখন তাঁর ভাবনাজুড়ে শুধুই বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাল, সামনে এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেকে পূর্ণ ফিট রাখতে তিনি স্বাক্ষর করেও ‘না’ করে দিয়েছেন জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের প্রস্তাবকে। না করে দেওয়ার কথা ভাবছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগকেও। এসব প্রস্তাব ফিরে দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মোস্তাফিজ। শুধু বললেন, ‘সময় হলেই জানবেন। তবে হ্যাঁ, আমার কাছে দেশ আগে।’
এখন সে আক্রমণাত্মক হয়েছে
কদিন আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট পাওয়া ম্যাচটায় যে বোলিং করল, এমন বোলিং সে যে এখনো করতে পারে, আমি ভাবতেই পারিনি! সাম্প্রতিক সময়ে তার যে পারফরম্যান্স, তার সঙ্গে এটা একেবারেই মেলে না। ব্যাপারটা কী দাঁড়াল তাহলে?
এ জিনিসটা যদি তার ভেতরে না থাকত, তাহলে হঠাৎ করে এটা হয় না। ভেতরে এত দিন সেটা ছিল। আমার ধারণা, সে এত দিন রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে বোলিং করছে। নিজেকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে পারেনি, যাতে তার খেলা বেরিয়ে আসত। দলের মূল একাদশে না থাকা, আইপিএলে সেভাবে জায়গা খুঁজে না পাওয়া—এসব জিনিস নিশ্চয়ই তাকে কিছুটা হলেও কোণঠাসা করেছে। কোণঠাসা হওয়ার কারণেই আমার মনে হয় সে এখন একটু আক্রমণাত্মক হয়েছে যে ‘কিছু একটা আমাকে করতেই হবে। আই হ্যাভ নো চয়েস।’ মানুষের একটা ব্যাপার থাকে না, সবকিছু যখন হারানোর মুখোমুখি হয়, তখন অন্য রকমের একটা জিনিস ভেতরে কাজ করে। সেই জিনিসটাই বোধ হয় কাজ করছে।
আমার মনে হয়, কৌশলগত জায়গা থেকে যা ছিল তা-ই আছে। আক্রমণাত্মক অ্যাঙ্গেল, লাইনে বল করা, বোলিংয়ের মধ্যে সেই ইনটেন্ট, ‘কিলিং’ ব্যাপারটা দেখলাম ৪ উইকেট পাওয়ার ম্যাচ। কোনোভাবে মার না খেয়ে বোলিং শেষ করে দেব, এমন মানসিকতা নিয়ে বোলিং শেষ করেনি। সে শুধু কাটার আর স্লোয়ার দিয়েই উইকেট পায়নি। বৈচিত্র্য ভরা বোলিং করে উইকেট পেয়েছে। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিট রাখতে বাইরের লিগ থেকে নিজেকে বিরত রাখা—এভাবে যদি সে চিন্তা করে, তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো চিন্তাভাবনা খুব জরুরি। যদি তাসকিনকে দেখি, তার ভেতর মানসিক পরিবর্তন হয়েছে, চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এসেছে বলেই এখন ভালো করছে।
মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে গতকাল সকালে ফোনে যখন কথা হলো, তিনি তখন সাতক্ষীরা থেকে যশোরের পথে। উদ্দেশ্য, যশোর পৌর পার্কের পুকুরে মৎস্য শিকার। এ কাজে তাঁর বিশেষ আগ্রহের কথা অজানা নয়। কিন্তু সাধারণত তাঁর মাছ ধরার অভিযান সীমাবদ্ধ থাকে বাড়ির আশপাশেই। এবার বাড়ি থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে মোস্তাফিজ ছুটেছেন মাছ শিকারে।
স্বস্তির প্রত্যাবর্তন
তো মোস্তাফিজের বড়শিতে কেমন মাছ উঠল, প্রসঙ্গটা তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তবে ২২ গজে বেশি বেশি উইকেট শিকার করতে পারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে সময়টা নেহাত মন্দ যাচ্ছে না তাঁর। আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে যে বোলিং করেছেন, সেটি বেশ স্বস্তি ফিরিয়েছে তাঁর মনে।
প্রায় আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মুদ্রার দুই পিঠ অনেকবারই দেখেছেন। তবে গত কিছুদিনে ‘বিশ্রামে’র আড়ালে যেভাবে টানা একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছিল—মোস্তাফিজের মতো খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে ধাক্কা দিতে বাধ্য। তিনিও মনেপ্রাণে চাইছিলেন দুর্দান্তভাবে ফিরতে। সে কাজটি তিনি করেছেন চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে। ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে চার বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচসেরা হওয়াই শুধু নয়; এই ম্যাচে মোস্তাফিজ দেখিয়েছেন, চাইলে তিনি কতটা আক্রমণাত্মক হতে পারেন। ‘রান চেক’ দিয়ে বোলিং করার রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন। শুধু কাটার-স্লোয়ার নয়, বোলিংয়ে দেখিয়েছেন যথেষ্ট বৈচিত্র্য।
নিখুঁত ইয়র্কারে থিতু হয়ে যাওয়া আয়ারল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটার লরকান টাকারের বিপক্ষেই যেমন এলবিডব্লুর আবেদন করেছিলেন মোস্তাফিজ। পরে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ নিশ্চিত করলেন, এলবিডব্লু নয়, বোল্ড করে দিয়েছেন। নিখুঁত ইয়র্কারের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় হাসলেন মোস্তাফিজ, ‘আমি ভেবেছিলাম, ওর পায়ে লেগেছে। প্রথমেই তো পায়েই লেগেছিল...সামনেও (নিখুঁত ইয়র্কার) চেষ্টা করব। আল্লাহ ভরসা।’ তবে ভান্ডারে নতুন কোনো অস্ত্র যোগ করেননি। আগেরগুলো আরও নিখুঁত করে তোলায় তাঁর যত মনোযোগ, ‘নতুন কিছু নয়, আগেরগুলোই...বড় মাঠে যে স্লোয়ার বাউন্সার মারি, সেটি বেশ কার্যকর হচ্ছে। এটা ব্যবহার করে গত ২০১৯ বিশ্বকাপেও উইকেট পেয়েছি। ছোট মাঠে আবার অন্য কৌশল। হাতে যত অপশন থাকবে, ততই ভালো।’
ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা
সর্বশেষ ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়ে মোস্তাফিজ বলছিলেন, ‘আগের দিনই ভাবছিলাম, ৫ উইকেট নেব।’ তার মানে, ৪ উইকেটে তিনি তৃপ্ত নন। তিনি ভালোভাবেই অনুভব করছেন সাফল্যের ক্ষুধাটা কাকে বলে। ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়তির ওপর ছেড়ে দিলেও ক্যারিয়ার নিয়ে মোস্তাফিজের দর্শন হচ্ছে, ‘আমার ভাগ্যে যতটুকু লেখা আছে, ততটুকু হবে। এটা নিয়ে টেনশন করে লাভ নেই। আপনি নিজের কাজ ঠিকঠাক করছেন কি না, সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’ কাজ ঠিকঠাক করার প্রসঙ্গই যখন এল, একটা কথা বেশ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, তাসকিন আহমেদ যেভাবে কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্রতায় নিজেকে বদলে ফেলেছেন; মোস্তাফিজ কি সেটা করছেন? যখন ফর্মে মরচে পড়ছে, নিজেকে ফিরে পেতে কতটা পরিশ্রম আর মনোযোগী তিনি? এ কথায় অবশ্য মোস্তাফিজের আপত্তি আছে। বলছেন, ‘আলাদাভাবে আমি কাজ করি। সবার যেমন নিজের কোচ থাকে, আমারও আছে। সবাইকে দেখিয়ে তো আমার কাজ করার দরকার নেই। আপনি যখন কোথাও আটকা পড়বেন, আপনাকেই সেখান থেকে বের হতে হবে। কোচ হয়তো সর্বোচ্চ পথ দেখিয়ে দিতে পারেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের লিগকে ‘না’
শুধু বোলিংয়ে নয়, মোস্তাফিজের চিন্তাভাবনাতেও একটা পরিবর্তনের ছাপ সুস্পষ্ট। গত বছর আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোস্তাফিজের ক্যারিয়ার ভাবনা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল। পরে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে অনেকটা জোর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলিয়েছিল। অ্যান্টিগা টেস্টের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই বলেছিলেন, মন থেকে না চাইলে কাউকে জোর করে না খেলানোই ভালো। এরপর মোস্তাফিজকে আর টেস্টে রাখা হয়নি। তবে বাঁহাতি পেসার এখনো ‘বেছে বেছে’ খেলার নীতিতে অটল। পার্থক্যটা হচ্ছে, এখন তাঁর ভাবনাজুড়ে শুধুই বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাল, সামনে এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেকে পূর্ণ ফিট রাখতে তিনি স্বাক্ষর করেও ‘না’ করে দিয়েছেন জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের প্রস্তাবকে। না করে দেওয়ার কথা ভাবছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগকেও। এসব প্রস্তাব ফিরে দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মোস্তাফিজ। শুধু বললেন, ‘সময় হলেই জানবেন। তবে হ্যাঁ, আমার কাছে দেশ আগে।’
এখন সে আক্রমণাত্মক হয়েছে
কদিন আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট পাওয়া ম্যাচটায় যে বোলিং করল, এমন বোলিং সে যে এখনো করতে পারে, আমি ভাবতেই পারিনি! সাম্প্রতিক সময়ে তার যে পারফরম্যান্স, তার সঙ্গে এটা একেবারেই মেলে না। ব্যাপারটা কী দাঁড়াল তাহলে?
এ জিনিসটা যদি তার ভেতরে না থাকত, তাহলে হঠাৎ করে এটা হয় না। ভেতরে এত দিন সেটা ছিল। আমার ধারণা, সে এত দিন রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে বোলিং করছে। নিজেকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে পারেনি, যাতে তার খেলা বেরিয়ে আসত। দলের মূল একাদশে না থাকা, আইপিএলে সেভাবে জায়গা খুঁজে না পাওয়া—এসব জিনিস নিশ্চয়ই তাকে কিছুটা হলেও কোণঠাসা করেছে। কোণঠাসা হওয়ার কারণেই আমার মনে হয় সে এখন একটু আক্রমণাত্মক হয়েছে যে ‘কিছু একটা আমাকে করতেই হবে। আই হ্যাভ নো চয়েস।’ মানুষের একটা ব্যাপার থাকে না, সবকিছু যখন হারানোর মুখোমুখি হয়, তখন অন্য রকমের একটা জিনিস ভেতরে কাজ করে। সেই জিনিসটাই বোধ হয় কাজ করছে।
আমার মনে হয়, কৌশলগত জায়গা থেকে যা ছিল তা-ই আছে। আক্রমণাত্মক অ্যাঙ্গেল, লাইনে বল করা, বোলিংয়ের মধ্যে সেই ইনটেন্ট, ‘কিলিং’ ব্যাপারটা দেখলাম ৪ উইকেট পাওয়ার ম্যাচ। কোনোভাবে মার না খেয়ে বোলিং শেষ করে দেব, এমন মানসিকতা নিয়ে বোলিং শেষ করেনি। সে শুধু কাটার আর স্লোয়ার দিয়েই উইকেট পায়নি। বৈচিত্র্য ভরা বোলিং করে উইকেট পেয়েছে। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিট রাখতে বাইরের লিগ থেকে নিজেকে বিরত রাখা—এভাবে যদি সে চিন্তা করে, তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো চিন্তাভাবনা খুব জরুরি। যদি তাসকিনকে দেখি, তার ভেতর মানসিক পরিবর্তন হয়েছে, চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এসেছে বলেই এখন ভালো করছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে