শাপলা খন্দকার, বগুড়া
দেশে তৈরি কৃষিযন্ত্রের সিংহভাগের জোগান বগুড়ার ফাউন্ড্রিশিল্প (ঢালাই কারখানা) থেকে আসে। তবে দেশের উৎপাদনের চেয়ে সাত গুণ বেশি মূল্যমানের কৃষিযন্ত্র আমদানি হয়, যার সিংহভাগ চীন থেকে আসে। বিদেশি পণ্যের সঙ্গে টিকতে পারছে না দেশীয় পণ্য। আর তাই রপ্তানি-সম্ভাবনাময় এই খাতের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, উন্নত যন্ত্র কেনাসহ শিল্প প্রণোদনার পাশাপাশি সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তারা জানান, আশির দশকে বগুড়ায় জাহাজের ভাঙা লোহা গলিয়ে ছাঁচে ফেলে কৃষিযন্ত্রাংশ তৈরি শুরু হয়। জেলায় ১০০ ফাউন্ড্রি এবং ১ হাজারের বেশি ওয়ার্কশপ রয়েছে। এসব ওয়ার্কশপের প্রধান গুচ্ছ গড়ে উঠেছে রেলওয়ের পাঁচ একর জমিতে। সেখানে সেচপাম্প, ধান ও গমমাড়াই যন্ত্র, ভুট্টামাড়াই যন্ত্র, ডিজেল ইঞ্জিনের পিস্টন ও লাইনার, ইঞ্জিন ও মেশিনের খুচরা যন্ত্রাংশ, পাওয়ার টিলার, সার, কম্বাইন্ড হারভেস্টর, ট্রাক্টর, বীজ, কীটনাশক স্পেয়ার, ডাইকাস্টিং, সোলার প্যানেল, অটোরাইস মেশিন, ওয়াটার পাম্প, ডেইরি ইকুইপমেন্টসহ বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি হচ্ছে। এখানকার তৈরি সেচপাম্প রপ্তানি হচ্ছে ভারতে।
বগুড়া ফোরাম অব অ্যাগ্রো মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রসেসিং জোনের (ফামপজ) সভাপতি গোলাম আজম টিকুল জানান, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার দেশি কৃষিযন্ত্রাংশ বিক্রি হয়, যার ৮০ শতাংশ বগুড়ার। অন্যদিকে প্রতিবছর আমদানি হয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দক্ষ শ্রমিক ও মানসম্পন্ন মেশিনের অভাবে যন্ত্রের বদলে যন্ত্রাংশ তৈরিতেই আটকে আছে দেশের ফাউন্ড্রিশিল্প। তা-ও তৈরি করতে শুল্কসহ চড়া মূল্যে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। স্বভাবতই মানসম্পন্ন ও সস্তা বিদেশি কৃষিপণ্য বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে। এর মধ্যে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি চীনা যন্ত্রপাতি সবচেয়ে বেশি। এসব পণ্য শুল্ক ছাড়সহ আমদানি হচ্ছে, ফলে উৎপাদন খরচ কম।
বগুড়ার রনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের মতো পণ্য বানাতে গেলে উন্নত মেশিনের দরকার। এর আমদানি শুল্ক বাদ দিলে এবং সরকার ভর্তুকি দিলে মেশিন কেনা সহজ হবে। সহজ শর্তে সরল সুদে সরকারি ঋণ দরকার। এ ছাড়া যন্ত্র মসৃণ করার জন্য কয়লা ফার্নিশের বদলে ইলেকট্রিক ফার্নিশের ব্যবস্থা করতে সরকারের উদ্যোগ দরকার।
শাকিল শেখের ওসমান মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে তৈরি হয় শ্যালো মেশিন ও টেক্সটাইলের যন্ত্রপাতি লাইনার, পাম্প, পিস্টন। তাঁর দাবি, দেশি পণ্য মানসম্পন্ন হলেও দাম একটু বেশি বলে কৃষকেরা বিদেশি পণ্য খোঁজেন। শাকিল আরও বলেন, ‘উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় আমাদের তৈরি পণ্যের দাম বেশি। দেশীয় শিল্পের বিকাশ করতে কাঁচামালে শুল্ক ছাড়ের সঙ্গে বিশেষ প্রণোদনাও লাগবে।’
বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন বলেন, ঋণ জটিলতা ও নিজস্ব জায়গার অভাবে অনেকটা খুঁড়িয়ে চলছে সম্ভাবনাময় খাত ফাউন্ড্রি ও কৃষিযন্ত্রপাতিশিল্প।
দেশে তৈরি কৃষিযন্ত্রের সিংহভাগের জোগান বগুড়ার ফাউন্ড্রিশিল্প (ঢালাই কারখানা) থেকে আসে। তবে দেশের উৎপাদনের চেয়ে সাত গুণ বেশি মূল্যমানের কৃষিযন্ত্র আমদানি হয়, যার সিংহভাগ চীন থেকে আসে। বিদেশি পণ্যের সঙ্গে টিকতে পারছে না দেশীয় পণ্য। আর তাই রপ্তানি-সম্ভাবনাময় এই খাতের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, উন্নত যন্ত্র কেনাসহ শিল্প প্রণোদনার পাশাপাশি সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তারা জানান, আশির দশকে বগুড়ায় জাহাজের ভাঙা লোহা গলিয়ে ছাঁচে ফেলে কৃষিযন্ত্রাংশ তৈরি শুরু হয়। জেলায় ১০০ ফাউন্ড্রি এবং ১ হাজারের বেশি ওয়ার্কশপ রয়েছে। এসব ওয়ার্কশপের প্রধান গুচ্ছ গড়ে উঠেছে রেলওয়ের পাঁচ একর জমিতে। সেখানে সেচপাম্প, ধান ও গমমাড়াই যন্ত্র, ভুট্টামাড়াই যন্ত্র, ডিজেল ইঞ্জিনের পিস্টন ও লাইনার, ইঞ্জিন ও মেশিনের খুচরা যন্ত্রাংশ, পাওয়ার টিলার, সার, কম্বাইন্ড হারভেস্টর, ট্রাক্টর, বীজ, কীটনাশক স্পেয়ার, ডাইকাস্টিং, সোলার প্যানেল, অটোরাইস মেশিন, ওয়াটার পাম্প, ডেইরি ইকুইপমেন্টসহ বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি হচ্ছে। এখানকার তৈরি সেচপাম্প রপ্তানি হচ্ছে ভারতে।
বগুড়া ফোরাম অব অ্যাগ্রো মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রসেসিং জোনের (ফামপজ) সভাপতি গোলাম আজম টিকুল জানান, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার দেশি কৃষিযন্ত্রাংশ বিক্রি হয়, যার ৮০ শতাংশ বগুড়ার। অন্যদিকে প্রতিবছর আমদানি হয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দক্ষ শ্রমিক ও মানসম্পন্ন মেশিনের অভাবে যন্ত্রের বদলে যন্ত্রাংশ তৈরিতেই আটকে আছে দেশের ফাউন্ড্রিশিল্প। তা-ও তৈরি করতে শুল্কসহ চড়া মূল্যে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। স্বভাবতই মানসম্পন্ন ও সস্তা বিদেশি কৃষিপণ্য বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে। এর মধ্যে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি চীনা যন্ত্রপাতি সবচেয়ে বেশি। এসব পণ্য শুল্ক ছাড়সহ আমদানি হচ্ছে, ফলে উৎপাদন খরচ কম।
বগুড়ার রনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের মতো পণ্য বানাতে গেলে উন্নত মেশিনের দরকার। এর আমদানি শুল্ক বাদ দিলে এবং সরকার ভর্তুকি দিলে মেশিন কেনা সহজ হবে। সহজ শর্তে সরল সুদে সরকারি ঋণ দরকার। এ ছাড়া যন্ত্র মসৃণ করার জন্য কয়লা ফার্নিশের বদলে ইলেকট্রিক ফার্নিশের ব্যবস্থা করতে সরকারের উদ্যোগ দরকার।
শাকিল শেখের ওসমান মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে তৈরি হয় শ্যালো মেশিন ও টেক্সটাইলের যন্ত্রপাতি লাইনার, পাম্প, পিস্টন। তাঁর দাবি, দেশি পণ্য মানসম্পন্ন হলেও দাম একটু বেশি বলে কৃষকেরা বিদেশি পণ্য খোঁজেন। শাকিল আরও বলেন, ‘উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় আমাদের তৈরি পণ্যের দাম বেশি। দেশীয় শিল্পের বিকাশ করতে কাঁচামালে শুল্ক ছাড়ের সঙ্গে বিশেষ প্রণোদনাও লাগবে।’
বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন বলেন, ঋণ জটিলতা ও নিজস্ব জায়গার অভাবে অনেকটা খুঁড়িয়ে চলছে সম্ভাবনাময় খাত ফাউন্ড্রি ও কৃষিযন্ত্রপাতিশিল্প।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪