রাজশাহী প্রতিনিধি
চিনিকল চলবে, নাকি বন্ধ হয়ে যাবে—এ নিয়ে চাষিদের অনিশ্চয়তায় রাজশাহীতে তলানিতে নেমেছে আখ চাষ। আখের অভাবে ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে রাজশাহী চিনিকল চলেছে মাত্র ১৯ দিন। চিনিকলের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত মাড়াই মৌসুম। চিনিকল কর্তৃপক্ষ এ বছর চাষ বৃদ্ধির চেষ্টা করলেও খুব একটা লাভ হয়নি।
পবা উপজেলার হরিয়ানে রাজশাহী চিনিকল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। ১৯৬৫-৬৬ সাল থেকে এখানে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। রাজশাহীতে আগে আখচাষির সংখ্যা ছিল প্রচুর। চিনিকলে আখ দিয়ে সময়মতো টাকা না পাওয়াসহ নানা কারণে দিনে দিনে চাষির সংখ্যা কমতে থাকে। এরই মধ্যে রাজশাহীসহ দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তরের ব্যাপারে ২০২০ সালের দিকে কথাবার্তা শুরু হয়।
রাজশাহীর চাষি ও চিনিকলের কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করেন। ফলে চিনিকলটি এখনো রাষ্ট্রীয় মালিকানাতেই চলছে। তবে চিনিকল চলবে কি চলবে না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রাজশাহীতে আখ চাষ কমে গেছে। ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৯ দিন চলেছে চিনিকলটি।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, এই ১৯ দিনে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ একর জমি থেকে ২৪ হাজার ৩ মেট্রিক টন আখ পায় চিনিকল। এই মৌসুমে ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয় মাত্র ১ হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন চিনি। প্রতি কেজি ৭৪ টাকা দরে এসব চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। সবশেষ মৌসুমে চাষিদের টনপ্রতি আখের মূল্য দেওয়া হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা।
এবার আখ চাষ বাড়াতে চাষিদের সময়মতো টাকা পরিশোধ করা হয়। চাষিদের দেওয়া হয়েছে সার ও কীটনাশক। তাও চাষ খুব একটা বাড়েনি। এ বছর ৭ হাজার একর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১০৫ একর জমিতে। অথচ ২০২০-২১ মৌসুমেই ১৩ হাজার ১০০ একর জমিতে আখ চাষ হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিনিকল চালু ছিল। ওই সময় আখ পাওয়া যায় ১ লাখ ২৯ হাজার টন। চিনি উৎপাদন হয় ৮ হাজার ১৯ টন। সব শেষ মৌসুমেই চিনির উৎপাদন সর্বনিম্ন।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকার আখচাষি আহাদ আলী বলেন, ১৫ বছর আগে তিনি ১০ বিঘা জমিতে আখ চাষ করতেন। কিন্তু চিনিকল থেকে সময়মতো টাকা না পাওয়ার কারণে তিনি চাষ কমাতে শুরু করেন। চিনিকল বন্ধের কথাবার্তা শুরু হলে তিনি একেবারে চাষ কমিয়ে আনেন। এবার চাষ করেছেন দুই বিঘা জমিতে।
রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাজাহান কবীর বলেন, ‘এক সময় চাষির সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার। এখন পাঁচ হাজারো নেই। চাষিরা আখ চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল চাষাবাদ করছেন। এক সময় টানা পাঁচ মাস পর্যন্ত চিনিকল চলেছে। কিন্তু এখন চাষির সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাড়াই মৌসুমও ছোট হয়ে এসেছে। তারপরও ৫০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত চিনিকল চলত। কিন্তু সবশেষ মৌসুমে চিনিকল চলবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় আখ চাষ একেবারেই কমে গেছে। আখের অভাবে এই মৌসুমে মাত্র ১৯ দিন চিনিকল চলেছে।’
শাজাহান কবীর বলেন, ‘যেহেতু রাজশাহী চিনিকল চলছে, তাই আমরা চাষ বাড়ানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। চাষিদের সময়মতো আখের টাকা দিয়েছি। সার, বীজ, কীটনাশক দিয়েছি। এতে কিছু জমি বেড়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কিছু বাড়বে।’
চিনিকল চলবে, নাকি বন্ধ হয়ে যাবে—এ নিয়ে চাষিদের অনিশ্চয়তায় রাজশাহীতে তলানিতে নেমেছে আখ চাষ। আখের অভাবে ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে রাজশাহী চিনিকল চলেছে মাত্র ১৯ দিন। চিনিকলের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত মাড়াই মৌসুম। চিনিকল কর্তৃপক্ষ এ বছর চাষ বৃদ্ধির চেষ্টা করলেও খুব একটা লাভ হয়নি।
পবা উপজেলার হরিয়ানে রাজশাহী চিনিকল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। ১৯৬৫-৬৬ সাল থেকে এখানে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। রাজশাহীতে আগে আখচাষির সংখ্যা ছিল প্রচুর। চিনিকলে আখ দিয়ে সময়মতো টাকা না পাওয়াসহ নানা কারণে দিনে দিনে চাষির সংখ্যা কমতে থাকে। এরই মধ্যে রাজশাহীসহ দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তরের ব্যাপারে ২০২০ সালের দিকে কথাবার্তা শুরু হয়।
রাজশাহীর চাষি ও চিনিকলের কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করেন। ফলে চিনিকলটি এখনো রাষ্ট্রীয় মালিকানাতেই চলছে। তবে চিনিকল চলবে কি চলবে না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রাজশাহীতে আখ চাষ কমে গেছে। ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৯ দিন চলেছে চিনিকলটি।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, এই ১৯ দিনে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ একর জমি থেকে ২৪ হাজার ৩ মেট্রিক টন আখ পায় চিনিকল। এই মৌসুমে ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয় মাত্র ১ হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন চিনি। প্রতি কেজি ৭৪ টাকা দরে এসব চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। সবশেষ মৌসুমে চাষিদের টনপ্রতি আখের মূল্য দেওয়া হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা।
এবার আখ চাষ বাড়াতে চাষিদের সময়মতো টাকা পরিশোধ করা হয়। চাষিদের দেওয়া হয়েছে সার ও কীটনাশক। তাও চাষ খুব একটা বাড়েনি। এ বছর ৭ হাজার একর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১০৫ একর জমিতে। অথচ ২০২০-২১ মৌসুমেই ১৩ হাজার ১০০ একর জমিতে আখ চাষ হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিনিকল চালু ছিল। ওই সময় আখ পাওয়া যায় ১ লাখ ২৯ হাজার টন। চিনি উৎপাদন হয় ৮ হাজার ১৯ টন। সব শেষ মৌসুমেই চিনির উৎপাদন সর্বনিম্ন।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকার আখচাষি আহাদ আলী বলেন, ১৫ বছর আগে তিনি ১০ বিঘা জমিতে আখ চাষ করতেন। কিন্তু চিনিকল থেকে সময়মতো টাকা না পাওয়ার কারণে তিনি চাষ কমাতে শুরু করেন। চিনিকল বন্ধের কথাবার্তা শুরু হলে তিনি একেবারে চাষ কমিয়ে আনেন। এবার চাষ করেছেন দুই বিঘা জমিতে।
রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাজাহান কবীর বলেন, ‘এক সময় চাষির সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার। এখন পাঁচ হাজারো নেই। চাষিরা আখ চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল চাষাবাদ করছেন। এক সময় টানা পাঁচ মাস পর্যন্ত চিনিকল চলেছে। কিন্তু এখন চাষির সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাড়াই মৌসুমও ছোট হয়ে এসেছে। তারপরও ৫০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত চিনিকল চলত। কিন্তু সবশেষ মৌসুমে চিনিকল চলবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় আখ চাষ একেবারেই কমে গেছে। আখের অভাবে এই মৌসুমে মাত্র ১৯ দিন চিনিকল চলেছে।’
শাজাহান কবীর বলেন, ‘যেহেতু রাজশাহী চিনিকল চলছে, তাই আমরা চাষ বাড়ানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। চাষিদের সময়মতো আখের টাকা দিয়েছি। সার, বীজ, কীটনাশক দিয়েছি। এতে কিছু জমি বেড়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কিছু বাড়বে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে