জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মালিঝি নদীর ওপর নির্মিত স্লুইসগেটটি প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময় হলো পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন স্লুইসগেটের সুফল থেকে। স্লুইসগেটটি সংস্কার, পুনর্নির্মাণ বা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণের দাবি কৃষকদের। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গেটটি পুনর্নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
পাউবো ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া-নয়াপাড়া এলাকায় মালিঝি নদীর ওপর একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করে পাউবো। স্লুইসগেটটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় কোটি টাকা। এ সময় স্লুইসগেটের পাশে প্রায় পাঁচ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। গেটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করাও হয়। সেখানে একজন কর্মচারীকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্লুইসগেটটি নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও স্লুইসগেটটি আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগ করা ওই কর্মচারীও কিছুদিন এখানে অবস্থানের পর চলে যান। এরপর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুইসগেট ভবনসহ অধিগ্রহণকৃত জমিগুলোও বেদখল হতে শুরু করে। বর্তমানে তা স্থানীয় কয়েকজনের দখলে রয়েছে, যা সংরক্ষণ বা পুনরুদ্ধারে আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে বিধ্বস্তের প্রায় তিন যুগেও স্লুইসগেটটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় এখন পুনর্নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিধ্বস্ত স্লুইসগেটটি সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণ করা হলে আমাদের আবাদে বেশ সুবিধা হইত। আমরা অনেক দিন থেকে এ স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাইতেছি। কিন্তু আজও গেটটি সংস্কার করা হয়নি।’
কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ হোক। না হলে এ স্লুইসগেটটি ঠিক করা হোক। এটা হলে এ এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্লুইসগেটটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করলে অথবা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হলে এখানকার কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। কৃষকেরা স্বল্প ব্যয়ে পানি ও সেচ সুবিধা পাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা স্বল্প ব্যয়ে সেচ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া কিছু অনাবাদি জমিও আবাদের আওতায় আসবে। এতে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, স্লুইসগেটটি হলে এক ও দুফসলি জমিগুলো অধিক ফসলি জমিতে পরিণত হবে। এতে প্রায় দুই হাজার কৃষকের ৫০০ হেক্টর জমি অধিক ফলনশীল জমিতে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণের বিষয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেদখলীয় জমি উদ্ধারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মালিঝি নদীর ওপর নির্মিত স্লুইসগেটটি প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময় হলো পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন স্লুইসগেটের সুফল থেকে। স্লুইসগেটটি সংস্কার, পুনর্নির্মাণ বা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণের দাবি কৃষকদের। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গেটটি পুনর্নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
পাউবো ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া-নয়াপাড়া এলাকায় মালিঝি নদীর ওপর একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করে পাউবো। স্লুইসগেটটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় কোটি টাকা। এ সময় স্লুইসগেটের পাশে প্রায় পাঁচ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। গেটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করাও হয়। সেখানে একজন কর্মচারীকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্লুইসগেটটি নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও স্লুইসগেটটি আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগ করা ওই কর্মচারীও কিছুদিন এখানে অবস্থানের পর চলে যান। এরপর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুইসগেট ভবনসহ অধিগ্রহণকৃত জমিগুলোও বেদখল হতে শুরু করে। বর্তমানে তা স্থানীয় কয়েকজনের দখলে রয়েছে, যা সংরক্ষণ বা পুনরুদ্ধারে আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে বিধ্বস্তের প্রায় তিন যুগেও স্লুইসগেটটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় এখন পুনর্নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিধ্বস্ত স্লুইসগেটটি সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণ করা হলে আমাদের আবাদে বেশ সুবিধা হইত। আমরা অনেক দিন থেকে এ স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাইতেছি। কিন্তু আজও গেটটি সংস্কার করা হয়নি।’
কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ হোক। না হলে এ স্লুইসগেটটি ঠিক করা হোক। এটা হলে এ এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্লুইসগেটটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করলে অথবা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হলে এখানকার কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। কৃষকেরা স্বল্প ব্যয়ে পানি ও সেচ সুবিধা পাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা স্বল্প ব্যয়ে সেচ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া কিছু অনাবাদি জমিও আবাদের আওতায় আসবে। এতে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, স্লুইসগেটটি হলে এক ও দুফসলি জমিগুলো অধিক ফসলি জমিতে পরিণত হবে। এতে প্রায় দুই হাজার কৃষকের ৫০০ হেক্টর জমি অধিক ফলনশীল জমিতে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্লুইসগেটটি পুনর্নির্মাণের বিষয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেদখলীয় জমি উদ্ধারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে