রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি অধিকাংশ কাজ। প্রথম দফায় কাজের সময় বৃদ্ধি করার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর না হলে প্রকল্পই বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বগুড়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। এত দিনে জানা গেল, উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ার কারণেই এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় চলমান কাজের খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে এই তথ্য।
অফিস সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার প্যাকেজে ৫টি পাবলিক টয়লেট, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম, ১৯টি কমিউনাল বিন ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা।
গত জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর গত সেপ্টেম্বরে প্রথম দফায় বৃদ্ধি করা তিন মাসের মেয়াদও শেষ হয়। শুধু ড্রেনের ৬০ শতাংশ, ১০টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় ড্রেন ও কমিউনিটি ল্যাট্রিন ছাড়া বাকি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল অ্যান্ড এমআর জয়েন্ট ভেঞ্চার ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে।
দরপত্র অনুযায়ী, একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা। এর জন্য প্রকল্পের প্রাক্কলনের সময় পৌরসভা-সংলগ্ন করতোয়া নদীর পাশে দুই একর জায়গা দেখানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী ২০২০ সালে টেন্ডার আহ্বান করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা জানান, জায়গাটি গভীর হওয়ায় সেখানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া এলাকাটি আবাসিক হওয়ায় পরিবেশ বিভাগের অনুমতিও পাওয়া যায়নি। বিকল্প হিসেবে পৌর শহরের বাইরে হাওয়াখানা এলাকায় আরেকটি জায়গার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেটিও উপযুক্ত না হওয়ার কাজ করতে রাজি না জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। তবে এর জন্য গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীর বালা এলাকায় ১৭ একর জায়গা কেনার কথা ভাবছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শেরপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ মুহূর্তে নতুন করে জায়গা কেনার মতো আমাদের টাকা নেই। তাই হাওয়াখানা এলাকার জায়গা বিক্রি করে রণবীর বালা এলাকায় জায়গা কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল অ্যান্ড এম আর জয়েন্ট ভেঞ্চারের তত্ত্বাবধায়ক হাজি সেলিম রেজা বলেন, পৌরসভার দেখিয়ে দেওয়া জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল হয়ে আছে। সেগুলো মুক্ত করার জন্য তাঁরা কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) শেরপুর উপজেলার সভাপতি সাংবাদিক নিমাই ঘোষ বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নাগরিকেরা সব আধুনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কর্তৃপক্ষের এই ধরনের উদাসীনতা আমাদের হতাশ করেছে।’
এ বিষয়ে বগুড়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দরপত্র আহ্বানের আগে আমরা জরিপ করেছিলাম। তখন পৌরসভা আমাদেরকে কিছু জায়গা দেখিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন তাঁরা উপযুক্ত জায়গা দিতে না পারলে আমাদের করার কিছু থাকবে না।’
দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি অধিকাংশ কাজ। প্রথম দফায় কাজের সময় বৃদ্ধি করার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর না হলে প্রকল্পই বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বগুড়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। এত দিনে জানা গেল, উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ার কারণেই এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় চলমান কাজের খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে এই তথ্য।
অফিস সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার প্যাকেজে ৫টি পাবলিক টয়লেট, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম, ১৯টি কমিউনাল বিন ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা।
গত জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর গত সেপ্টেম্বরে প্রথম দফায় বৃদ্ধি করা তিন মাসের মেয়াদও শেষ হয়। শুধু ড্রেনের ৬০ শতাংশ, ১০টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় ড্রেন ও কমিউনিটি ল্যাট্রিন ছাড়া বাকি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল অ্যান্ড এমআর জয়েন্ট ভেঞ্চার ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে।
দরপত্র অনুযায়ী, একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা। এর জন্য প্রকল্পের প্রাক্কলনের সময় পৌরসভা-সংলগ্ন করতোয়া নদীর পাশে দুই একর জায়গা দেখানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী ২০২০ সালে টেন্ডার আহ্বান করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা জানান, জায়গাটি গভীর হওয়ায় সেখানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া এলাকাটি আবাসিক হওয়ায় পরিবেশ বিভাগের অনুমতিও পাওয়া যায়নি। বিকল্প হিসেবে পৌর শহরের বাইরে হাওয়াখানা এলাকায় আরেকটি জায়গার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেটিও উপযুক্ত না হওয়ার কাজ করতে রাজি না জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। তবে এর জন্য গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীর বালা এলাকায় ১৭ একর জায়গা কেনার কথা ভাবছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শেরপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ মুহূর্তে নতুন করে জায়গা কেনার মতো আমাদের টাকা নেই। তাই হাওয়াখানা এলাকার জায়গা বিক্রি করে রণবীর বালা এলাকায় জায়গা কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল অ্যান্ড এম আর জয়েন্ট ভেঞ্চারের তত্ত্বাবধায়ক হাজি সেলিম রেজা বলেন, পৌরসভার দেখিয়ে দেওয়া জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল হয়ে আছে। সেগুলো মুক্ত করার জন্য তাঁরা কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) শেরপুর উপজেলার সভাপতি সাংবাদিক নিমাই ঘোষ বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নাগরিকেরা সব আধুনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কর্তৃপক্ষের এই ধরনের উদাসীনতা আমাদের হতাশ করেছে।’
এ বিষয়ে বগুড়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দরপত্র আহ্বানের আগে আমরা জরিপ করেছিলাম। তখন পৌরসভা আমাদেরকে কিছু জায়গা দেখিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন তাঁরা উপযুক্ত জায়গা দিতে না পারলে আমাদের করার কিছু থাকবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে