সাকিবদের সঙ্গে উদ্‌যাপন চান জামালরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২: ১৭

‘আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশ খুব চাপে আছে, তারা তাদের সেরা ম্যাচটা (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে) হেরে গেছে (হাসি)। এটা তাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা। আফগানিস্তান দুই দিক থেকেই সুবিধাজনক অবস্থায় আছে।

আমরা একদমই চাপে নেই, বাংলাদেশ চাপে আছে।’ আফগানিস্তান ফুটবল দলের কোচ আবদুল্লাহ আল মুতায়িরির রসবোধ বেশ ভালো। অনেক কঠিন সব কথা বলে ফেলেন অবলীলায়। আফগান কোচ যে প্রসঙ্গে ওপরের কথাগুলো বলেছেন, সেটা ফুটবল নিয়ে নয়।

কাতারের মানুষ মুতায়িরি কথা বলেছেন এশিয়া কাপের বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে! একই দিনে ফুটবল ও ক্রিকেটে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান—খেলাধুলার ইতিহাসে বেশ দুর্লভ একটা দিনই বটে! লাহোরে বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে সাকিবদের।

এদিকে ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আজ বিকেল ৫টায় ফুটবলে মুখোমুখি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ঢাকায় তাই ফুটবলের সংবাদ সম্মেলনে এল ক্রিকেট প্রসঙ্গ। সাকিবদের শুভকামনা জানিয়ে রাখলেন ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ‘যদি দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ জেতে, তাহলে বাংলাদেশের জন্য ভালো দিন হবে। তাহলে মানুষ মনে রাখবে ক্রিকেট দল জিতেছে, ফুটবল দলও জিতেছে।

 কিন্তু দিন শেষে ব্যাপারগুলো জয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত…আমি আশা করি, দুটি জায়গাতেই বাংলাদেশ জিতবে।’ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানালেও জামাল বাংলাদেশের সমর্থকদের নজর রাখতে বলছেন তাঁদের দিকেও। ২০১৯ সালের পর আবারও ঢাকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফেরায় বেশ খুশি বাংলাদেশের ফুটবল অধিনায়ক।

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান, দুই দলের জন্যই আজকের ম্যাচটা অক্টোবরের বিশ্বকাপ প্রাক্‌-বাছাইয়ের প্রস্তুতির শুরু। দুই দলই আজকে নিজেদের একাদশ সাজাবে সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়দের দিয়ে।

তবে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা কিছুটা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে বেঙ্গালুরু সাফে ফুটবলাররা যে লড়াকু মানসিকতায় খেলেছেন, এক মাস পর সেই মানসিকতা কতটুকু ধরে রাখা গেল, তারও একটা নমুনা পাওয়া যাবে এই ম্যাচে।

জামালও মনে করিয়ে দিলেন সেটাই, ‘সাফে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেই মান ধরে রাখার লক্ষ্য আমাদের। যদি সাফের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আগামীকাল (আজ) আমরা ভালো একটা ম্যাচ খেলব।

আশা করি আমরা জিতব।’ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও চান সাফের ধারাটাই ধরে রাখুক তাঁর দল। বললেন, ‘সাফের সবাই বর্তমান দলে আছে। চোটের কারণে সাফ খেলতে না পারা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় ফিরেছে, এশিয়ান গেমসের দলের খেলোয়াড়েরাও আছে। আবারও বলছি, সাফে যেটা করেছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা লক্ষ্য।’

জয়ের পরিসংখ্যানে আফগানিস্তান এগিয়ে থাকলেও নিজেদের মাটিতে আবার বাংলাদেশ এগিয়ে। আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র জয়টা নিজেদের মাটিতেই পেয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিনরা। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৩-২ গোলের জয়ের পর নিজেদের মাটিতে পরের দুই ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।

সাফে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে আফগান কোচ মুতায়িরির। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন হাভিয়ের কাবরেরার দলকে। জানিয়ে রাখলেন আজকের ম্যাচকে স্রেফ এক প্রীতি ম্যাচ হিসেবেই দেখছেন তিনি, ‘কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, কে জিতবে। কেননা, আমি এখানে এসেছি কেবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে।

প্রীতি ম্যাচ, স্রেফ প্রীতি ম্যাচ। আপনি ১০-০ গোলে জিততে পারেন, ১০-০ গোলে হারতেও পারেন। গত সাত-আট বছরে ভারতের পরের পরাশক্তি ছিল মালদ্বীপ, কিন্তু এখন আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সেই পরাশক্তি হতে যাচ্ছে, যদি তারা ধারাবাহিকতাটা রাখতে পারে…কোচ, খেলোয়াড় বদল না করে, তাদের স্রেফ আরেকটু সময় দিন, ম্যাচ খেলার সুযোগ দিন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত