কাটারিভোগ ধানের দাম মণে কমল ৩০০ টাকা

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২২, ১৫: ০০
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৫: ২৬

নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন লাগামহীন বেড়েই চলেছে। ভরা মৌসুমে একদিকে বাড়ছে চালের দাম। অপরদিকে কমছে ধানের দাম। কৃষকেরা বলছেন, বোরো মৌসুমে ধানের দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠবে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হাজারো কৃষক।

ধানের আমদানি বেশি থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকা এবং চালকল মালিকদের চাতালে পর্যাপ্ত ভেজা ধান থাকায় মিলাররা নতুন করে ধান কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ১৮-২০ হাজার টাকা। আবার বাজারে ধানের দাম নেই। লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতি বিঘায় ৪-৫ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জিত হয় ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাত ১০ হাজার ৮৭৫ ও হাইব্রিড জাত ১১৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

পাঁচ দিন আগেই উফশী জাতের কাটারিভোগ ধানের প্রতি মণ দাম ছিল ১৪০০-১৬০০ টাকা। অথচ সেই ধান বাজারে বিক্রি করতে গেলে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতি মণ ১১০০-১৩০০ টাকায়। হাইব্রিড আতপ ধানের প্রতি মণ দাম ছিল ১৮৫০-১৯০০ টাকা। এখন প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০-১৫৫০ টাকা। হাইব্রিড জাতের ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৮৮০ টাকায়।

কালাই পৌরসভার মুলগ্রামের কৃষক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘৭ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। গতবারের চেয়ে এবার ধান কাটার শ্রমিকের দাম দ্বিগুণ। প্রতি বিঘায় ধান কাটতে গুনতে হচ্ছে ৫৫০০-৬০০০ টাকা। আবার বাজারে ধানের দাম নেই। প্রতি বিঘায় উৎপাদন খরচ ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এই দামে ধান বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ উঠবে না।’

উপজেলার পাঁচগ্রাম মৃধাপাড়ার কৃষক কামরুল হাসান প্রামাণিক বলেন, জমি চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ খরচ, শ্রমিক খরচসহ সবকিছুর দাম বেশি। পাঁচ দিনে ধানের বাজার প্রতি মণে ৩০০-৪০০ টাকা কমেছে। এতে প্রতি বিঘা ধানে কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে ৪-৫ হাজার টাকা।

কালাই পাঁচশিরা বাজারের ধান ব্যবসায়ী আবদুল কাফি বলেন, বাজারে ধানের আমদানি বেশি, চাহিদা কম। বড় বড় মিলার ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ জন্য বেশি ধান কেনা যাচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার কাটারী ধান প্রতি মণ ১১০০-১৩০০ টাকা ও হাইব্রিড জাতের ধান প্রতি মণ ৮৫০-৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ অটো, মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কালাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধানের আমদানি বেশি হওয়া, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকা এবং চালকল মালিকদের চাতালে পর্যাপ্ত ভেজা ধান থাকায় নতুন করে মিলাররা ধান কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। 
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, অবৈধ ধান ও চাল তদারকি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত