নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে পুরোদমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এখনো আশানুরূপ নয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভল্যুয়েশন শাখার পরিচালক মো. আমির হোসেন বলছেন, মাধ্যমিকে এখন ৭০-৮০ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৬৫-৭৫ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকছে। স্বাভাবিক সময়ে এই দুই স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকত।
প্রাথমিক ও প্রাক্-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৮০-৮৫ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবে অনেক স্কুলে এই সংখ্যা ছিল কম। তবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা আবার ফিরে আসবে, না একেবারে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেননি। সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, টিকা পাওয়ার সংখ্যা বাড়লে স্কুলে শিক্ষার্থীও বাড়বে।
উপস্থিতির চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানায় নজর
দেড় বছরেরও বেশি সময় পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বল্প পরিসরে স্কুল-কলেজ খুলে দেয় সরকার। তবে ওই সময় অর্ধেকেও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাসে বসেনি। চলতি বছরের শুরুতে করোনোর সংক্রমণ ফের বাড়লে গত ২১ জানুয়ারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বাদে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস চলছে।
গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে মাউশির কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, যখন সপ্তাহে দুই দিন করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হতো তখন অনেকেই স্কুলে আসত না। করোনার টিকা নেওয়া না থাকায় অভিভাবকেরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদ মনে করতেন না। এখন শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকদানের পরিমাণ যত বাড়ছে, স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও তত বাড়ছে।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ১ কোটি ১১ লাখের মতো শিক্ষার্থীকে করোনার দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ১ কোটি সাড়ে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা জানান, কত শতাংশ শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাসে অংশ নিচ্ছে এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না সরকার। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তারাও নিয়মিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সমস্যাগুলো সমাধান করে দিচ্ছেন।
এ দিকে স্কুল-কলেজে পুরোদমে পাঠদান শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এক জরুরি নোটিশে বলেছে, অনুপস্থিতির কারণে কোনো শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি পূরণে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজধানীর স্কুলে স্কুলে
পুরোদমে ক্লাস শুরুর পর প্রাথমিকে উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও প্রাক-প্রাথমিকে উপস্থিতি এখনো সন্তোষজনক নয়। মঙ্গলবার খোলার প্রথম দিনে প্রাক-প্রাথমিকে অনুপস্থিত ছিল প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে প্রাথমিকের প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত উপস্থিত থাকছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে এমন তথ্য দেখা গেছে।
গতকাল সরেজমিনে নারিন্দার মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, মাত্র একটি কক্ষেই স্কুলের সকল কার্যক্রম চলছে। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। বেলা ১২টায় তাদের ছুটির পর ২য় শিফটে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়। তবে সপ্তাহে রোববার ও মঙ্গলবার এই দুই দিন প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস হওয়ায় কাল প্রাক-প্রাথমিকের কেউ স্কুলে আসেননি। মঙ্গলবার খোলার দিন প্রাক-প্রাথমিকে ১২ জনের মাঝে স্কুলে এসেছেন ৫ জন। গতকাল এই স্কুলে প্রাথমিকে উপস্থিতি ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
স্কুলের অধ্যক্ষ মোসাম্মদ কোহিনুর আক্তার জানান, করোনার আগে স্কুলটিতে প্রায় দেড় শ শিক্ষার্থী থাকলেও এখন তা কমে ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কল দেওয়া হলেও অনেকে সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না।
এই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহান বলেন, আগে কম হলেও এখন আমাদের চারটা করে ক্লাস হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে আমাদের ক্লাস শুরু হয় আর বিকেলে স্কুল ছুটি হয়। স্কুলে এসে ভালোই লাগছে।
একই চিত্র মিরপুর বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। এই স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৪১ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে উপস্থিতি ছিল ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। তবে প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম দিনে ৪০ জনের মধ্যে ২২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ গোপালি রানি দাস বলেন, ‘আমার স্কুলের অধিকাংশ অভিভাবক দিনমজুর বা রিকশা চালিয়ে দিন পার করেন। তাই শিক্ষার্থীদেরও নানা কাজে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। এ জন্য উপস্থিতি কম।’
মতিঝিলের আইডিয়াল মুসলিম বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ আর ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তবে প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম দিনের ক্লাসে ৬৫ জনের মধ্যে অর্ধেক ই ক্লাসে আসেনি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সামসুন নাহার।
মিরপুরের শেরে বাংলা সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকলেও প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম দিনে ৭৫ জনের জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া পুরান ঢাকার পোগেজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক স্তরে গতকাল ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল আলম।
এদিকে দীর্ঘ দেড় বছরের বন্ধের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা হলে প্রথম দিনে ক্লাসে উপস্থিত ছিল ৭৩.৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী। তবে এখন আর প্রতিদিনের উপস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে এই তথ্য রয়েছে। তবে অনলাইনে স্কুলগুলো যে তথ্য দেয় সে অনুযায়ী প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিকে গড়ে উপস্থিত থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২টি। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিদিন উপস্থিতি সংরক্ষণ করা সহজ নয়। তবে অনলাইনে স্কুলগুলোর তথ্য আপডেট এবং জেলা পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসে আসছেন।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে পুরোদমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এখনো আশানুরূপ নয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভল্যুয়েশন শাখার পরিচালক মো. আমির হোসেন বলছেন, মাধ্যমিকে এখন ৭০-৮০ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৬৫-৭৫ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকছে। স্বাভাবিক সময়ে এই দুই স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকত।
প্রাথমিক ও প্রাক্-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৮০-৮৫ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবে অনেক স্কুলে এই সংখ্যা ছিল কম। তবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা আবার ফিরে আসবে, না একেবারে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেননি। সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, টিকা পাওয়ার সংখ্যা বাড়লে স্কুলে শিক্ষার্থীও বাড়বে।
উপস্থিতির চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানায় নজর
দেড় বছরেরও বেশি সময় পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বল্প পরিসরে স্কুল-কলেজ খুলে দেয় সরকার। তবে ওই সময় অর্ধেকেও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাসে বসেনি। চলতি বছরের শুরুতে করোনোর সংক্রমণ ফের বাড়লে গত ২১ জানুয়ারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বাদে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস চলছে।
গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে মাউশির কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, যখন সপ্তাহে দুই দিন করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হতো তখন অনেকেই স্কুলে আসত না। করোনার টিকা নেওয়া না থাকায় অভিভাবকেরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদ মনে করতেন না। এখন শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকদানের পরিমাণ যত বাড়ছে, স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও তত বাড়ছে।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ১ কোটি ১১ লাখের মতো শিক্ষার্থীকে করোনার দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ১ কোটি সাড়ে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা জানান, কত শতাংশ শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাসে অংশ নিচ্ছে এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না সরকার। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তারাও নিয়মিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সমস্যাগুলো সমাধান করে দিচ্ছেন।
এ দিকে স্কুল-কলেজে পুরোদমে পাঠদান শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এক জরুরি নোটিশে বলেছে, অনুপস্থিতির কারণে কোনো শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি পূরণে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজধানীর স্কুলে স্কুলে
পুরোদমে ক্লাস শুরুর পর প্রাথমিকে উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও প্রাক-প্রাথমিকে উপস্থিতি এখনো সন্তোষজনক নয়। মঙ্গলবার খোলার প্রথম দিনে প্রাক-প্রাথমিকে অনুপস্থিত ছিল প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে প্রাথমিকের প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত উপস্থিত থাকছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে এমন তথ্য দেখা গেছে।
গতকাল সরেজমিনে নারিন্দার মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, মাত্র একটি কক্ষেই স্কুলের সকল কার্যক্রম চলছে। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। বেলা ১২টায় তাদের ছুটির পর ২য় শিফটে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়। তবে সপ্তাহে রোববার ও মঙ্গলবার এই দুই দিন প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস হওয়ায় কাল প্রাক-প্রাথমিকের কেউ স্কুলে আসেননি। মঙ্গলবার খোলার দিন প্রাক-প্রাথমিকে ১২ জনের মাঝে স্কুলে এসেছেন ৫ জন। গতকাল এই স্কুলে প্রাথমিকে উপস্থিতি ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
স্কুলের অধ্যক্ষ মোসাম্মদ কোহিনুর আক্তার জানান, করোনার আগে স্কুলটিতে প্রায় দেড় শ শিক্ষার্থী থাকলেও এখন তা কমে ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কল দেওয়া হলেও অনেকে সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না।
এই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহান বলেন, আগে কম হলেও এখন আমাদের চারটা করে ক্লাস হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে আমাদের ক্লাস শুরু হয় আর বিকেলে স্কুল ছুটি হয়। স্কুলে এসে ভালোই লাগছে।
একই চিত্র মিরপুর বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। এই স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৪১ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে উপস্থিতি ছিল ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। তবে প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম দিনে ৪০ জনের মধ্যে ২২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ গোপালি রানি দাস বলেন, ‘আমার স্কুলের অধিকাংশ অভিভাবক দিনমজুর বা রিকশা চালিয়ে দিন পার করেন। তাই শিক্ষার্থীদেরও নানা কাজে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। এ জন্য উপস্থিতি কম।’
মতিঝিলের আইডিয়াল মুসলিম বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ আর ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তবে প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম দিনের ক্লাসে ৬৫ জনের মধ্যে অর্ধেক ই ক্লাসে আসেনি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সামসুন নাহার।
মিরপুরের শেরে বাংলা সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকলেও প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম দিনে ৭৫ জনের জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া পুরান ঢাকার পোগেজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক স্তরে গতকাল ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল আলম।
এদিকে দীর্ঘ দেড় বছরের বন্ধের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা হলে প্রথম দিনে ক্লাসে উপস্থিত ছিল ৭৩.৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী। তবে এখন আর প্রতিদিনের উপস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে এই তথ্য রয়েছে। তবে অনলাইনে স্কুলগুলো যে তথ্য দেয় সে অনুযায়ী প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিকে গড়ে উপস্থিত থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২টি। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিদিন উপস্থিতি সংরক্ষণ করা সহজ নয়। তবে অনলাইনে স্কুলগুলোর তথ্য আপডেট এবং জেলা পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসে আসছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে