সেতুর মুখ বন্ধ, ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ০৫: ২৮
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ০৮: ২৫

সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চাক্তাবাড়ি এলাকায় ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ৭২৫ জন কৃষক। দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি থেকে যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী মাস্টারপাড়া এলাকা পর্যন্ত সব ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। বন্যার সময় চাক্তাবাড়ি-ধনারচর বেড়িবাঁধের একাংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় গোটা এলাকা তলিয়ে যায়।

ধনারচর নতুনগ্রাম নামক এলাকায় একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কর্তিমারী বাজার এলাকায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানি বের হওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৭২৫ জন কৃষকের ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।

যাদুরচর নতুনগ্রামের কৃষক শামছুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা থাকায় তাঁর দেড় বিঘা জমির সব ফসল নষ্ট গেছে। চাষে তাঁর ব্যয় হয়েছিল ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। এভাবে পানি জমে থাকলে ভবিষ্যতে অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।

ওই এলাকার কৃষক আনিছুর রহমান, নুর ইসলাম, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান, আলী আকবরসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গত বছর বন্যায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি মেরামত না করা এবং পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ করে বসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় বন্যার পানি ঢুকলেও তা আর বের হতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। আবাদ করতে না পারলে কী খেয়ে বাঁচব। এ চিন্তায় দিশেহারা আমরা। দ্রুত ওই এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তাঁরা।

সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসার আলী জানান, বন্যার সময় উপজেলার চাক্তাবাড়ি-ধনারচর বেড়িবাঁধের চাক্তাবাড়ি নামক এলাকায় বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়ে যাদুরচর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি, যাদুরচর নতুনগ্রাম ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি নামক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই এলাকার ৭২৫ জন কৃষকের ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমি। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতি হয় ১৯৫ হেক্টর জমির ফসল। জলাবদ্ধতা থাকায় বাকি ২৫০ হেক্টর জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। দ্রুত জলাবদ্ধতা দূরীকরণ না হলে নভেম্বর মাসে বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন হলে রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।’ জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার কৃষকদের জন্য কিছুই করার নেই বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ভুক্তভোগীদের লিখিত দরখাস্ত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত