নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুদের হার কমানো, নানা শর্ত আরোপসহ সরকারের বিদেশি ঋণের প্রবাহ বাড়ায় দেশি ঋণের বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। এতে সরকারের চড়া সুদ পরিশোধের চাপও কমেছে। প্রতি মাসেই ধারাবাহিকভাবে বিক্রি কমছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি ছিল ১৭ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে বিক্রি কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দুই কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। প্রথমত, অন্য ঋণের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি। এ জন্য বিক্রিতে লাগাম টানতে সরকার নানা শর্ত আরোপ করেছে। দ্বিতীয়ত, নিত্যপণ্যের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ জীবনযাত্রার প্রায় সব খাতেই খরচ বেড়েছে, যা মানুষের সঞ্চয়ের ওপর প্রভাব ফেলছে। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের চাহিদার প্রভাব পড়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার তো অনেক বেশি। সরকার কম সুদের অন্য উৎসের দিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই বিক্রি কমাতে সরকার নানা শর্ত বেঁধে দিয়েছে। আবার অপর দিকের চাহিদা কমছে। কারণ, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এতে সঞ্চয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় করতে না পারলে সঞ্চয়পত্র কিনবে কীভাবে?’
সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমায় সরকারের সুদ পরিশোধের চাপ কমছে। এর সুদ বাবদ প্রতিবছর বাজেটে যে পরিমাণ সাবসিডি দিতে হয়, তার পরিমাণ কিন্তু কম না। এই টাকাটা অন্য জায়গায় ব্যবহার করার সুযোগ আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সঞ্চয়পত্রের ওপর অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত নির্ভর করে। তাদের দিকটা দেখতে হবে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা কী করছে?’
টানা কয়েক মাস ধরেই কমছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে নিট বিক্রি ছিল ২ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয়েছে ২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। পরের দুই মাসে আরও কমে মার্চে ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা এবং এপ্রিলে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
দেশে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হয় সঞ্চয়পত্রকে। ঝুঁকি ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদ-আসল পাওয়া যায়। তাই সঞ্চয়পত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। বিক্রির চাপ কমাতে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে মুনাফায় উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। বিক্রিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের শর্ত আরোপ করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার।
সুদের হার কমানো, নানা শর্ত আরোপসহ সরকারের বিদেশি ঋণের প্রবাহ বাড়ায় দেশি ঋণের বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। এতে সরকারের চড়া সুদ পরিশোধের চাপও কমেছে। প্রতি মাসেই ধারাবাহিকভাবে বিক্রি কমছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি ছিল ১৭ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে বিক্রি কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দুই কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। প্রথমত, অন্য ঋণের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি। এ জন্য বিক্রিতে লাগাম টানতে সরকার নানা শর্ত আরোপ করেছে। দ্বিতীয়ত, নিত্যপণ্যের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ জীবনযাত্রার প্রায় সব খাতেই খরচ বেড়েছে, যা মানুষের সঞ্চয়ের ওপর প্রভাব ফেলছে। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের চাহিদার প্রভাব পড়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার তো অনেক বেশি। সরকার কম সুদের অন্য উৎসের দিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই বিক্রি কমাতে সরকার নানা শর্ত বেঁধে দিয়েছে। আবার অপর দিকের চাহিদা কমছে। কারণ, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এতে সঞ্চয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় করতে না পারলে সঞ্চয়পত্র কিনবে কীভাবে?’
সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমায় সরকারের সুদ পরিশোধের চাপ কমছে। এর সুদ বাবদ প্রতিবছর বাজেটে যে পরিমাণ সাবসিডি দিতে হয়, তার পরিমাণ কিন্তু কম না। এই টাকাটা অন্য জায়গায় ব্যবহার করার সুযোগ আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সঞ্চয়পত্রের ওপর অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত নির্ভর করে। তাদের দিকটা দেখতে হবে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা কী করছে?’
টানা কয়েক মাস ধরেই কমছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে নিট বিক্রি ছিল ২ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয়েছে ২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। পরের দুই মাসে আরও কমে মার্চে ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা এবং এপ্রিলে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
দেশে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হয় সঞ্চয়পত্রকে। ঝুঁকি ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদ-আসল পাওয়া যায়। তাই সঞ্চয়পত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। বিক্রির চাপ কমাতে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে মুনাফায় উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। বিক্রিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের শর্ত আরোপ করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে