বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পলাতক স্বামী হাবিবুর রহমান বুলেটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রিমান্ড শেষে পুনরায় কোর্টের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

৩১ মে স্ত্রী রাবেয়াকে (৩২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর পর থেকে বুলেট পলাতক ছিলেন।

২১ নভেম্বর বুলেটকে তাঁর নিজ বাড়ি খোর্দ্দ বলাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে বগুড়া কোর্টে পাঠানো হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর বিকেলে তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে সারিয়াকান্দি থানায় নিয়ে আসা হয়। রিমান্ড শেষে রোববার সকালে বুলেটকে পুনরায় বগুড়া কোর্টে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ বলাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান বুলেট ২০০৮ সালে বিয়ে করেন একই উপজেলা হরিণা গ্রামের রাবেয়াকে। বিয়ের পর তাঁদের ঘরে দুটি সন্তান হয়। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি ২০২০ সালে বুলেট আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রী রাবেয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই রাবেয়া হত্যার শিকার হন।

মামলার বাদী রাবেয়ার বাবা আবু বক্কর ওরফে বাক্কা বলেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ের পরই আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বুলেট। এর ধারাবাহিকতায় যৌতুক না পেয়ে চলতি বছর ৩০ মে দুপুরের দিকে তাঁর কয়েকজন সঙ্গীসহ আমার মেয়ে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হলে প্রথমে তাঁকে সারিয়াকান্দি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ৩১ মে রাত ৩টায় রাবেয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ ঘটনায় সারিয়াকান্দি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ ইউডি মামলা করার পর রাবেয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। রিপোর্টে রাবেয়ার মাথার একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করা হয়। পরে রাবেয়ার বাবা বাদী হয়ে কোর্টে হত্যা মামলা করেন।

সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লাল মিয়া বলেন, স্ত্রী মৃত্যুর পর থেকেই বুলেট পলাতক ছিল। কয়েক দিন আগে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যা করা নিয়ে তাঁর কোনো স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি।