শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলায় জলোচ্ছ্বাস থেকে চরাঞ্চলের হাজারো মহিষকে সুরক্ষা দিয়েছে আধুনিক কিল্লা। জোয়ারে উপকূলের নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হলেও রক্ষা পাচ্ছে মহিষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরই মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এলেই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় ভোলার উপকূলের শত শত মহিষ। অনেক সময় বজ্রপাত বা পানিতে ডুবেও মারা যায় এসব মহিষ। এতে লোকসানের মুখে পড়তেন বাথানিরা।
ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহসেন ও ইয়াসের প্রভাবে উপকূলে ৪-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসে মারা গেছে বহু মহিষ। এ ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে সারা বছরই অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারে প্রভাবে প্লাবিত হয় উপকূল। তখন জোয়ারে ভেসে যায় মহিষ। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। উপকূলের কিছু এলাকায় মাটির কিল্লা থাকলেও সেগুলো টেকসই না থাকায় দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায় না মহিষগুলো।
মহিষের পরিবেশগত ও টেকসই উন্নয়ন এবং মহিষের মৃত্যু ও ক্ষতি এড়াতে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত করেছে আধুনিক কিল্লা। গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে গত বছর এবং এ বছর আধুনিক সুবিধার তিনটি কিল্লা ভোলার চরচটকিমারা, ভেলুমিয়ার চন্দ্র প্রসাদ ও মাঝের চরে নির্মাণ করা হয়।
নদীর মধ্য দুর্গম চরে পাকা ভবন, বজ্রনিরোধ দণ্ড, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও সৌর বিদ্যুতায়ন সুবিধাসহ আধুনিক এই কিল্লা থাকায় প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগে এখন রক্ষা পাচ্ছে মহিষ। এখানে মহিষের চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ব্যবস্থা, বাথানিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে একদিকে যেমন মহিষ পালনে বাথানিদের আগ্রহ বেড়েছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণে সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে মহিষের খামারে। এতে বাথানিরাও দারুণ খুশি।
চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের বাথানি রেজাউল হাওলাদার জানান, তাঁর ৪০টি মহিষ রয়েছে। আগের সেসব মহিষ মাটির কিল্লায় রাখতেন; কিন্তু সে কিল্লাও পানিতে ডুবে যেত। ভেসে যেত মহিষ আবার জলাবদ্ধতায় মহিষ অসুস্থ হয়ে পড়ত। এতে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হতো। আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করায় তাদের মহিষ অনেক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত আছে।
বাথানি বাশার জানান, তাঁর ৩৫টি মহিষ থাকলেও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় সেগুলো রাখার সুব্যবস্থা ছিল না। এখন চরে আধুনিক কিল্লা থাকায় অনেকটাই নিরাপদ মহিষগুলো।
গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার সহকারী পরিচালক ডা. তরুণ কুমার পাল বলেন, ‘এমন আধুনিক কিল্লা উপকূলের সব স্থানে নির্মিত হলে বাথানিরা উপকৃত হবেন। মহিষ পালন আরও সম্প্রসারিত হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে।’
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা ভোলার তিনটি চরে আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করেছে। এতে মহিষ পালনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। এসব কিল্লা অনেকটাই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। যে কারণে দুর্যোগের সময় মহিষ ভেসে যাওয়া, রোগ-বালাইতে আক্রান্ত বা মহিষের মৃত্যু কমে যাবে।’
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় ২৫টি চরে এক লাখের বেশি মহিষ রয়েছে, যা থেকে প্রতিবছরই ১৬ হাজার টন দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে।
ভোলায় জলোচ্ছ্বাস থেকে চরাঞ্চলের হাজারো মহিষকে সুরক্ষা দিয়েছে আধুনিক কিল্লা। জোয়ারে উপকূলের নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হলেও রক্ষা পাচ্ছে মহিষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরই মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এলেই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় ভোলার উপকূলের শত শত মহিষ। অনেক সময় বজ্রপাত বা পানিতে ডুবেও মারা যায় এসব মহিষ। এতে লোকসানের মুখে পড়তেন বাথানিরা।
ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহসেন ও ইয়াসের প্রভাবে উপকূলে ৪-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসে মারা গেছে বহু মহিষ। এ ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে সারা বছরই অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারে প্রভাবে প্লাবিত হয় উপকূল। তখন জোয়ারে ভেসে যায় মহিষ। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। উপকূলের কিছু এলাকায় মাটির কিল্লা থাকলেও সেগুলো টেকসই না থাকায় দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায় না মহিষগুলো।
মহিষের পরিবেশগত ও টেকসই উন্নয়ন এবং মহিষের মৃত্যু ও ক্ষতি এড়াতে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত করেছে আধুনিক কিল্লা। গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে গত বছর এবং এ বছর আধুনিক সুবিধার তিনটি কিল্লা ভোলার চরচটকিমারা, ভেলুমিয়ার চন্দ্র প্রসাদ ও মাঝের চরে নির্মাণ করা হয়।
নদীর মধ্য দুর্গম চরে পাকা ভবন, বজ্রনিরোধ দণ্ড, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও সৌর বিদ্যুতায়ন সুবিধাসহ আধুনিক এই কিল্লা থাকায় প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগে এখন রক্ষা পাচ্ছে মহিষ। এখানে মহিষের চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ব্যবস্থা, বাথানিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে একদিকে যেমন মহিষ পালনে বাথানিদের আগ্রহ বেড়েছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণে সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে মহিষের খামারে। এতে বাথানিরাও দারুণ খুশি।
চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের বাথানি রেজাউল হাওলাদার জানান, তাঁর ৪০টি মহিষ রয়েছে। আগের সেসব মহিষ মাটির কিল্লায় রাখতেন; কিন্তু সে কিল্লাও পানিতে ডুবে যেত। ভেসে যেত মহিষ আবার জলাবদ্ধতায় মহিষ অসুস্থ হয়ে পড়ত। এতে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হতো। আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করায় তাদের মহিষ অনেক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত আছে।
বাথানি বাশার জানান, তাঁর ৩৫টি মহিষ থাকলেও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় সেগুলো রাখার সুব্যবস্থা ছিল না। এখন চরে আধুনিক কিল্লা থাকায় অনেকটাই নিরাপদ মহিষগুলো।
গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার সহকারী পরিচালক ডা. তরুণ কুমার পাল বলেন, ‘এমন আধুনিক কিল্লা উপকূলের সব স্থানে নির্মিত হলে বাথানিরা উপকৃত হবেন। মহিষ পালন আরও সম্প্রসারিত হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে।’
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা ভোলার তিনটি চরে আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করেছে। এতে মহিষ পালনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। এসব কিল্লা অনেকটাই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। যে কারণে দুর্যোগের সময় মহিষ ভেসে যাওয়া, রোগ-বালাইতে আক্রান্ত বা মহিষের মৃত্যু কমে যাবে।’
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় ২৫টি চরে এক লাখের বেশি মহিষ রয়েছে, যা থেকে প্রতিবছরই ১৬ হাজার টন দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪