কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪৮ নম্বর মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ দশমিক ৩৮ একর জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর এভাবে বেদখল থাকলেও উদ্ধারের উদ্যোগ নেই। অভিযোগ রয়েছে স্কুলের জমি দখল করে ২০টি পরিবার বসবাস করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, স্কুলের জমিতে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করছেন বেলায়েতের ছেলে জহিরুল ইসলাম ও মা মাজেদা বেগম। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পাউবো বেড়িবাঁধের উন্নয়নকাজ চলছে। কিন্তু পাউবোর নতুন বেড়িবাঁধটি সম্পূর্ণ স্কুলের জমির ওপর দিয়ে গেছে। ৪৮ নম্বর পোল্ডারের আওতাভুক্ত পাউবো বেড়িবাঁধের দুই পাশে স্কুলের জমি। এসএ ও বিএস নকশানুযায়ী বেড়িবাঁধের ঢাল বাদে পুরোটাই স্কুলের জমির সীমানা। অথচ স্কুলের জমিতে কেউ পুকুর খনন করেছেন, কেউ করেছেন গভীর নলকূপ স্থাপন।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেএল ৩৪ নম্বর লতাচাপলী মৌজার এসএ ৬২৯ নম্বর খতিয়ানে ৪৮ নম্বর মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে ১৪ দশমিক ৩৮ একর জমি রেকর্ডভুক্ত আছে। বেদখল হওয়ার কারণে বর্তমান বিএস জরিপে জেএল ৬০ নম্বর লতাচাপলী মৌজার বিএস ২ নম্বর খতিয়ানে ১২৫৮, ১২৫৯, ১২৬০, ১২৬১, ১৩৪৭, ২০১৯, ২০২০, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪, ২০২৫, ২০৭৬, ২০৭৮ নম্বর দাগগুলোতে ৯ দশমিক ৮৯ একর জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। বাকি ৪ দশমিক ৪৯ একর জমি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে রেকর্ড হয়েছে। এদিকে বিদ্যালয়ের নামে বিএস জরিপে ৯ দশমিক ৮৯ একর জমির রেকর্ড বিদ্যমান থাকলেও স্কুলের দখলে আছে মাত্র ৪ একর; বাকি ৫ দশমিক ৮৯ একর স্থানীয় বাসিন্দারা দখলে নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ ও পুকুর খনন করে ভোগদখল করছেন।
স্কুলের জমিতে বসবাসকারী দখলদাররা হলেন পনু, বেলায়েত, জাফর, জমিরুল, শহিদুল ইসলাম, মহসীন, হুমায়ুন, হাবিব, জামাল, সোহাগ, মানিক, নাসির, ইউনুচ, মহিমা, খাদিজা, আ. আজিজ, নুরু আকন, বেল্লাল হোসেন, আবুল কালাম, আ. জলিল হাওলাদার।
স্কুলের জমিতে বসবাসকারী আ. জলিল বলেন, ‘আমরা প্রথমে খাসজমি ভেবে বসবাস শুরু করি। পরে শুনেছি স্কুলের জমি। এখন স্কুল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমি মেনে নেব।’
আরেক দখলদার মহসীন বলেন, ‘আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধের খাসজমিতে বসবাস করছি। স্কুলের জমি তা আমার জানা নেই।’
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অনেক বছর ধরে স্কুলের জমি স্থানীয় বাসিন্দারা অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করছেন। তাঁদের কাছে কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তাঁরা স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে যাচ্ছেন না। অবৈধ দখলদারদের আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে। আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ শুরু করেছি।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার বলেন, ‘স্কুলটির নামে এত জমি আছে তা জানা ছিল না। আমি সম্প্রতি বিষয়টি জেনেছি। স্কুল পরিচালনা কমিটিকে জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে বলছি। জমি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তারপরও সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে আবেদন করলে সরেজমিন পরিমাপপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪৮ নম্বর মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ দশমিক ৩৮ একর জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর এভাবে বেদখল থাকলেও উদ্ধারের উদ্যোগ নেই। অভিযোগ রয়েছে স্কুলের জমি দখল করে ২০টি পরিবার বসবাস করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, স্কুলের জমিতে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করছেন বেলায়েতের ছেলে জহিরুল ইসলাম ও মা মাজেদা বেগম। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পাউবো বেড়িবাঁধের উন্নয়নকাজ চলছে। কিন্তু পাউবোর নতুন বেড়িবাঁধটি সম্পূর্ণ স্কুলের জমির ওপর দিয়ে গেছে। ৪৮ নম্বর পোল্ডারের আওতাভুক্ত পাউবো বেড়িবাঁধের দুই পাশে স্কুলের জমি। এসএ ও বিএস নকশানুযায়ী বেড়িবাঁধের ঢাল বাদে পুরোটাই স্কুলের জমির সীমানা। অথচ স্কুলের জমিতে কেউ পুকুর খনন করেছেন, কেউ করেছেন গভীর নলকূপ স্থাপন।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেএল ৩৪ নম্বর লতাচাপলী মৌজার এসএ ৬২৯ নম্বর খতিয়ানে ৪৮ নম্বর মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে ১৪ দশমিক ৩৮ একর জমি রেকর্ডভুক্ত আছে। বেদখল হওয়ার কারণে বর্তমান বিএস জরিপে জেএল ৬০ নম্বর লতাচাপলী মৌজার বিএস ২ নম্বর খতিয়ানে ১২৫৮, ১২৫৯, ১২৬০, ১২৬১, ১৩৪৭, ২০১৯, ২০২০, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪, ২০২৫, ২০৭৬, ২০৭৮ নম্বর দাগগুলোতে ৯ দশমিক ৮৯ একর জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। বাকি ৪ দশমিক ৪৯ একর জমি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে রেকর্ড হয়েছে। এদিকে বিদ্যালয়ের নামে বিএস জরিপে ৯ দশমিক ৮৯ একর জমির রেকর্ড বিদ্যমান থাকলেও স্কুলের দখলে আছে মাত্র ৪ একর; বাকি ৫ দশমিক ৮৯ একর স্থানীয় বাসিন্দারা দখলে নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ ও পুকুর খনন করে ভোগদখল করছেন।
স্কুলের জমিতে বসবাসকারী দখলদাররা হলেন পনু, বেলায়েত, জাফর, জমিরুল, শহিদুল ইসলাম, মহসীন, হুমায়ুন, হাবিব, জামাল, সোহাগ, মানিক, নাসির, ইউনুচ, মহিমা, খাদিজা, আ. আজিজ, নুরু আকন, বেল্লাল হোসেন, আবুল কালাম, আ. জলিল হাওলাদার।
স্কুলের জমিতে বসবাসকারী আ. জলিল বলেন, ‘আমরা প্রথমে খাসজমি ভেবে বসবাস শুরু করি। পরে শুনেছি স্কুলের জমি। এখন স্কুল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমি মেনে নেব।’
আরেক দখলদার মহসীন বলেন, ‘আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধের খাসজমিতে বসবাস করছি। স্কুলের জমি তা আমার জানা নেই।’
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অনেক বছর ধরে স্কুলের জমি স্থানীয় বাসিন্দারা অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করছেন। তাঁদের কাছে কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তাঁরা স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে যাচ্ছেন না। অবৈধ দখলদারদের আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে। আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ শুরু করেছি।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার বলেন, ‘স্কুলটির নামে এত জমি আছে তা জানা ছিল না। আমি সম্প্রতি বিষয়টি জেনেছি। স্কুল পরিচালনা কমিটিকে জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে বলছি। জমি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তারপরও সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে আবেদন করলে সরেজমিন পরিমাপপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৮ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে