খায়রুল বাসার নির্ঝর
কঙ্কণ দাসী নেতিবাচক চরিত্র। আপনি নাকি নিজেই চরিত্রটি নির্মাতার কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন?
‘কাজলরেখা’ তো রূপকথা। ছোটবেলা থেকে নানা রূপকথা পড়ে বড় হয়েছি। এসবের প্রতি আমার বেশ টান রয়েছে। দুই বছর আগে সেলিম ভাই আমাকে প্রথম ‘কাজলরেখা’র স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনান। তখনো ঠিক হয়নি, কে কোন চরিত্র করবেন। গল্পটা শোনার পরে সেলিম ভাই বললেন, কেমন লাগল? প্রথম দিনই তাঁকে বলেছিলাম, কঙ্কণ দাসীর চরিত্রটি আমার অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
প্রধান চরিত্র রেখে অন্য চরিত্র পছন্দের কারণ কী?
প্রথমত, আমাদের আশপাশে যেসব সিনেমা হয়, সেখানে প্রটাগনিস্ট অ্যান্টাগনিস্ট সব পুরুষ থাকে। ‘কাজলরেখা’ সিনেমায়
নায়ক কিংবা ভিলেন দুটোই নারী। এটা এই গল্পের খুব একটা ইন্টারেস্টিং দিক আমার মনে হয়েছে। মূল চরিত্রে আমি অনেকবারই অভিনয় করেছি। এখন এমন কিছু করতে চাই, যে রকম চরিত্রে আমাকে কেউ ভাববে না বা আমাকে কেউ দেখেনি এর আগে। সে জায়গা থেকেই মনে হয়েছে, একটা সিনেমার প্রধান ভিলেন চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে আমার জন্য।
নতুন কিছু করতে চান—আপনার কাছে নতুন কিছু মানেক কী? এটা কি শুধু গেটআপের ভিন্নতা? নাকি আরও কিছু?
যেমন ‘মায়া’ সিনেমার গেটআপের কথাই যদি বলি, এ রকম আমি তো করিনি আগে। আগে হয়তো হয়েছে অনেক, কিন্তু মিথিলাকে এমন চরিত্রে কেউ কখনো দেখেনি আগে, কল্পনাও করেনি। আমি তো জানি আমাকে কী চরিত্র অফার করা হয় সব সময়। এ কারণে আমার জন্য এটা নতুন ধরনের চরিত্র। একেবারে আউট অব দ্য ব্লু তো হতে পারে না, কারণ চরিত্র তো সমাজের ভেতর থেকেই উঠে আসে।
বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের কলকাতায় গিয়ে কাজ করা, এটিকে কি আপনার কাছে বিশেষ কিছু মনে হয়? নাকি এমন মনে হয় যে, শিল্পী তো সবখানেই কাজ করতে পারে?
আমার কাছে সে রকমই মনে হয়। শিল্পী তো শিল্পীই। বাংলাদেশ, কলকাতা, বলিউড, লন্ডন—সবখানেই শিল্পী কাজ করতে পারবে। শিল্পীর জন্য কাজের জায়গা বিস্তৃত হওয়া উচিত। তবে একটা বিষয় হয় যে, বড় ইন্ডাস্ট্রি, বেশি মানুষ জানবে, চিনবে সেটা হতে পারে। যেমন—শুধু বাংলাদেশে কাজ করছিলাম, এখন দুই বাংলাতেই করছি, বড় ইন্ডাস্ট্রি। এ ছাড়া অভিনেত্রী হিসেবে আমার অন্য কোনো ভ্যালু অ্যাড হয় বলে আমি মনে করি না।
কলকাতায় কাজ করাটা কি আমাদের শিল্পীরা প্রমোশন হিসেবে দেখেন?
সহজ কথায়, কলকাতায় অভিনয় করাটাকে আমি প্রমোশন হিসেবে দেখি না। ধরেন আমি ম্যানেজার থেকে সিনিয়র ম্যানেজার হলাম, কলকাতায় কাজ করাটা ওই রকম কোনো প্রমোশন না। তবে এটা ঠিক যে, আরও বেশি মানুষ যদি আমার কাজ দেখতে পায়, সেটা ভালো লাগার একটি বিষয়।
ঢাকা ও কলকাতা মিলিয়ে অনেকগুলো সিনেমা এখন আপনার হাতে। অভিনয় নিয়ে আপনার আগামীর পরিকল্পনা কী? সিনেমাই করবেন নিয়মিত?
যদি চাইতাম তাহলে কিন্তু অনেক আগেই সিনেমা করতে পারতাম। কিন্তু তখন আমার বাচ্চা ছোট, একটা ফুলটাইম জব করছি—সময় কিছু বের করতে পারলেও সেই সময়টা পরিবার ও বাচ্চাকে দেওয়া খুব জরুরি ছিল। এখনো আমি সিনেমার অফার পেলে অনেক চিন্তাভাবনা করি, কতটুকু সময় দিতে পারব। অভিনয় নিয়ে যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে বা আমি নিজেকে যে খুব ভালো আহামরি অভিনেত্রী মনে করি, সেটাও না। অভিনেত্রী হিসেবে আমি খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী নই।
কঙ্কণ দাসী নেতিবাচক চরিত্র। আপনি নাকি নিজেই চরিত্রটি নির্মাতার কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন?
‘কাজলরেখা’ তো রূপকথা। ছোটবেলা থেকে নানা রূপকথা পড়ে বড় হয়েছি। এসবের প্রতি আমার বেশ টান রয়েছে। দুই বছর আগে সেলিম ভাই আমাকে প্রথম ‘কাজলরেখা’র স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনান। তখনো ঠিক হয়নি, কে কোন চরিত্র করবেন। গল্পটা শোনার পরে সেলিম ভাই বললেন, কেমন লাগল? প্রথম দিনই তাঁকে বলেছিলাম, কঙ্কণ দাসীর চরিত্রটি আমার অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
প্রধান চরিত্র রেখে অন্য চরিত্র পছন্দের কারণ কী?
প্রথমত, আমাদের আশপাশে যেসব সিনেমা হয়, সেখানে প্রটাগনিস্ট অ্যান্টাগনিস্ট সব পুরুষ থাকে। ‘কাজলরেখা’ সিনেমায়
নায়ক কিংবা ভিলেন দুটোই নারী। এটা এই গল্পের খুব একটা ইন্টারেস্টিং দিক আমার মনে হয়েছে। মূল চরিত্রে আমি অনেকবারই অভিনয় করেছি। এখন এমন কিছু করতে চাই, যে রকম চরিত্রে আমাকে কেউ ভাববে না বা আমাকে কেউ দেখেনি এর আগে। সে জায়গা থেকেই মনে হয়েছে, একটা সিনেমার প্রধান ভিলেন চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে আমার জন্য।
নতুন কিছু করতে চান—আপনার কাছে নতুন কিছু মানেক কী? এটা কি শুধু গেটআপের ভিন্নতা? নাকি আরও কিছু?
যেমন ‘মায়া’ সিনেমার গেটআপের কথাই যদি বলি, এ রকম আমি তো করিনি আগে। আগে হয়তো হয়েছে অনেক, কিন্তু মিথিলাকে এমন চরিত্রে কেউ কখনো দেখেনি আগে, কল্পনাও করেনি। আমি তো জানি আমাকে কী চরিত্র অফার করা হয় সব সময়। এ কারণে আমার জন্য এটা নতুন ধরনের চরিত্র। একেবারে আউট অব দ্য ব্লু তো হতে পারে না, কারণ চরিত্র তো সমাজের ভেতর থেকেই উঠে আসে।
বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের কলকাতায় গিয়ে কাজ করা, এটিকে কি আপনার কাছে বিশেষ কিছু মনে হয়? নাকি এমন মনে হয় যে, শিল্পী তো সবখানেই কাজ করতে পারে?
আমার কাছে সে রকমই মনে হয়। শিল্পী তো শিল্পীই। বাংলাদেশ, কলকাতা, বলিউড, লন্ডন—সবখানেই শিল্পী কাজ করতে পারবে। শিল্পীর জন্য কাজের জায়গা বিস্তৃত হওয়া উচিত। তবে একটা বিষয় হয় যে, বড় ইন্ডাস্ট্রি, বেশি মানুষ জানবে, চিনবে সেটা হতে পারে। যেমন—শুধু বাংলাদেশে কাজ করছিলাম, এখন দুই বাংলাতেই করছি, বড় ইন্ডাস্ট্রি। এ ছাড়া অভিনেত্রী হিসেবে আমার অন্য কোনো ভ্যালু অ্যাড হয় বলে আমি মনে করি না।
কলকাতায় কাজ করাটা কি আমাদের শিল্পীরা প্রমোশন হিসেবে দেখেন?
সহজ কথায়, কলকাতায় অভিনয় করাটাকে আমি প্রমোশন হিসেবে দেখি না। ধরেন আমি ম্যানেজার থেকে সিনিয়র ম্যানেজার হলাম, কলকাতায় কাজ করাটা ওই রকম কোনো প্রমোশন না। তবে এটা ঠিক যে, আরও বেশি মানুষ যদি আমার কাজ দেখতে পায়, সেটা ভালো লাগার একটি বিষয়।
ঢাকা ও কলকাতা মিলিয়ে অনেকগুলো সিনেমা এখন আপনার হাতে। অভিনয় নিয়ে আপনার আগামীর পরিকল্পনা কী? সিনেমাই করবেন নিয়মিত?
যদি চাইতাম তাহলে কিন্তু অনেক আগেই সিনেমা করতে পারতাম। কিন্তু তখন আমার বাচ্চা ছোট, একটা ফুলটাইম জব করছি—সময় কিছু বের করতে পারলেও সেই সময়টা পরিবার ও বাচ্চাকে দেওয়া খুব জরুরি ছিল। এখনো আমি সিনেমার অফার পেলে অনেক চিন্তাভাবনা করি, কতটুকু সময় দিতে পারব। অভিনয় নিয়ে যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে বা আমি নিজেকে যে খুব ভালো আহামরি অভিনেত্রী মনে করি, সেটাও না। অভিনেত্রী হিসেবে আমি খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী নই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে