সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া
তীব্র খরা, লোডশেডিং, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লোকসানের শঙ্কা মাথায় নিয়েই আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চাষিরা। বৃষ্টিনির্ভর আমন চাষ এবার পুরোপুরি সেচের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তা ছাড়া খরার কারণে জমিতে বাড়তি সারও ব্যবহার করতে হচ্ছে। হালচাষ, শ্রমিক মজুরি, সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে আমনচাষিরা দিশেহারা। তবে এসবের মধ্যেই অনেকটা নিরুপায় হয়ে তাঁরা আমন চাষ করছেন বলে জানা গেছে।
তীব্র খরা এবং সার-ডিজেলসহ সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার কম জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি অর্থবছরে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং তীব্র খরার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। একদিকে সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি অপরদিকে তীব্র খরার কারণে কৃষকদের খরচ বেড়েছে।
আগে আমনের মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হতো, এ কারণে কৃষকের সেচের প্রয়োজন হতো না। সারও লাগত না। কিন্তু এ বছর তীব্র খরার কারণে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। ডিজেলের মূল্য বাড়ার কারণে সেচে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এ জন্য অনেক চাষি আমন চাষের পরিবর্তে সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষক ও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, পাকুন্দিয়ায় দেরিতে আউশ ধানের আবাদ করার কারণেও অনেক চাষি এবার আমন চাষ করছেন না। এ উপজেলায় আমনের চাষ শেষ হতে এখনো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র খরার কারণে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। সারও ব্যবহার করতে হচ্ছে। সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লোকসানের শঙ্কা নিয়েই আমন রোপণ করতে হচ্ছে তাঁদের। আমন ধান চাষে আগে যে খরচ হতো তার চেয়ে তিনগুণ বেশি খরচে এবার আমন চাষ করতে হচ্ছে। হাল চাষ, সেচ, চারা, সার ও শ্রমিক খরচ সবই আগের চেয়ে বেশি। বাড়তি খরচ আর শ্রম দিয়ে যে ধান পাওয়া যাবে তাতে খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তাঁরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই চারা রোপণে ব্যস্ত। অনেকেই আবার শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। পানির অভাবে অনেকের জমিই ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
সৈয়দগাঁও গ্রামের চাষি আবদুল কদ্দুছ জানান, তিনি এ বছর ৭৫ শতক জমিতে আমন চাষ করেছেন। এর আগে কখনোই সেচ ও সার লাগেনি। এবার খরার কারণে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬০০ টাকার সেচ ও ১ হাজার ৪০০ টাকার সার লেগেছে। ৩০০ টাকায় কানি যে জমি চাষ হয়েছিল এবার তা লেগেছে ৫০০ টাকা।
৫০০ টাকার চারা কিনতে হয়েছে হাজার টাকায়। গতবার যেখানে চারা রোপণে শ্রমিকের মজুরি দিয়েছিলাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবার দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা। আমন আবাদে এবার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশ খরচ লেগেছে।
একই গ্রামের আল-আমিন মিয়া বলেন, চারা রোপণের পর খরায় জমি ফেটে যাচ্ছে। আরও কয়েক দফা সেচ লাগবে। আগামী দিনে আমন চাষ করব কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।
চরপাকুন্দিয়া গ্রামের সুরুজ আলী ও মহব্বত মিয়া জানান, নিজেদের খাবারের চালের জোগান দিতে বাধ্য হয়েই আমন চাষ করতে হচ্ছে তাঁদের।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূরে-ই-আলম বলেন, তীব্র খরা এবং সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে বাজারে যেন সারের কৃত্রিম সংকট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষায় কৃষকদের পর্যাপ্ত পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তীব্র খরা, লোডশেডিং, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লোকসানের শঙ্কা মাথায় নিয়েই আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চাষিরা। বৃষ্টিনির্ভর আমন চাষ এবার পুরোপুরি সেচের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তা ছাড়া খরার কারণে জমিতে বাড়তি সারও ব্যবহার করতে হচ্ছে। হালচাষ, শ্রমিক মজুরি, সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে আমনচাষিরা দিশেহারা। তবে এসবের মধ্যেই অনেকটা নিরুপায় হয়ে তাঁরা আমন চাষ করছেন বলে জানা গেছে।
তীব্র খরা এবং সার-ডিজেলসহ সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার কম জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি অর্থবছরে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং তীব্র খরার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। একদিকে সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি অপরদিকে তীব্র খরার কারণে কৃষকদের খরচ বেড়েছে।
আগে আমনের মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হতো, এ কারণে কৃষকের সেচের প্রয়োজন হতো না। সারও লাগত না। কিন্তু এ বছর তীব্র খরার কারণে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। ডিজেলের মূল্য বাড়ার কারণে সেচে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এ জন্য অনেক চাষি আমন চাষের পরিবর্তে সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষক ও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, পাকুন্দিয়ায় দেরিতে আউশ ধানের আবাদ করার কারণেও অনেক চাষি এবার আমন চাষ করছেন না। এ উপজেলায় আমনের চাষ শেষ হতে এখনো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র খরার কারণে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। সারও ব্যবহার করতে হচ্ছে। সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লোকসানের শঙ্কা নিয়েই আমন রোপণ করতে হচ্ছে তাঁদের। আমন ধান চাষে আগে যে খরচ হতো তার চেয়ে তিনগুণ বেশি খরচে এবার আমন চাষ করতে হচ্ছে। হাল চাষ, সেচ, চারা, সার ও শ্রমিক খরচ সবই আগের চেয়ে বেশি। বাড়তি খরচ আর শ্রম দিয়ে যে ধান পাওয়া যাবে তাতে খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তাঁরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই চারা রোপণে ব্যস্ত। অনেকেই আবার শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। পানির অভাবে অনেকের জমিই ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
সৈয়দগাঁও গ্রামের চাষি আবদুল কদ্দুছ জানান, তিনি এ বছর ৭৫ শতক জমিতে আমন চাষ করেছেন। এর আগে কখনোই সেচ ও সার লাগেনি। এবার খরার কারণে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬০০ টাকার সেচ ও ১ হাজার ৪০০ টাকার সার লেগেছে। ৩০০ টাকায় কানি যে জমি চাষ হয়েছিল এবার তা লেগেছে ৫০০ টাকা।
৫০০ টাকার চারা কিনতে হয়েছে হাজার টাকায়। গতবার যেখানে চারা রোপণে শ্রমিকের মজুরি দিয়েছিলাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবার দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা। আমন আবাদে এবার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশ খরচ লেগেছে।
একই গ্রামের আল-আমিন মিয়া বলেন, চারা রোপণের পর খরায় জমি ফেটে যাচ্ছে। আরও কয়েক দফা সেচ লাগবে। আগামী দিনে আমন চাষ করব কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।
চরপাকুন্দিয়া গ্রামের সুরুজ আলী ও মহব্বত মিয়া জানান, নিজেদের খাবারের চালের জোগান দিতে বাধ্য হয়েই আমন চাষ করতে হচ্ছে তাঁদের।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূরে-ই-আলম বলেন, তীব্র খরা এবং সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে বাজারে যেন সারের কৃত্রিম সংকট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষায় কৃষকদের পর্যাপ্ত পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে