রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
ভাগ্য ফেরাতে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ডালিম আজাদ। ২০১৮ সালে চলে আসেন দেশে। শুরু করেন নিজ জমিতে ফলের চাষ। কিন্তু তখন দেখা মেলেনি সাফল্যের। পরে ২০২০ সালে শুরু করেন মিশ্র বিদেশি জাতের ফল চাষ।
বর্তমানে ডালিম আজাদের চার বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে মাল্টা, দার্জিলিং কমলা, থাই পেয়ারা, আঙুর ও বিচিহীন লেবুর। আগেরবার সাফল্যের মুখ দেখতে না পারলেও, এবার সাফল্যের হাতছানি দেখছেন ডালিম আজাদ। তাঁর আশা, এ বছরেই অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে তাঁর বাগান থেকে।
ডালিম বলেন, দেশে ফিরে শুরু করি দেশি ফলের চাষাবাদ। কিন্তু লাভের মুখ দেখতে পারিনি। পরে নিজের চার বিঘা জমিতে মিশ্র বিদেশি ফলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নিই। শুরু করি চারার সন্ধান। ২০২০ সালে চারার সন্ধান পাই যশোরের মনিরামপুরে। সেখান থেকে কিনি ৩০০টি দার্জিলিং কমলা, ৩০০টি বারি-১ জাতের মাল্টা ও ৯টি আঙুরের চারা। প্রতিটি চারার দাম পড়ে ১৪০ টাকা করে। আর নরসিংদী থেকে ১৪০টি বিচিহীন লেবুর চারা সংগ্রহ করি। দাম পড়েছিল প্রতিটির ৭৫ টাকা করে। ৬০০টি পেয়ারার চারা সংগ্রহ করি মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টার থেকে।
ডালিম জানান, ২০১৯ সালে উজলপুর গ্রামের মাঠে ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেন এসব ফলের চারা। শুধুমাত্র চারাতে খরচ হয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর চাষাবাদ ও ২য় বছরে ফল আসা পর্যন্ত জমিতে খরচ হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রথম বছর গাছে ফুল আসলেও ভেঙে দেন। যাতে গাছ শক্তি পায়। পরের বছরে ভালো ফলন হয়। ২০২১ বছর ফুল থেকে অল্প পরিমাণ ফল সংগ্রহ করেন। শুধুমাত্র পেয়ারা, ভাতে খাওয়া লেবু ও অল্প কিছু মাল্টা বিক্রি করে আয় করেন দেড় লাখ টাকা। এ জমি থেকে ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা
করছেন তিনি।
ডালিম আজাদ বলেন, ‘এখন ফল সংগ্রহের পাশাপাশি গ্রাপটিং করে চারা উৎপাদন করে চাষিদের কাছে বিক্রির চিন্তা করছি। এ ছাড়া বিদেশি ফল হওয়ায় মাল্টা ও দার্জিলিং কমলা বাগানে মাঝে মাঝে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। তখন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করি। তবে এবার প্রচণ্ড খরতাপে বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাপমাত্রা কমে গেলে গাছ থেকে ভালো ফলন পাব, আশা করছি।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভিন বলেন, ‘জেলায় এবার ১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন বিদেশি জাতের ফলের বাগান হয়েছে। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় ও প্রচণ্ড খরতাপে বিদেশি ফল চাষে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ভাগ্য ফেরাতে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ডালিম আজাদ। ২০১৮ সালে চলে আসেন দেশে। শুরু করেন নিজ জমিতে ফলের চাষ। কিন্তু তখন দেখা মেলেনি সাফল্যের। পরে ২০২০ সালে শুরু করেন মিশ্র বিদেশি জাতের ফল চাষ।
বর্তমানে ডালিম আজাদের চার বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে মাল্টা, দার্জিলিং কমলা, থাই পেয়ারা, আঙুর ও বিচিহীন লেবুর। আগেরবার সাফল্যের মুখ দেখতে না পারলেও, এবার সাফল্যের হাতছানি দেখছেন ডালিম আজাদ। তাঁর আশা, এ বছরেই অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে তাঁর বাগান থেকে।
ডালিম বলেন, দেশে ফিরে শুরু করি দেশি ফলের চাষাবাদ। কিন্তু লাভের মুখ দেখতে পারিনি। পরে নিজের চার বিঘা জমিতে মিশ্র বিদেশি ফলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নিই। শুরু করি চারার সন্ধান। ২০২০ সালে চারার সন্ধান পাই যশোরের মনিরামপুরে। সেখান থেকে কিনি ৩০০টি দার্জিলিং কমলা, ৩০০টি বারি-১ জাতের মাল্টা ও ৯টি আঙুরের চারা। প্রতিটি চারার দাম পড়ে ১৪০ টাকা করে। আর নরসিংদী থেকে ১৪০টি বিচিহীন লেবুর চারা সংগ্রহ করি। দাম পড়েছিল প্রতিটির ৭৫ টাকা করে। ৬০০টি পেয়ারার চারা সংগ্রহ করি মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টার থেকে।
ডালিম জানান, ২০১৯ সালে উজলপুর গ্রামের মাঠে ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেন এসব ফলের চারা। শুধুমাত্র চারাতে খরচ হয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর চাষাবাদ ও ২য় বছরে ফল আসা পর্যন্ত জমিতে খরচ হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রথম বছর গাছে ফুল আসলেও ভেঙে দেন। যাতে গাছ শক্তি পায়। পরের বছরে ভালো ফলন হয়। ২০২১ বছর ফুল থেকে অল্প পরিমাণ ফল সংগ্রহ করেন। শুধুমাত্র পেয়ারা, ভাতে খাওয়া লেবু ও অল্প কিছু মাল্টা বিক্রি করে আয় করেন দেড় লাখ টাকা। এ জমি থেকে ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা
করছেন তিনি।
ডালিম আজাদ বলেন, ‘এখন ফল সংগ্রহের পাশাপাশি গ্রাপটিং করে চারা উৎপাদন করে চাষিদের কাছে বিক্রির চিন্তা করছি। এ ছাড়া বিদেশি ফল হওয়ায় মাল্টা ও দার্জিলিং কমলা বাগানে মাঝে মাঝে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। তখন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করি। তবে এবার প্রচণ্ড খরতাপে বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাপমাত্রা কমে গেলে গাছ থেকে ভালো ফলন পাব, আশা করছি।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভিন বলেন, ‘জেলায় এবার ১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন বিদেশি জাতের ফলের বাগান হয়েছে। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় ও প্রচণ্ড খরতাপে বিদেশি ফল চাষে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে