তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
দেশের যেসব জায়গায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নেই, সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে একটি কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বিধান আছে। প্রস্তাবিত সেই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন জেলা প্রশাসক। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার থাকছেন সদস্য হিসেবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে। সব ঠিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সভায় বিশেষ এলাকার বাইরে স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি কমিটিকে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। ৯ সদস্যের প্রস্তাবিত বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন বা ভবন নির্মাণ (বিসি) কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারকেও সদস্য হিসেবে রাখার সুপারিশ করা হয়।
এই কমিটির বিষয়ে জানতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসিকে সভাপতি মনোনীত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এবং এসপিকে সদস্য মনোনীত করতে জননিরাপত্তা বিভাগে সুপারিশ পাঠিয়েছি। জেলা পর্যায়ে ডিসির সভাপতিত্বে ৯ সদস্যের এ কমিটি নকশা অনুমোদন করবে। এতে টেকনিক্যাল কর্মকর্তাও আছেন।’
দীর্ঘসূত্রতা ও জনভোগান্তি বাড়বে
নগর-পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলীদের মতে, কারিগরি দক্ষতা-অভিজ্ঞতাহীন ডিসি- এসপিদের এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়ায় কাজে দীর্ঘসূত্রতা ও জনভোগান্তি বাড়বে। তাঁদের দাবি, নকশা অনুমোদনের মতো কারিগরি কাজের জন্য এ ধরনের কমিটি গঠন বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তবে একাধিক জেলা প্রশাসক মনে করেন, তাঁদের সভাপতির দায়িত্বে রাখার ফলে নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে এবং অনিয়ম রোধ হবে।
এ বিষয়ে নগর-পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে নকশা কারা অনুমোদন করবে, কারা তৈরি করবে—এসব বিস্তারিত বলা আছে বিএনবিসিতে। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ) গঠন করার কথা। সেই কমিটি পেশাদার ও কারিগরি লোকজন দিয়ে নকশা প্রণয়নকারীদের তালিকাভুক্ত করাসহ এ-সংক্রান্ত কাজগুলো করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিল্ডিং অ্যাক্ট ১৯৫৩ অনুযায়ী, নকশা অনুমোদন করবেন অথরাইজড অফিসার। অথরাইজড অফিসারের ক্ষমতা এখন কাকে দেবে, তা সরকার নির্ধারণ করবে। এসব না করে যদি ডিসি-এসপির কমিটিকে নকশা অনুমোদনের ক্ষমতা দিয়ে কোনো মন্ত্রণালয় অফিস আদেশ জারি করে, তবে তা হবে আইনের চোখে অবৈধ।’
২০২০ সালের বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ভবন নির্মাণ কমিটিতে ‘বিল্ডিং অফিশিয়াল’ ছাড়াও চারজন সদস্য থাকবেন। সদস্য হিসেবে থাকবেন একজন স্থপতি, একজন পুর প্রকৌশলী, একজন নগর-পরিকল্পনাবিদ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার একজন প্রতিনিধি। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন ‘বিল্ডিং অফিশিয়াল’। ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘বিল্ডিং অফিশিয়াল’-এর যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাকে হতে হবে অন্তত একজন স্থপতি, পুর প্রকৌশলী কিংবা নগর-পরিকল্পনাবিদ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) নবনির্বাচিত সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নকশার কাজে ডিসি-এসপিদের সম্পৃক্ত করা হলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।’
মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ থেকে জানা যায়, প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্যসচিব হবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। সদস্য হিসেবে থাকছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদপ্তর বা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভার প্রতিনিধি, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা বা ইউনিয়নের প্রতিনিধি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।
জানা যায়, ২ মে এ-সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মো. হামিদুল হক জানান, জেলা প্রশাসককে সভাপতি আর পুলিশ সুপারকে সদস্য করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও বিশেষ প্রকল্প) মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নকশা, কাঠামোগত, স্থাপত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথ মানের ভিত্তিতে যাতে সঠিকভাবে ইমারত নির্মাণ করা হয়, সে বিবেচনায় প্রস্তাবিত কমিটি গঠন বা পুনর্গঠনের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি হয়নি।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নকশা অনুমোদনের জন্য আমাদের আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা কাজও করে যাচ্ছি। তবে তা খুব বড় আকারে নয়। এ ক্ষেত্রে আমরা টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই সব বোঝার চেষ্টা করি।’ তিনি মনে করেন, কাজের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলার জন্যই মূলত সরকার জেলা প্রশাসনকে এ দায়িত্ব দিয়েছে।
‘যার কাজ তাকে দিয়েই করানো উচিত’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যার কাজ তাকে দিয়েই করানো উচিত। জেলা পর্যায়ে ডিসি-এসপির অনেক কাজ আছে। তারা এমনিতেই বহু কমিটির সভাপতি। সেখানে এ ধরনের নন-টেকনিক্যাল লোকজন দিয়ে কেন নকশা অনুমোদনের মতো কাজ করাতে হবে? দেশের বড় বড় স্থাপনা তো প্রকৌশলীরা দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। সেখানে যদি সমস্যা না হয়, তাহলে ইমারত নির্মাণের অনুমোদনের কাজটিও নিশ্চয় প্রকৌশলীরা করতে পারবেন।’
দেশের যেসব জায়গায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নেই, সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে একটি কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বিধান আছে। প্রস্তাবিত সেই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন জেলা প্রশাসক। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার থাকছেন সদস্য হিসেবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে। সব ঠিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সভায় বিশেষ এলাকার বাইরে স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি কমিটিকে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। ৯ সদস্যের প্রস্তাবিত বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন বা ভবন নির্মাণ (বিসি) কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারকেও সদস্য হিসেবে রাখার সুপারিশ করা হয়।
এই কমিটির বিষয়ে জানতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসিকে সভাপতি মনোনীত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এবং এসপিকে সদস্য মনোনীত করতে জননিরাপত্তা বিভাগে সুপারিশ পাঠিয়েছি। জেলা পর্যায়ে ডিসির সভাপতিত্বে ৯ সদস্যের এ কমিটি নকশা অনুমোদন করবে। এতে টেকনিক্যাল কর্মকর্তাও আছেন।’
দীর্ঘসূত্রতা ও জনভোগান্তি বাড়বে
নগর-পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলীদের মতে, কারিগরি দক্ষতা-অভিজ্ঞতাহীন ডিসি- এসপিদের এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়ায় কাজে দীর্ঘসূত্রতা ও জনভোগান্তি বাড়বে। তাঁদের দাবি, নকশা অনুমোদনের মতো কারিগরি কাজের জন্য এ ধরনের কমিটি গঠন বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তবে একাধিক জেলা প্রশাসক মনে করেন, তাঁদের সভাপতির দায়িত্বে রাখার ফলে নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে এবং অনিয়ম রোধ হবে।
এ বিষয়ে নগর-পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে নকশা কারা অনুমোদন করবে, কারা তৈরি করবে—এসব বিস্তারিত বলা আছে বিএনবিসিতে। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ) গঠন করার কথা। সেই কমিটি পেশাদার ও কারিগরি লোকজন দিয়ে নকশা প্রণয়নকারীদের তালিকাভুক্ত করাসহ এ-সংক্রান্ত কাজগুলো করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিল্ডিং অ্যাক্ট ১৯৫৩ অনুযায়ী, নকশা অনুমোদন করবেন অথরাইজড অফিসার। অথরাইজড অফিসারের ক্ষমতা এখন কাকে দেবে, তা সরকার নির্ধারণ করবে। এসব না করে যদি ডিসি-এসপির কমিটিকে নকশা অনুমোদনের ক্ষমতা দিয়ে কোনো মন্ত্রণালয় অফিস আদেশ জারি করে, তবে তা হবে আইনের চোখে অবৈধ।’
২০২০ সালের বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ভবন নির্মাণ কমিটিতে ‘বিল্ডিং অফিশিয়াল’ ছাড়াও চারজন সদস্য থাকবেন। সদস্য হিসেবে থাকবেন একজন স্থপতি, একজন পুর প্রকৌশলী, একজন নগর-পরিকল্পনাবিদ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার একজন প্রতিনিধি। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন ‘বিল্ডিং অফিশিয়াল’। ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘বিল্ডিং অফিশিয়াল’-এর যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাকে হতে হবে অন্তত একজন স্থপতি, পুর প্রকৌশলী কিংবা নগর-পরিকল্পনাবিদ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) নবনির্বাচিত সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নকশার কাজে ডিসি-এসপিদের সম্পৃক্ত করা হলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।’
মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ থেকে জানা যায়, প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্যসচিব হবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। সদস্য হিসেবে থাকছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদপ্তর বা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভার প্রতিনিধি, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা বা ইউনিয়নের প্রতিনিধি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।
জানা যায়, ২ মে এ-সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মো. হামিদুল হক জানান, জেলা প্রশাসককে সভাপতি আর পুলিশ সুপারকে সদস্য করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও বিশেষ প্রকল্প) মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নকশা, কাঠামোগত, স্থাপত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথ মানের ভিত্তিতে যাতে সঠিকভাবে ইমারত নির্মাণ করা হয়, সে বিবেচনায় প্রস্তাবিত কমিটি গঠন বা পুনর্গঠনের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি হয়নি।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নকশা অনুমোদনের জন্য আমাদের আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা কাজও করে যাচ্ছি। তবে তা খুব বড় আকারে নয়। এ ক্ষেত্রে আমরা টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই সব বোঝার চেষ্টা করি।’ তিনি মনে করেন, কাজের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলার জন্যই মূলত সরকার জেলা প্রশাসনকে এ দায়িত্ব দিয়েছে।
‘যার কাজ তাকে দিয়েই করানো উচিত’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যার কাজ তাকে দিয়েই করানো উচিত। জেলা পর্যায়ে ডিসি-এসপির অনেক কাজ আছে। তারা এমনিতেই বহু কমিটির সভাপতি। সেখানে এ ধরনের নন-টেকনিক্যাল লোকজন দিয়ে কেন নকশা অনুমোদনের মতো কাজ করাতে হবে? দেশের বড় বড় স্থাপনা তো প্রকৌশলীরা দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। সেখানে যদি সমস্যা না হয়, তাহলে ইমারত নির্মাণের অনুমোদনের কাজটিও নিশ্চয় প্রকৌশলীরা করতে পারবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে