আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আপনাদের ব্যবসা কী?
তাকেশি মামিয়া: বাংলাদেশে আমাদের রাসায়নিক সারের ব্যবসা আগে থেকেই রয়েছে। আপনি অবশ্যই প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ড কাফকো চেনেন? কাফকো বা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা অনেক প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করি, যেগুলো ফ্যাক্টরি পরিচালনায় এখানে প্রয়োজন হয়। যেমন রাসায়নিক পণ্য। আমরা কখনো কখনো জ্বালানি আমদানি করি। সিমেন্ট উপকরণ আমদানি করি। এখানে আরএমজির (রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্য) রপ্তানি অনেক। আমরা দশকের পর দশক সেটা করছি। এই ধরনের ব্যবসাই আমরা করছি। এ রকম আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আগামীর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কী?
তাকেশি মামিয়া: অবশ্যই আমরা এই ব্যবসাগুলো চালু রাখব। এগুলো বন্ধ করার তো কোনো কারণ নেই। তবে হ্যাঁ, যেমনটি আমি বলেছি, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করার কথা ভাবছি। আজকের আলোচনায় আমি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ স্কিমের কথা বলেছি।
আমরা পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করব। খরচটা আমাদের ওপর ছেড়ে দেন। আমরা এ দেশে ১০-১৫ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করব।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের ব্যবসায়িক বাজার কেমন?
তাকেশি মামিয়া: এককথায় বলা সম্ভব নয়। এটা অনেক সম্ভাবনাময় বাজার। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। বিশেষত ঢাকা মেট্রো এলাকায়। সম্ভাবনা আছে, যদিও অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম। তবে এর বিপরীতে আমাদের অবশ্যই প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ অন্য দেশের তুলনায় দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। সুতরাং বাজার রয়েছে। তবে আপনি সব ক্ষেত্রেই দক্ষ হবেন না, অনেক ক্ষেত্রে অন্যরা বেশি দক্ষ হবে, সেটাও বিবেচনা করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এখানে ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতাগুলো কী?
তাকেশি মামিয়া: বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, তবে আরও অনেক প্রয়োজন। সমুদ্রপথে যত পণ্য আমদানি হয়, সেগুলো চট্টগ্রামে খালাস হয়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে ছয় ঘণ্টা সময় চলে যায়। অনেক বেশি যানজটেও পড়তে হয়। সময়কে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অন্য দেশের ঘড়ির সঙ্গে বাংলাদেশের ঘড়িও মিলতে হবে। সময়ের পার্থক্য থাকলে চলবে না। সুতরাং এগুলো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা।
আজকের পত্রিকা: এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী হতে পারে?
তাকেশি মামিয়া: বিশেষত ঢাকায় অনেক যানজট হয়। মানুষ যখন ঢাকায় আসবে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে, তখন এমন যানজট দেখলে তাঁরা ভাববেন, এটা বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত বাজার নয়। সুতরাং, এ বিষয়ে সরকারের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: মেট্রোরেল পুরো চালু হলে যানজট কিছুটা কমবে। এ ছাড়া আর কোনো করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিতে চান?
তাকেশি মামিয়া: একটা এমআরটি লাইন এই সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। রাজধানীজুড়ে কয়েকটা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। সেটা ভালো। কিন্তু আপনি ওই সব গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কী করবেন? এটা সবার ক্ষেত্রে এমন হবে না যে তার বাড়ি স্টেশনের কাছেই। এটা ২, ৩ বা ১০ কিলোমিটার দূরে হতে পারে। এটা একটা বড় সমস্যা। লাইন তৈরি করা বড় উদ্যোগ। কিন্তু স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত যোগাযোগব্যবস্থার সহজীকরণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
আজকের পত্রিকা: বিনিয়োগে এ সম্মেলন কী সুফল বয়ে আনবে?
তাকেশি মামিয়া: এটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার একটা মাধ্যম। বাংলাদেশ এই পর্যন্ত এসেছে এবং আরও অনেক দূরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এই বার্তা বাইরে না গেলে কেউ জানবে না। সুতরাং, মানুষকে এখানে আসতে হবে, এই ধরনের সেশনে অংশ নিতে হবে। বহির্বিশ্বকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানাতে হবে, আসো, দেখো। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অনেকেই দেখতে আসেন। কিন্তু ঢাকার যানজট দেখে তাঁরা ঘাবড়ে যান। এটা বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন। সুতরাং, এই জায়গায় আগে কাজ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আপনাদের ব্যবসা কী?
তাকেশি মামিয়া: বাংলাদেশে আমাদের রাসায়নিক সারের ব্যবসা আগে থেকেই রয়েছে। আপনি অবশ্যই প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ড কাফকো চেনেন? কাফকো বা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা অনেক প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করি, যেগুলো ফ্যাক্টরি পরিচালনায় এখানে প্রয়োজন হয়। যেমন রাসায়নিক পণ্য। আমরা কখনো কখনো জ্বালানি আমদানি করি। সিমেন্ট উপকরণ আমদানি করি। এখানে আরএমজির (রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্য) রপ্তানি অনেক। আমরা দশকের পর দশক সেটা করছি। এই ধরনের ব্যবসাই আমরা করছি। এ রকম আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আগামীর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কী?
তাকেশি মামিয়া: অবশ্যই আমরা এই ব্যবসাগুলো চালু রাখব। এগুলো বন্ধ করার তো কোনো কারণ নেই। তবে হ্যাঁ, যেমনটি আমি বলেছি, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করার কথা ভাবছি। আজকের আলোচনায় আমি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ স্কিমের কথা বলেছি।
আমরা পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করব। খরচটা আমাদের ওপর ছেড়ে দেন। আমরা এ দেশে ১০-১৫ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করব।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের ব্যবসায়িক বাজার কেমন?
তাকেশি মামিয়া: এককথায় বলা সম্ভব নয়। এটা অনেক সম্ভাবনাময় বাজার। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। বিশেষত ঢাকা মেট্রো এলাকায়। সম্ভাবনা আছে, যদিও অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম। তবে এর বিপরীতে আমাদের অবশ্যই প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ অন্য দেশের তুলনায় দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। সুতরাং বাজার রয়েছে। তবে আপনি সব ক্ষেত্রেই দক্ষ হবেন না, অনেক ক্ষেত্রে অন্যরা বেশি দক্ষ হবে, সেটাও বিবেচনা করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এখানে ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতাগুলো কী?
তাকেশি মামিয়া: বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, তবে আরও অনেক প্রয়োজন। সমুদ্রপথে যত পণ্য আমদানি হয়, সেগুলো চট্টগ্রামে খালাস হয়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে ছয় ঘণ্টা সময় চলে যায়। অনেক বেশি যানজটেও পড়তে হয়। সময়কে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অন্য দেশের ঘড়ির সঙ্গে বাংলাদেশের ঘড়িও মিলতে হবে। সময়ের পার্থক্য থাকলে চলবে না। সুতরাং এগুলো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা।
আজকের পত্রিকা: এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী হতে পারে?
তাকেশি মামিয়া: বিশেষত ঢাকায় অনেক যানজট হয়। মানুষ যখন ঢাকায় আসবে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে, তখন এমন যানজট দেখলে তাঁরা ভাববেন, এটা বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত বাজার নয়। সুতরাং, এ বিষয়ে সরকারের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: মেট্রোরেল পুরো চালু হলে যানজট কিছুটা কমবে। এ ছাড়া আর কোনো করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিতে চান?
তাকেশি মামিয়া: একটা এমআরটি লাইন এই সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। রাজধানীজুড়ে কয়েকটা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। সেটা ভালো। কিন্তু আপনি ওই সব গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কী করবেন? এটা সবার ক্ষেত্রে এমন হবে না যে তার বাড়ি স্টেশনের কাছেই। এটা ২, ৩ বা ১০ কিলোমিটার দূরে হতে পারে। এটা একটা বড় সমস্যা। লাইন তৈরি করা বড় উদ্যোগ। কিন্তু স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত যোগাযোগব্যবস্থার সহজীকরণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
আজকের পত্রিকা: বিনিয়োগে এ সম্মেলন কী সুফল বয়ে আনবে?
তাকেশি মামিয়া: এটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার একটা মাধ্যম। বাংলাদেশ এই পর্যন্ত এসেছে এবং আরও অনেক দূরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এই বার্তা বাইরে না গেলে কেউ জানবে না। সুতরাং, মানুষকে এখানে আসতে হবে, এই ধরনের সেশনে অংশ নিতে হবে। বহির্বিশ্বকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানাতে হবে, আসো, দেখো। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অনেকেই দেখতে আসেন। কিন্তু ঢাকার যানজট দেখে তাঁরা ঘাবড়ে যান। এটা বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন। সুতরাং, এই জায়গায় আগে কাজ করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে